
একটি পুরানো মসজিদ। শিল্পীর হাতে মসজিদে কংক্রিটের কারুকাজ যে কাউকে মুগ্ধ করত। উপরে ছোট ছোট গম্বুজ। পূর্বের উত্তরে একটি মিনার। মসজিদের চারপাশে গাছ ভর্তি। মসজিদে ঢুকলেই একটা ঠাণ্ডা অনুভূতি হয় গরমের কালে। আর শীতে পাটের চট বিছিয়ে নামাজ পড়া হতো।
এমন একটা পুরনো মসজিদ ভেঙে নতুন করে বাধানো হলো। টাইস-টুস লাগিয়ে আধুনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হলো। গরমের কারণে এসি লাগানো হলো। আর শীতের জন্য চওড়া ওমের কার্পেট বিছানো হলো। অজুখানা তৈরী করা হলো। বসে বসে অজু করার সুবিধা জুটে গেল কপালে মুসল্লিদের। সেই সিঁড়ি বেয়ে পুকুরে নেমে দু'পায়ের উপর বসে কষ্টসাধ্য অজু করা বন্ধ হলো। বলাবাহুল্য, মুসল্লিরা আজ সুখের তরীতে ভাসতেছে।
এতকিছুর পরেও আমাদের মনে আক্ষেপ থেকে যায়। পুরনো মসজিদ ভেঙে নতুন করে বানানো হলো। কিন্তু মসজিদের সেই মুসল্লিগণ আর নাই। জুম্মাবারের জোহর নামাযে মসজিদ ভর্তি মুসল্লী হলেও। আর সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর জন্য প্রথম কাতারেই মুসল্লিদের শোভা বর্ধিত। আমি মাঝেমধ্যে ভাবি সেই পুরাতন মসজিদগুলো কতই না সুন্দর ছিল। আর এখন নতুন করে মসজিদ প্রশস্ত করে মুসল্লিদের হারালো। হায়রে মুসলিম আমরা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


