-এই ওঠ...... -(কোন শব্দ নেই) -কি হল ওঠ বলছি। -কে (ঘুমের ঘোরে) -তোমার যম। -একি তুমি, কখন এলে (অবাক হয়ে) -ঘড়ের অবস্থা এই রকম কেন। তোমাকে না কত বার বলেছি ঘরটা সব সময় গুছিয়ে রাকতে। (রাগি সুরে) -আমি তো এই সব পারিনা। -দেখে পার......আর বিছানার এই অবস্থা কেন। ধ্যাত তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। -জানোই যখন আবার বল কেন(মধুর সুরে) -কী বললে ? -ইয়ে মানে, তুমি তো আরও কয় দিন থাকতে চেয়েছিলে। -ইচ্ছে হল, আসলাম। -ভাল করেছ, তা কেমন আছো। -সেটা জানতে হবে না। আগে বল এই ৭ দিনে কতবার ফোন দিয়েছ আমায়। -ইয়ে, ২ বার। -কেন, তোমাকে বলেছি, বাপের বাড়ী গেলে, প্রতিদিন ফোন দিয়ে আধা ধরে ঘন্টা কথা বলতে। -হু......... -হু কী, জবাব দাও, বলছি। -আফিসে সময় পাই না তো।প্লিজ রাগ করনা চকলেট আমার। -তোমার অফিসের গুষ্টি কিলাই। এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে। (বউয়ের কথা শুনে, ভয় পেয়ে গেলাম, কে যানে কী শাস্তি দেয়) -ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করা যায় না। -না.....এর শাস্তি না দিলে বার বার ভুল করবে। -একটু ভেবে দেখ না, এবারে মত। -আচ্ছা, ঘরে কোন খাবার আছে। -না। -যাও গিয়ে, রান্না করে নিয়ে আস (ধমক দিয়ে) -কী রান্না...রান্না করতে পারব না, অন্য কিছু বল। -না রান্নাই করতে হবে, এটাই তোমার শাস্তি। (কী আর করা বাধ্য ছেলে মত রান্না ঘরে গেলাম) . কিছু ক্ষন পর... . -এই নাও তোমার খাবার। -বাহ এই না হল, আমার জামাই। আর শোন একটা কাজ। -কী, আবার কাজ। -হু, যাও গিয়ে আমার কাপড় গুলা ধুয়ে দাও। (এখানে আর কিছু করার নেই, যা বলবে তাই করতে হবে। বউয়ের কথা না শুনলে অনেক কিছু করতে পারে) কাপড় ধোয়ার সময়, একটু ওর দিকে তাকালাম। কী ফজিল মেয়ে....খাবার খাচ্ছে,আর টিবি দেখচ্ছে, আমার দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর হাসচ্ছে। মনে হচ্ছে গিয়ে একটা চড় বসিয়ে দেই। কিন্তু, আমি তা পারব না, আমার পাগলি টাকে যে খুব ভালোবাসি। . একটু পরে... . -দেখি, তোমার হাত দুটো (বউ) -না না দেখতে হবে না। -দেখি বলছি (আবার ধমক দিয়ে) হাত দুটো নিয়ে, কী সুন্দর করেই না আদর করে দিচ্ছে, একটু পরে আবার বুকে জড়িয়ে নিল। (বউ.....আমার জামাই টাকে খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি,) আমি কিছু বললাম না, শুধু এই অসাধারন ফিলিংস নিচ্ছি..আহা কী সুখ...মনে হচ্ছে একটু পরে সব কষ্ট ধুয়ে মুছে চলে যাবে। . . -হৃদয়, এই হৃদয়, ঔ বেটা ওঠ। -আর একটু ঘুমাই না সোনা। -ঐ শালা, আমি তোর সোনা, ওঠ নইলে, এখনি একটা লাথি দিমু। (আমি একটা লাফ দিয়ে ঘুম থেকে ওঠলাম) -শালা, এই রকম করে, কাউকে ঘুম থেকে তোলে। -রাখ তোর ঘুম, তোরে না কইছি, ৮ টার সময়, একটা মাইয়্যারে প্রপোজ করমু। -তাই বলে এই ভবে ঘুম টা ভেংঙ্গে দিবি, কী সুন্দরই না ছিল সপ্নটা। সারা সপ্নটা ধমক খেয়ে আর কষ্ট করে আসলাম.....শেষের দিকে ফিলিংস ছিল ভালোবাসার, সেটা তুই ভেংঙ্গে দিলি। -তোর সপ্নের গুষ্ঠি কিলাই...তুই যাবি, নাকি কিছু একটা করমু। -শালা আমার সপ্ন ভেংঙ্গে, ভাবছিস তোর সপ্ন পুরন হবে......কোন দিনও হবে না.....তোকে অবিশাপ দিলাম....বুড়া হয়ে যাবি তুবও, একটা মেয়ে পটাতে পারবি না। -তোর ডায়লগ বন্ধ করবি...বেটা সময় হয়ে গেল। -হু চল.......... . আজ দুই দিন হল, তবুও হারিয়ে যাওয়া সপ্নটা ফিরে পেলাম না.......... শুধু আপসোস আর আপসোস..... আপনারা আমার জন্য একটু ইয়েয়য়য় করেন তো, যাতে সপ্নটা ফিরে পাই........
ফরিদ আহমেদ হৃদয়