somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুদ্ধতম পরকীয়া (উপন্যাসিকা)

১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(পূর্ব প্রকাশনার পর )
তৃতীয় অধ্যায় / (শেষ অংশ)
গেলকাল আমি শীলাদের ওখানে গিয়েছিলাম । এ রকম কষ্ট হলে আমি শীলার কাছে যাই । শীলা অতি যত্ন নিয়ে আমার কষ্টগুলোকে তুলে আলাদা করে রাখে । এমোন গোপনে যে, আমি তার গন্ধ খুঁজে পাইনা আর । গিয়ে দেখি, ওর মুখখানাও ভারী ভারী । সন্ধ্যে হবো হবো করছে তখোন । পশ্চিমের আকাশটা লাল থেকে কালচে লাল হয়ে যাচ্ছিলো । বড় মধুর কিন্তু কি করুন এক বিষাদ মাখা । ঘরবাড়ী – গাছপালা ডিঙ্গিয়ে সূর্য্যটাকে দেখতে পাচ্ছিলামনা । ডুবে গেছে হয়তো । সবাইকেই একদিন না একদিন ডুব দিতে হয় ! প্রকৃতির নিয়ম ।
আলো ছিলোনা । বারান্দার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়েছিলো শীলা । কি করছে ওখানে শীলা, একা একা অন্ধকারে ! ওর তো এখোন সামিয়ার কাছে থাকার কথা । মেয়েটা মোমের আধো আধো আলোতে ভয়টয় পাবেনা তো !
বাবুনি কই, বলতে বলতে আমি ঘরে ঢুকে গেছি ।
- আমি এখানে মাসী ।
আমিই ওকে শিখিয়েছি আমাকে মাসী ডাকতে । আন্টি বা খালা ডাকটি শুনতে শুনতে আমার ভালো লাগেনা আর । খুবই কমন এবং সাধারন সম্মোধন । মাসী ডাকটির মধ্যে একটা নতুনত্ব আছে । আমাদের সমাজে প্রচলিত নয় বলেই আমি শীলার মেয়েটিকে বলেছি ‘এ্যাই মেয়ে আমাকে মাসী ডাকবি, বুঝলি । আন্টি-ফান্টি নয় ।’ প্রচলিত নীতিফিতির ধার ধারিনা আমি । আমার ধাতে নেই ।
ঘরে ঢুকে দেখি সামিয়া বিছানার উপর বসে আছে তার ঢাউস টেডি-বিয়ারটি নিয়ে । আমাকে দেখতে পেয়েই আকাশের চাঁদ পেয়েছে মনে হলো । আমি ওর গালটা একটু টিপে দিলাম ।
- কি করছো একা একা বাবুনি ?
- খেলছি ।
- ওম্ মা … একা একা খেলছো । ভয় করছে না ? তোমার দিদা কই ?
- দিদা কোথায় জানিনা । জানো মাসী জানো, মা’মনির মনটা নাকি খারাপ!
- কে বললো তোমাকে ?
- মা’মনিই তো বললো । বললো, আমার ধারে কাছে আসবিনা এখোন ।
আচ্ছা তাই.. চলোতো দেখি তোমার মা’মনির মনটা ভালো করে দিয়ে আসি । সামিয়াকে কোলে তুলি ।গলা চড়াই, শীলা তুই বারান্দায় কি করছিস রে একা একা ?
কি যেন একটা জবাব দেয় ও । তারপর ঝাড়া আধঘন্টা জেরায় জেরায় কাবু করে ফেলি শীলাকে । কি অবাক কান্ড, এ কি করে বসে আছে মেয়েটি ! খেলছিলি তো খেলে যা, এমোন করে জড়িয়ে গেলি কেন ! মনের মধ্যে কথাগুলি আকুলি বিকুলি করে উঠলেও মুখে বলা হয়না । বলার মুখ কি আছে আমার ? ওর এরকম দ্বিধাগ্রস্থতার জন্যে আমিও তো কম দায়ী নই । আমিই তো ওকে এই সর্বনাশা খেলা শিখিয়েছি খানিকটা । দোষ আমার আরো অনেক আছে । কারো কোনও কিছুতেই আমি বাগড়া দিতে যাইনা । বরং সবার সব কাজেই, ভালোমন্দ নির্বিশেষে উৎসাহ দিয়ে থাকি । অনেক সময় আমার উৎসাহটা তাদের থেকেও বেশী হয়ে যায় । আমি কি করবো, এ যে আমার স্বভাব !

এখোন আমার কি বলার আছে ওকে । শ্বান্তনা দিতে পারি, সবকিছু ছেড়ে দিতে বলতে পারি । বলতে পারি, ঐ লোকটার সাথে যোগাযোগ না রাখলেই হয় । কি দরকার অহেতুক ঝামেলা পাকানোর । মুঠোফোন বন্ধ করে রাখলেই তো হয় । তা ই বা কি করে বলি, ঐ লোক তো নিজে থেকে প্রথমে ফোন করে না কখোনো । বলতে পারি, মেইলগুলির জন্যে প্রতি-মেইল না করলেই হয় । কিছু কিছু কঠিন সত্য কথা তো শুনতেই হবে । ঐ লোক তো আর ওর সাথে খেলতে বসেনি । যা বলেছে ওধারের লোকটি, একটিও মিথ্যে নয় । বরং আমার তো মনে হয় লোকটি শীলাকে প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছে যে ভালোবাসার হদিশ আমাদের কারো জানা নেই, পরিচয় নেই । এরকম নিমোর্হ মানুষ ও আছে পৃথিবীতে ! মেইলে তার লেখাগুলো পরিচ্ছন্ন, আবেগ আর কঠিন বাস্তবতার মিশেল দেয়া । শীলাকে হাসি খুশি রাখতে, ওর দিনটাকে রঙিন করে তুলতে কতো বিষয়ের যে অবতারনা, কি আলাদা বিশ্লেষন প্রতিটি বিষয়ের । কবিতা, গান, ছবি কি নেই মানুষটার পাঠানো মেইলে? ক্ষনেক তুখোড় এক প্রেমিকের মতো, ক্ষনেক বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো, কখোনো পিতার মতো আবার কখোনো শিশুর মতো । এমোন মানুষটাকে ঝেড়ে ফেলা হয়তো চলে, প্রতারনা নয় । আজকালকার ইয়াং ছেলেপুলেরা তো এ লোকের ধারে কাছেও ভিড়তে পারবেনা মন আর মানসিকতায়, যতোই তারা আধুনিকতার বড়াই করুক । এরা তো কেবল একটি জিনিষই ভালো বোঝে যা ভাদ্রমাসের কুকুরেরাও বোঝে । এ লোকটির এসব বোধও দেখছি এ্যাঞ্জেলোর ছবির মতো পবিত্র, দ্রুপদী । আমারই তো প্রেমে পড়ে যেতে ইচ্ছে করছে । কিন্তু আমার যে উপায় নেই । আমি যে অন্য কোথাও বাঁধা পড়ে আছি !

এমোন লোককে কষ্ট দিতে নেই । পরিস্কার করে খুলে বলাই হয়তো ভালো ।অকপটে বলে যাওয়া । ভদ্রলোকটির মেইলগুলোর ভেতরে তার যে ছবি দেখেছি তাতে তাকে অকপটে বলা যায় । বন্ধুত্বের, সহমর্মীতার, ভালোবাসার, স্নেহের কোনও কমতি নেই সেখানে । উনি ঠিক ঠিক বুঝবেন শীলাকে । বুঝবেন না ই বা কেন ! তার মেইলে অস্পষ্ট ইঙ্গিতও আছে এমোন কথার । শীলার পাঠানো উত্তাল এসএমএস গুলোর উত্তরে বিশ্লেষন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোনটি উচিৎ আর কোনটি নয় । শীলার উদ্দামতাকে সংযত করে রেখেছেন । শ্লীলতায় বেঁধে রেখেছেন ।
বারে বারেই উনি জানতে চেয়েছেন, “আসলে তুমি কে?” কখোনো বা লিখেছেন, “তুমি যেই হওনা কেন, তুমি আমার বেলা শেষের কুড়িয়ে পাওয়া এক নীল মুক্তো । লোকে বলে নীলা নাকি কারো সয়, কারো সয়না । আমার সইবে তো?” এর চেয়ে পরিস্কার করে আর কি বলা যায় ? সন্দেহ যে থেকেই গেছে শীলা সম্পর্কে ভদ্রলোকটির মনে ! তারপরেও তার ভালোবাসায় কোন ঘাটতি দেখিনি, শৈথিল্য দেখিনি । বরং দিন দিন তা আরো দানা বেঁধে উঠেছে । একটা আলাদা ভুবন গড়ে নিয়েছেন হয়তো শীলার জন্যে যেখানে আর কারো প্রবেশাধিকার নেই । ভদ্রলোকটি কি নিজের জীবনে অসুখী ? নাহ, তাও মনে হয়না । অনেক লেখাতেই তার সাংসারিক টুকরো টাকরা ছবি সুখের ইঙ্গিতই দিয়েছে । নিজের ঘর-গৃহস্থালির কথাও বলে গেছেন । তবে ? আমি জানিনা । প্রেম প্রেম খেলা বুঝতে পেরেও কেউ যে সরে না গিয়ে আরো কাছে আসে এ আমার জানা ছিলোনা । এই প্রথম জানলাম ।
তবুও শীলার যে সামাজিক অবস্থান আর ও পক্ষেরও, তা ব্যাপারটিতে হাওয়া দেয়ার অনুকুল নয় । এমোন সম্পর্কটা টেনেও নেয়া সম্ভব নয় বেশীদিন, অন্তত দু’জনে দু’জনার ধরাছোঁয়ার বাইরে হলেও । এটা সাময়িক হতে পারে লম্বা সময়ের জন্যে কিছুতেই নয় । তবুও এরকম নিষিদ্ধ প্রেমে একটা ভয় থেকেই যায় । জানাজানির ভয় । রাগ করে কেউ যদি সব ফাঁস করে দেয় ? আর আজকাল তো এরকম অন্তরঙ্গ কাহিনী কিম্বা অসতর্ক মুহূর্তের গল্প প্রকাশ করে দিয়ে বাহাদুরী নেয়ার ঘটনা তো ঘটছে অহরহ ।
তাহলে লজ্জা, লজ্জা ।
না শীলার সে রকম ভয় থাকার কোনও কারন নেই, লজ্জারও । আমি জানি, ওকে চিনবেনা কেউ । কেউ আঙ্গুল তুলবেনা ওর দিকে, বলবেনা “এই ই সেই” ।

ঐ লোকটিকে পাঠানো ছবিটি যে আমারই ।
নামের আধেকটাও ......
(চলবে..... অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন)


আপনার সুবিধার্থে এর ঠিক আগের অংশটুকু নীচে দিলুম --
তৃতীয় অধ্যায় / (দ্বিতীয় অংশ)

আমাদের বাড়ীটা অন্য বাড়ীর মতো নয় । খোলামেলা সবাই । একমাত্র ছোট ভাইটি এই তো সেদিন বিয়ে করে আলাদা বাসায় উঠে গেছে । জানাশোনার বিয়ে । জেসমিনের সাথে ওর মেলামেশা অনেকদিনের, খানিকটা লুকিয়ে খানিকটা জানান দিয়ে । প্রেমের জোয়ার নাকি বেশীদিন টেকেনা । বিয়ে হয়ে গেলে নাকি ভাটার টান ধরে । ওদের দেখে এই মূহুর্তে সে রকম আগাম কিছু ভাবা ঠিক নয় । এখোন তো জোয়ারেই ভাসছে দু’জনে । এ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই । বাবারও কোনও সংষ্কার নেই, আমার ও । কেবল মা’কে নিয়ে একটু আধটু অসুবিধায় পড়তে হয় । বাঙালী ঘরে জন্ম তো, সব সংস্কার ছাড়তে পারেন না ।
‘পড়েছি তোর বাবার পাল্লায় । আগে জানলে তোর বাবার সাথে বিয়েতে রাজি ই হতাম না । আর তোরা ও হয়েছিস তেমনি । একটু রাখ-ঢাক থাকবেনা তোদের’ মা’য়ের একথা শুনতে শুনতে আমাদের কান পঁচে গেছে অনেককাল আগে । আড়ালে আবডালে মা’য়ের এই মাথাব্যথা কিভাবে সারানো যায় এনিয়ে আমরা দু’টি ভাইবোন অনেক গবেষনা করেছি আর প্রতিটি গবেষনার বিষয় নিয়ে হেসে কুটি কুটি হয়েছি । ‘কিরে তোরা হাসছিস যে বড়’ মায়ের এই বোকা বোকা প্রশ্ন আর চাহনি দেখে আবার আর একপ্রস্থ হেসে নেয়া গেছে ।
“মা, হাসি হলো গিয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখার লেটেস্ট থেরাপী । বই-পুস্তক ঘাটো না তো, জানবে কোত্থেকে ?” আমি আরো হা হা করে হাসতে হাসতে বলি আমার সরল মা’টিকে রাগিয়ে দেয়ার জন্যে ।
“তা হলে তোদের বাবাকে ঘরে বসে বসে হাসতে বলে দে । খামোকা সক্কালবেলা রাস্তাঘাটে দৌড়ানোর দরকার কি ?” মা মুখ ঝামটা মেরে সরে যান সামনে থেকে ।

আমার রাখ-ঢাক নেই । আমার ইচ্ছেগুলোরও সামাজিক ব্যাকরন মেনে চলার ধাত নেই । রাত গভীর, ঘুমুচ্ছে সারা পৃথিবী, ইচ্ছে করলো তো ফুল ভল্যুউমে রবীন্দ্রনাথের ঐ গানটা শুনি… “এই কথাটি মনে রেখ আমি যে গান গেয়ে ছিলেম….” । অথবা শীত-গ্রীষ্ণ যা ই হোক হয়তো কোনও গভীর রাতে ইচ্ছে হলো, স্নান করি । শাওয়ারের কল পুরোটা খুলে দিয়ে নগ্ন শরীরে দাঁড়িয়ে থাকি অনেকটা সময় । শরীরের কাঠামোয় জুড়ে থাকা হাত দুখানি দেখি, নিটোল । বুদ্ধদেব বসুর “একখানা হাত”এর কথা মনে পড়ে যায় । চোখ তখন শরমে লতানো দেহখানির দিকে দৃষ্টি মেলে । যেখানে যেমন থাকার আছে । কোমল জঙ্ঘার দু’ধারে স্নেহের পলিতে আদ্রতা মাখিয়ে পড়ে থাকা মোমের মতো উরু । মসৃন পেটের সমতল পেড়িয়ে ঈষৎ বাক নিয়ে উঠে যাওয়া স্বপ্নের পাহাড় যেন কুয়াশায় ঢাকা । উপত্যকার সুতীব্র ঢাল বেয়ে শাওয়ারের জলধারার ঝর্ণার মতো বয়ে যাওয়া দেখি । কান পাতলে ঝিরঝিরে শব্দও হয়তো শোনা যায় । মুগ্ধ হয়ে থাকি ।
শরীর….শরীর.. ।

এই শরীরকে নিয়ে আমার বড় ভয় । এই শরীর নিয়ে আর কতোদুর যেতে হবে আমায় ! কতোদুর ! শরীরের সাথে মনটাও যে ঘুড়ির মতো নিঃসীম আকাশে লাট খেতে থাকে । অদৃশ্য কাউকে ডেকে বলতে ইচ্ছে করে - দুরে কোথাও…দুরে…দুরে । আমাকে নিযে যেতে চাও, যাবো । যতোদুর নিযে যাবে, আমি যাবো । আমি বলবোনা, আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ । পথের অনেক চড়াই-উৎরাই থাকে, আমি জানি তাও । কি শেখাবে আমায় তুমি ? ফেলে যেতে চাও আধেক পথে, তাও নেবো মেনে । আরো অযুত মানব-মানবীর মতো আমিও তো এক পথভ্রান্ত । হাটছি সেই অনাদিকাল থেকে ধূসর পৃথিবীর পথে । এ পথের শেষ কোথায়, কোনখানে ?

নিজেকে আমি অনেক সময় ঠিক বুঝে উঠতে পারিনে । ভেতরের এক মানুষ বলে, এইদিকে; অন্যজন বলে- হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোনখানে । আমি কি পথ হারিযেছি ! আমাকে যে পথের দিশা ঠিক রাখতে হবে ! কিন্তু আমার যে উপায় নেই ।
তাই দিনগুলো ভরে তুলতে হয় , সুতোর বুনটে বুনটে ভরে তুলতে হয় ফাঁক-ফোকরগুলি । রীফু করতে হয় জীবন । অথচ দিনগুলো ফুরিয়ে যেতে চায়না যেন । কেন ফুরোয় না ! রাতটা শুধু আমার জন্যে প্রতীক্ষায় থাকে কখোন ফিরে আসি তার কাছে । যে রাত চাঁদ দেখেনা কোনওদিন, লক্ষ্য যোজন পেড়িয়ে যে অন্ধকার রাত নক্ষত্র ছুঁয়ে ছুঁয়ে আসে আমি তার চোখে চোখ রাখি তখোন । নিকষ অন্ধকারে দুরে দৃষ্টি ছড়িয়ে দিলে মনে হয়,
“দুর হ্যায় কিনারা/
গহেরী নদীও কি ধারা /
টুটি তেরী নাইয়া/ মাঝি……………”
কেন যে মাঝেমাঝে মোনটা এমোন উদাস হয়ে পড়ে, ভারী হয়ে ওঠে চোখের কোন । এখোন এই ত্রিশের কাছাকাছি বয়সে এসে মনে হলো অনেকের মতো সুশান্তকেও হয়তো আমার ভুলে যাওয়া ভালো । এমোন নয় যে সুশান্ত দেখতে খারাপ বা তার অনেক দোষ । ওর মতো গুনধর যে আর কোনটি নেই কিম্বা ওর মতো গুছিয়ে কথা বলতে পারার ও যে কেউ নেই এটা ভাবাও হয়তো বোকামী । সে যে একজন অসাধারন পুরুষ, এমোনটি আর পাওয়া যাবেনা, তাও নয় । তাই সুশান্তকে ভুলে যাওয়াই ভালো । কিন্তু বলা যতো সহজ, করে ওঠা ততোটা নয় । আশ্চর্য্য, যতোই চেষ্টা করি ভুলে থাকার ততোই সে যেন আমার মনের ভেতরে ঢোকার জন্যে ছটফট করতে থাকে । তখন আমি এই সুন্দর সকাল, ঝকঝকে রোদ্দুরে ভরা দুপুরগুলি হাতে নিয়ে খেলতে থাকি । বেলা গড়িয়ে যায় রাতে, ভোলার বদলে আমি টুকরোটাকরা কথাগুলো, কাছের মুখগুলো নিয়ে আবার নতুন করে খেলা পেতে বসি । ...................
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×