আকাঙ্কা যখন হৃদয় থেকে,অন্তর থেকে আসে, যখন সে আকাঙ্কা তীব্র হয়, একাগ্র হয়, তার এক ভয়ংকর বিদ্যুত-চম্বুকী শক্তি জন্মায়। মনের ঘুমন্ত অবস্থায় সেই শক্তি প্রত্যেক রাত্রে মুক্ত হয়ে ইথারের মধ্যে প্রবেশ করে, মহাজাগতিক বিভিন্ন স্রোতধারায় তার শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার পর প্রত্যুষে আবার সচেতন মনে ফিরে আসে। মনশ্চক্ষে যা দেখেছ তা অব্যশই বাস্তবে আত্নপ্রকাশ করবে; তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পার। এ চিরদিন হয়েছে, আজও হবে। যেমন তুমি জানো সূর্য উঠবেই, বসন্ত আসবেই। ছাত্র যখন প্রস্তুত হবে, শিক্ষকের আগমন ঘটবেই। এ তো সত্য !
এই তো শিক্ষক উপস্থিত হলেন, যে ছাত্র আরেকটু হলেই ভুল পথে চলে যাচ্ছিল তাকে পথ দেখাতে। তোমরা যা নিয়তি তাকে স্বীকার করে নাও, তারপর তোমার জীবনে তুমি এগিয়ে যাও।বিমান বাহীনির পাইলট হওয়া তোমার নিয়তি নয়। ভবিষ্যতে তুমি কি হবে তা এখনো প্রকাশ পায়নি ,কিন্তু তা পূর্ব নির্ধারিত । আজকের ব্যর্থতা ভুলে যাও, কেননা তোমাকে তোমার নিয়তি-নির্ধারিত পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ অত্যাবশক ছিল। তার বদলে তোমার জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যর সব্ধান করো।বৎস, নিজের সঙ্গে একাত্ন হও, ভগবানের ইচ্ছার কাছে আত্নসমর্পন করো।
(এ পি যে আব্দুল কালাম এর আত্নজীবনী থেকে নেওয়া )