somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রমযান, ঈদ, সবই এখন পাইনস্যা:|

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রমযান মোটামুটি শেষে। আর মাত্র এক সপ্তাহ। তারপরই ঈদ। কেনাকাটা শুন্য। কোনরকমের কেনাকাটায় আমি নাই। যখন যাই (ঠেলায় পড়ে) তখন মোটামুটি ব্যাংকের ব্যালেন্স কমাই দিয়ে আসি (বিদেশ জীবনে একটাই জ্যাকেট কিনেছিলাম মাত্র প্রায় ২০০ ইউরো, একটা শার্ট ৭০ ইউরো, একটা জুতো ১৮০ ইউরো) এইজন্য ভাইয়া মার্কেটমুখো হতে আমাকে নিষেধ করে। চান্সে আমি উনাদের দিয়ে নিজের শপিং করিয়ে নেই।

দেশে মামা-মামী ছিলো। উনারা শপিং করতো। মাঝে মাঝে মামার শার্ট নিয়ে নিতাম। পরবর্তিতে মামীর সাথে শপিংয়ে যেতে হতো। মামীর শপিংয় দেখেই আজ আমার এই অবস্হা।

ভেনিস বেড়াতে গিয়ে ভাই-বোন শপিংয়ে ব্যস্ত। আমি শপিং সেন্টারের বাইরে বেঞ্চে বসে হাওয়া খাই আর পরী দেখি। কিছুক্ষন পর ভাইয়া এসে বলে তোর জন্য একটা ESPRIT এর জ্যাকেট দেখেছি। খুব সুন্দর। ট্রায়াল দিয়ে যদি হয় তাহলে কিনে নিবো। আমিও পরী দেখার ইতি টেনে ট্রায়াল দিয়ে নিয়ে নিলাম। ভাইয়াও মোটামুটি শীতের শপিং থেকে বেচে গেলো।
দেশে সাধারনত ঈদের কমন ড্রেস ছিলো সাদা পাজামা, পাঞ্জাবী। সময়ের আবর্তে সেটা অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। এখন আর ঈদের সালামীর পাওয়ার কোন চান্স নেই। উল্টো দিতে হয় :((:((
প্রতিবছরের মতো এবারও ছোটবোন ঝামেলার কেন্দ্রবিন্দুতে। উনার জন্য দেশ থেকে অনেকগুলো জামা নিয়ে আসা হয়েছিলো। সবগুলো মোটামুটি একবার পরা হয়ে গেছে তাই ঈদের জন্য নতুন জামা দরকার। উনার কথা হচ্ছে স্কুলের জন্য জামা, পার্টির জন্য জামা, ঈদের জন্য জামা, সবগুলো আলাদা হতে হবে। একবার নাকি কোন জামা পরলে ঐটা পরে ঈদে অথবা পার্টিতে পরে যাওয়া যাবে না। যতোই বুঝাই যে এখানে তুমি কি জামা পরেছো সেইটা কেউই খেয়াল করে না। আমার উদাহরন দিয়ে বুঝাই যে আমি নিজেও তো একই জামা পরে অফিস করি, পার্টিতে যাই। উনার কথা আমি ছেলে তাই আমি যা তা পরতে পারি X(X(

কিছু না বলে বল্লাম ঠিক আছে চলো দু'জন শপিংয়ে যাই। ইহাতেও উনার প্রেষ্টিজে ধরে। উনি বান্ধবীদের নিয়ে যাবেন। যদিও জানি উনার কোন কেনাকাটা হবে না। শুধু ঘোরাঘুরি হবে। (এখানে বাংলাদেশের ড্রেস পাওয়া যায় না)

আজ বিবিসিতে দেখলাম ইউ.কে তে ASDA শপিংমল ইন্ডিয়ান কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছে। যুগোপযুগী ব্যবসায়িক চিন্তা। ইউ.কে তে কিছু কিছু কাপড় ব্যবসায়ী জনগনকে জিম্মি করে অতি মুনাফায় যা বিক্রি করতেন এইবার উনাদের দিন শেষ। যদিও ASDA এর কোয়ালিটি নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তারপরও কমদামে যদি পাওয়া যায় তাহলে একটার টাকা দিয়ে অনেকগুলো কিনা যাবে।

ঈদ হয়তো রবিবার (যদি ২৯টা হয়)। নাহলে সোমবার। অফিসে এসেই সোমবার ছুটি নিয়ে নিলাম। যদিও নামায পড়ে কিছু করার নেই তারপরও একটু ঈদের আমেজ নিয়ে আসতে ফাও ছুটি নেওয়া।

(অফিসে ব্যাপক কাজ। বেশী কাজ দেখলে ব্লগাইতে মন চায়। এজন্য আজাইরা প‌্যাচাল)
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×