বর্তমান বাংলাদেশে ক্রিকেট-ফুটবল যতই জনপ্রিয় হোক না কেন, জাতীয় খেলা হওয়া উচিৎ দাবা, কারণ সবাই দাবা, এখানে রাজা মানে রাষ্টপতি, মন্ত্রী হাসিনা, হাতি, ঘোড়া, নৌকা তো স্বয়ং বিদেশী প্রভু, আর জনগনতো আছেই। আমরা রাজাকে এক জায়গায় রেখে সব গুটিই চালাই, তবে ঘোড়াটা একটু বেশিই চালাচ্ছি। আর চালাবো না কেন? সে যে লাফ দিতে পারে।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। বহু গুণের অধিকারী। উনার কর্মীরাতো আবার উনাকে পল্লী বন্ধু বলে। একজন সেনা শাসক যে পল্লী বন্ধু হয়, তা বাংলাদেশেই সম্ভব। এককথায় উপাধী পেতে হলে রাজনীতিতে নামতে হবে, আর এটা বাংলাদেশে সম্ভব। বাংলাদেশে আরো অনেক কিছুই সম্ভব, তবে একটা বিষয় ভালো লাগে না, তেতুল হুজুররা সব আন্দোলন বাদ দিয়ে একটা আন্দোলন করে না কেন, যারা নারী কেলেঙ্কারীর সাথে সম্পৃক্ত তাদের রাজনীতিকে নিধিদ্ধ করা হোক। নাকি আইএসের মতো তারাও বিধর্মী ধরলে হালাল ফতুয়ায় বিশ্বাসী। দুর্নীতি করুক, চুরি করুক, ঘুষ নিক, ইত্যাদি ধরতে অনেক তথ্য প্রমাণ লাগে। কিন্তু নারী কেলেঙ্কারী করলেতো এক মেডিকেল টেস্টেই বের হয়ে আসবে। আর যার প্রমাণ মিলবে, তাকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হোক। এক কথায়, যে রাজনীতিবিদ নেতা বা নেত্রী পরকীয়ায় সম্পৃক্ত থাকবে, সে নিধিদ্ধ হবে। সরি বেগম খালেদা জিয়া।
যাই হোক, আমি বাংলাদশ ছাড়া কতিপয় হারামীর জন্য। ভয়ে দেশে ফিরতে পারছি না, আমাকে মেরে অন্যের গাঢ়ে চাপানো হতে পারে। সে পরে একদিন লিখবো, তবে আমাকে নিয়ে বাংলাদেশে ছোট ছোট পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে কিন্তু রাগব-বোয়াল পত্রিকা খবর ছাপে না, কারণ আমিতো রক্ষক নয়, আমিতো তাদের কোন উপকারে আসতে পারবো না। তবে আমি খেলা দেখেছি, বাংলাদেশের যে কেউ, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে উস্তাদ। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতেতো কথাই নেই। আমি সব সময় একটা বিষয় লক্ষ করি, দেশে যখন সাধারণ মানুষের উপর কোন হামলা বা ক্ষতি সাধিত হয়, কোন না কোন রাজনৈতিক একটা কান্ড ঘটে যায়। আর তাতে মানুষের দৃষ্টি নিরীহ মানুষ ছেড়ে রাঘব বোয়ালদের দিকে চলে যায়।
যখন নারায়ন গঞ্জে এতো বড় ঘটনা ঘটে গেল, এরশাদ সাহেব একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেললেন, নিজের বউকে তালাক না দিয়ে এক ঘরে করে রাখতে চাইলেন আর নিজের ভাইকে লাঠি সহকারে নিজের পাশে এনে দাড়ালেন, কিন্তু বেগম রওশনও কম যান না, দেশে কি গুন্ডার অভাব আছে। যাই হোক মানুষের দৃষ্টি এখন এই চিনিকম হিরোর দিকে। কবে যে দেখবো উনি এই বয়সেও পিতৃত্ব পেয়ে বসে আছেন। আর আমার মনে হয়, এটা সম্ভব। কারণ উনি দাবার ঘোড়া। সবচেয়ে বড় সার্কাস। যে শেখ হাসিনা-খালেদা ফালুর ইশারায় শুধু খেলেন না, তারেক রহমান বলেন আর ধন কুবের মুসা বিন শমসের এর ছোট বাচ্চা কর্তৃক খেলতে পারেন।
বাবা তুমি বহু খেলা দেখাইছো। ইতিহাস তোমায় অনেক মনে রাখবে। এবার মক্কায় যাত্রা করো, না হলে কাশি যাও। তোমার বিশ্রাম দরকার। তুমিতো আবার দেওয়ান বাগী পীরের মুরিদ, তার কাছেই মুরিদ হও। ও লোকটাও তোমার মতো এক সার্কাস। সেখানে ভাত-কাপড় ফ্রি, তোমার মতো অনেক মুরিদ আছে তারা ভাত-কাপড় দিয়ে যায়।
বাংলাদেশ জাতিটার উপর অনেক শনির দশা লেগে আছে, দেশটা এখন অনেক এগুচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টরটা অসাধারণ ভালো করছে। তোমার মতো শনিরা সরে পড়লে, সরকারী সেক্টরটাও ভালো হতে বাধ্য। কারণ পুলিশ বলেন আর সরকারী কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যে নাটকীয়তা করবে, জনগণ এর নাকে ধরতে পারবে। কিন্তু তোমার মতো ঘোড়া থাকলে অনেক মহা পন্ডিত জনগণ বিব্রত হয়ে পড়ে।
ও তুমিতো সেই ব্যক্তি, যে তেতুল হুজুরকে পানির বোতন, বিরানী পরিবেশন করেছিল। ধন্য তুমি বাবা। তুমি পীর হয়ে যাও। মহা পীর।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৮