অস্ত্র মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীকে নিম্ন আদালতের দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি মো: আবু জাফর সিদ্দিকী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জয়নাল হাজারীর মামলা বাতিলের আবেদন নিষ্পত্তি করে দণ্ড বাতিলের এ আদেশ দেন। আদালতের রায়ের পর হাজারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম সাইফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্র মামলার দণ্ড বাতিলের মাধ্যমে জয়নাল হাজারী তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব সাজা মামলা থেকে খালাস পেলেন।
অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম আরো বলেন, জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে সর্বমোট ২৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে পাঁচটিতে তার বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে সব মামলাই তিনি খালাস পেয়েছেন। এ ছাড়া ২১টি মামলায় তিনি নিম্ন আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। বর্তমানে কুমিল্লার একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সাইফুল আলম জানান, ফেনীর পৌর এলাকার লাভ মার্কেটের হাজারীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সাতটি বুলেট উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ২০০১ সালের ১৭ আগস্ট ফেনী সদর থানার এসআই বিপুল বড়-য়া হাজারীকে আসামি করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাজারী ছিলেন একমাত্র আসামি। ২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার আদালত তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সাজাপ্রাপ্ত ওই মামলা বাতিলের আবেদন করলে ২০০৯ সালের ৪ জুন হাইকোর্ট কেন তার সাজা বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল মামলা বাতিল করে তাকে কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আদালতে হাজারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো: ওয়াজি উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট এম সাইফুল আলম। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন- বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত তখনকার সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরই ওই বছরের ১৬ আগস্ট দেশ ছাড়েন। দীর্ঘ আট বছর দেশের বাইরে থাকার পর বর্তমান সরকারের আমলে তিনি দেশে ফেরেন।
দেশে আসার পর অর্থ পাচারের একটি মামলায় জামিন চাইতে গেলে ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। পরে ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



