somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-এই ওঠ...... -(কোন শব্দ নেই) -কি হল ওঠ বলছি। -কে (ঘুমের ঘোরে) -তোমার যম। -একি তুমি, কখন এলে (অবাক হয়ে) -ঘড়ের অবস্থা এই রকম কেন। তোমাকে না কত বার বলেছি ঘরটা সব সময় গুছিয়ে রাকতে। (রাগি সুরে) -আমি তো এই সব পারিনা। -দেখে পার......আর বিছানার এই অবস্থা কেন। ধ্যাত তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। -জানোই যখন আবার বল কেন(মধুর সুরে) -কী বললে ? -ইয়ে মানে, তুমি তো আরও কয় দিন থাকতে চেয়েছিলে। -ইচ্ছে হল, আসলাম। -ভাল করেছ, তা কেমন আছো। -সেটা জানতে হবে না। আগে বল এই ৭ দিনে কতবার ফোন দিয়েছ আমায়। -ইয়ে, ২ বার। -কেন, তোমাকে বলেছি, বাপের বাড়ী গেলে, প্রতিদিন ফোন দিয়ে আধা ধরে ঘন্টা কথা বলতে। -হু......... -হু কী, জবাব দাও, বলছি। -আফিসে সময় পাই না তো।প্লিজ রাগ করনা চকলেট আমার। -তোমার অফিসের গুষ্টি কিলাই। এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে। (বউয়ের কথা শুনে, ভয় পেয়ে গেলাম, কে যানে কী শাস্তি দেয়) -ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করা যায় না। -না.....এর শাস্তি না দিলে বার বার ভুল করবে। -একটু ভেবে দেখ না, এবারে মত। -আচ্ছা, ঘরে কোন খাবার আছে। -না। -যাও গিয়ে, রান্না করে নিয়ে আস (ধমক দিয়ে) -কী রান্না...রান্না করতে পারব না, অন্য কিছু বল। -না রান্নাই করতে হবে, এটাই তোমার শাস্তি। (কী আর করা বাধ্য ছেলে মত রান্না ঘরে গেলাম) . কিছু ক্ষন পর... . -এই নাও তোমার খাবার। -বাহ এই না হল, আমার জামাই। আর শোন একটা কাজ। -কী, আবার কাজ। -হু, যাও গিয়ে আমার কাপড় গুলা ধুয়ে দাও। (এখানে আর কিছু করার নেই, যা বলবে তাই করতে হবে। বউয়ের কথা না শুনলে অনেক কিছু করতে পারে) কাপড় ধোয়ার সময়, একটু ওর দিকে তাকালাম। কী ফজিল মেয়ে....খাবার খাচ্ছে,আর টিবি দেখচ্ছে, আমার দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর হাসচ্ছে। মনে হচ্ছে গিয়ে একটা চড় বসিয়ে দেই। কিন্তু, আমি তা পারব না, আমার পাগলি টাকে যে খুব ভালোবাসি। . একটু পরে... . -দেখি, তোমার হাত দুটো (বউ) -না না দেখতে হবে না। -দেখি বলছি (আবার ধমক দিয়ে) হাত দুটো নিয়ে, কী সুন্দর করেই না আদর করে দিচ্ছে, একটু পরে আবার বুকে জড়িয়ে নিল। (বউ.....আমার জামাই টাকে খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি,) আমি কিছু বললাম না, শুধু এই অসাধারন ফিলিংস নিচ্ছি..আহা কী সুখ...মনে হচ্ছে একটু পরে সব কষ্ট ধুয়ে মুছে চলে যাবে। . . -হৃদয়, এই হৃদয়, ঔ বেটা ওঠ। -আর একটু ঘুমাই না সোনা। -ঐ শালা, আমি তোর সোনা, ওঠ নইলে, এখনি একটা লাথি দিমু। (আমি একটা লাফ দিয়ে ঘুম থেকে ওঠলাম) -শালা, এই রকম করে, কাউকে ঘুম থেকে তোলে। -রাখ তোর ঘুম, তোরে না কইছি, ৮ টার সময়, একটা মাইয়্যারে প্রপোজ করমু। -তাই বলে এই ভবে ঘুম টা ভেংঙ্গে দিবি, কী সুন্দরই না ছিল সপ্নটা। সারা সপ্নটা ধমক খেয়ে আর কষ্ট করে আসলাম.....শেষের দিকে ফিলিংস ছিল ভালোবাসার, সেটা তুই ভেংঙ্গে দিলি। -তোর সপ্নের গুষ্ঠি কিলাই...তুই যাবি, নাকি কিছু একটা করমু। -শালা আমার সপ্ন ভেংঙ্গে, ভাবছিস তোর সপ্ন পুরন হবে......কোন দিনও হবে না.....তোকে অবিশাপ দিলাম....বুড়া হয়ে যাবি তুবও, একটা মেয়ে পটাতে পারবি না। -তোর ডায়লগ বন্ধ করবি...বেটা সময় হয়ে গেল। -হু চল.......... . আজ দুই দিন হল, তবুও হারিয়ে যাওয়া সপ্নটা ফিরে পেলাম না.......... শুধু আপসোস আর আপসোস..... আপনারা আমার জন্য একটু ইয়েয়য়য় করেন তো, যাতে সপ্নটা ফিরে পাই........

ফরিদ আহমেদ হৃদয়
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×