somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এসএমই ঋনের নামে এই রক্ত বানিজ্য আর মধ্যবিত্তের মেরুদন্ড ভাঙ্গার নৃসংস খেলা বন্ধ হোক !

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কোন এক ব্যাংকের পরীক্ষাতে প্রশ্ন করেছিল দারিদ্রতা বিমোচনে বেসরকারী ব্যাংকের ভুমিকা কি ?বলেছিলাম কোন ভুমিকাই নেই ।প্রস্টিটিউটের সাথে প্রেম করার একমাত্র উদ্যেশ্য হল ফ্রি খাওয়ার ধান্দা ।তেমনি বেসরকারী ব্যাংকগুলো দারিদ্র বিমোচনের নামে যেটা করে সেটা হলো কালো টাকা সাদা করার একটা সহী ধান্দা ।একটা এস এম ই লোনের ইনটারেস্ট যদি ১৯ পার্সেন্ট হয় তবে সেটা কিভাবে দারিদ্র বিমোচন করবে আমি বুঝি না ।১ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে তাকে ১৯শ টাকা শুধু ব্যাংকেই লাভ দিতে হবে তারপর নিজের শ্রম মেধা আর যোগ্যতার কি মুল্য তারা অর্জন করতে পারে ?এই ক্ষুদ্র ঋনগুলো সাধারনত নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষগুলোই ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে নিয়ে থাকে ।অথচ একসময় পারিপার্শিক সামাজিক অব্যাস্থাপনা ,রাজনৈতিক অস্থিরতা সর্বোপরি ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ে মন্দার কারনে আর ব্যাংক চড়া সুদের জালে আটকা পরে অবশিষ্ট ভিটা বাড়ী জমি বিক্রি করে দেনা শোধে সর্বশান্ত হয় ।নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষগুলো এই ঋনের মাধ্যমে সর্বশান্ত হয়ে দারিদ্র সীমার নিচে চলে যায় ।

দেশের মধ্যবিত্তের মেরুদন্ড এভাবেই ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে ।দেশের ৯০ ভাগ টাকা কেবল ৫ ভাগ মানুষের হাতে চলে গেছে ।বাদ বাকী যা আছে তা চড়া সুদে আমানত সংগ্রহ চলছে ।ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা আমনত রাখলে ব্যাংক আপনাকে প্রতি মাসে ১৩ শতাংশ (কোন কোন ক্ষেত্রে তার থেকেও বেশী ) হিসাবে ১৩০০ টাকা লাভ দিবে !তাহলে আর ব্যাবসার ঝুকি নিয়ে লাভ কি তাই মানুষ নিরাপদ ভেবে অতি লোভে কর্মবিমুখ হয়ে ,কোন ব্যাবসায়ে বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রেখে তার লাভ দিয়ে সংসার চালায় ।এতে একদিকে যেমন আমরা অলস হয়ে পড়ছি,ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে অন্যদিকে সবথেকে বড় ক্ষতি হচ্ছে ৫০ ভাগ মধ্যবিত্ত জনসমস্টির উপর ।ব্যাংক আপনাকে এই ১৩শ টাকা তারা শশুর বাড়ী থেকে এনে দিচ্ছে না ।আপনার টাকাটাই অন্যপক্ষের কাছে ১৯ শতাংশ হারে ধার দিচ্ছে ।১৩ আর ১৯ এর মাঝখানের ৬ শতাংশ চলে যাচ্ছে ব্যাংকের কোষাগারে !প্রতিটি ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে আছে ।বড় কোন বিনিয়োগ চোখে পড়ছে না ।গরীবের এই রক্তচোষা টাকা আবার হাজার কোটি হিসাবে উপর তলার মানুষ কোলবালিশে নিয়ে লুট করছে !খুব অবাক লাগে ।

আজকে যদি কেবল আমানতের সুদের হার কমান হয় ।১৩ পার্সেন্ট থেকে ৫ পার্সেন্ট এ নামিয়ে দেয়া হয় তবেই যদি কিছু হয় !জনি অনেকে মেনে নিবেন না ।বলবেন তাহলে মানুষ তাদের টাকা রাখবে কোথায় ?আমি বলব রাখার দরকার কি ব্যাবসায়ে খাটান !ব্যাংকে থেকে বসে বসে সুদ নিচ্ছে ১৩০০ টাকা সেই টাকাটা ব্যাবসা করে উপার্জন করুন ।ক্ষুদ্র বিনিয়োগ শুরু হলো কর্মসংস্থান সৃস্টি হতে বাধ্য ।আপনাকে যখন ব্যাংক ৫ টাক লাভ দিবে তখন নিশ্চয়াই সে ১৯ পার্সেন্ট হারে ঋন দিবে না ।সর্বোচ্চ দিতে পারে ৮ শতাংশ হারে ।তবেই না একজন ঋনগ্রহীতা ব্যংকের দেনা শোধ করে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারবে ।আর দেশের ৬০ ভাগ মধ্যবিত্ত মানুষ যখন ব্যাংক নির্ভর কর্মবিমুখ না হয়ে অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখতে শুরু করবে তবে সে দেশের মালএশিয়া কিংবা চীন হতে বেশী সময় লাগবে না ।

তাই সরকারের কাছে আমার দাবী হয় আমানতের উপর সুদের হার কমান নয়ত এসএমই লোনের নামে গরীবের রক্ত চুষে ধনীর গায়ে মখমলের চাদর বিছানোর ফর্মুলা বাদ দেন ।নয়ত দেশ থেকে কিন্তু একসময় মধ্যবিত্ত শ্রেনী বলে কিছু থাকবে না ।কিছু মানুষ বড়লোক আর সবাই গরীব হয়ে যাবে
১৮টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×