পারসোনায় হিডেন ক্যাম পাওয়া নিয়ে ব্লগ ও ফেসবুকে সবাই সরব। সবকিছু মিলিয়ে পুরো ঘটনার একটি সারাংশ তৈরি করেছি আমি, একদমই নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে।
অভিযোগ কী?
পারসোনার বনানী শাখায় একটি সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া গেছে, যার মুখ একটি বিশেষ কক্ষের দিকে ফেরানো ছিল।
কী করা যায় এখন?
১. পারসোনা বন্ধ করে দেওয়া।
২. কানিজ আলমাসকে বিচারের মুখোমুখি করা।
৩. পারসোনার বিপক্ষে জনসচেতনতা তৈরি করা।
কেন করা যায় না?
১. চাপ দিয়ে পারসোনা বন্ধ করা যাবে না, যেহেতু সেটা একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সরকারি বিধিবিধান মেনে প্রতিষ্ঠানটি চলে।
২. বিচারের মুখোমুখি করার জন্য একটি মামলা লাগে। কিন্তু আমরা দেখছি যে চিকিৎসক ভদ্রমহিলা অভিযোগটি করেছিলেন, তিনি মামলা করতে আগ্রহী নন। এমনকি আজকে কানিজ আলমাস এবং ওই মহিলার স্বামীর একটি যৌথ বিবৃতি সংবাদপত্র অফিসগুলোতে গেছে। যাতে দুজনেই বলেছেন, "সেদিনের ঘটনা নিছকই ভুল বোঝাবুঝির ফল। বিষয়টি ঘটনাস্থলেই মীমাংসা হয়ে যায়। এমনকি আমরা উভয়পক্ষই পুরো বিষয়ে সন্তুষ্ট থাকায় কেউ কারো বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগও করিনি।" পুলিশও বলছে, তাদের জব্দ করা হার্ডডিস্কে আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি।
৩. অনলাইনে পারসোনার বিপক্ষে বিস্তর প্রচার-প্রচারণা চললেও এমনকি সেই অভিযুক্ত বনানী শাখায় ঠিক আজকেই রূপচর্চাপ্রেমী বিপুল মহিলার ভিড় দেখা গেছে। ফলে জনসচেতনতা আদৌ তৈরি হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে আমার।
তাহলে কী হবে এখন?
সবমিলিয়ে আমার মনে হচ্ছে, পারসোনা এবং কানিজ আলমাস খান এই যাত্রায় পার পেতেই চলেছেন। এর মূল কারণ, ঘটনার ব্যাপারে আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই। হাতে প্রমাণ নেই। ফলে প্রধান প্রধান সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলে ঘটনাটিকে গুরুত্ব দেয়নি। আবার এমনও মনে করার কারণ নেই যে, সব সংবাদপত্রই পারসোনার কাছে বিক্রি হয়েছে। সেটা অসম্ভবই বলতে গেলে। আর এমনিতে একটি প্রতিষ্ঠান তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ব্যবহার করতেই পারে। কিন্তু যেহেতু ভুল হোক, সঠিক হোক পারসোনার বিরুদ্ধে অনৈতিকতার একটি অভিযোগ এসেছে, সুতরাং কানিজ আলমাস খানের উচিত পারসোনার সবগুলো শাখা থেকে পুরুষ কর্মীদের সরিয়ে সেখানে নারী কর্মী নিয়োগ দেওয়া। পুরুষ কর্মী যদি থাকেও, তারা অবশ্যই পার্লারের বাইরে থাকবে এবং সিসিটিভি অপারেশনের মতো কাজে তাদের কোনোভাবেই নিয়োগ দেওয়া চলবে না। এই ইস্যুতে আমরা কানিজ আলমাস খানের ওপর চাপ রাখতে পারি সবাই মিলে।
পারসোনা কিংবা কানিজ আলমাসকে নিয়ে কী করা যায়, কী করা যায় না...
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১০৬টি মন্তব্য ৬৯টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।