somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুদ্ধতম পরকীয়া (উপন্যাসিকা)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(পূর্ব প্রকাশনার পর )
পঞ্চম অধ্যায় / ( শেষ অংশ )

যতো সহজ হতে চাইলাম ততো কঠিন হয়ে গেলো সহজ হওয়া । পানি ঠান্ডা হতে হতে কি হয় ! সহজ হতে গিয়ে আমি বরফের মতো কঠিন হয়ে গেলাম । আমি কি তাকে জীবন্ত মেরে ফেললাম ! ছুঁড়ে দেয়া তীর আমার যে ফেরানোর উপায় নেই এমূহুর্তে ।
একটু ব্যথা কোথাও যেন চিনচিন করছে । টেবিল থেকে উঠে যেতে মন চাইলোনা । দিব্যি জানি, একঝাঁক লেখা এসে হাজির হবে । হ’লো ও । আমার রোগের ইতিহাস আদ্যপান্ত জানতে চায় সে । চিকিৎসা কি হচ্ছে, কোথায় এর ভালো চিকিৎসা মিলবে ইত্যাদি মিলিয়ে আকুতি ভরা লম্বা এক মেইল । পড়তে গিয়ে বুকের কোথাও টনটন করে উঠলো । অজান্তে হাতটি বুকের সুডৌল ঢালটি ছুঁয়ে অলস পড়ে থাকা ছোট্ট লকেটটিকে আঁকড়ে ধরে থাকলো । মনে পড়ে গেল এই উদোম বুকের ছবিই আমি তাকে পাঠিয়েছিলাম একবার । লিখেছিলাম, বুকের তিলটি খুঁজে পেলে কিনা বলো । এই মূহুর্তে আমার এসব কথা মনে করা উচিত হলো কিনা ঠিক বুঝে উঠতে পারা গেলোনা । তবুও সে বুকখানিই টনটন করে উঠলো এখোন, খানিকটা কষ্টে খানিকটা নিজের উপর রাগে ।
পরে, পৃথিবীর পথ ছেড়ে সাঁঝের বাতাস যখোন সান্ধ্য মেঘের রঙ খুঁজে খুঁজে ফিরছে ; তার ফোন এলো । চমকে গেলেও বুঝলাম অস্থির হয়ে আছে সে । সরাসরি কথা বলতে চায় ।
- “শীলা, আমাকে ছেড়ে সত্যি সত্যি তুমি চলে যাবে , যেতে পারবে ? প্লীজ, আমাকে ছেড়ে যেওনা ! বলো, যা কিছু বলেছ তা সব মিথ্যে ।”
যেন বহুদুর থেকে তার কন্ঠ ভেসে এলো হিমাদ্রীর শিখর ছুঁয়ে, পৃথিবীর সব শীতলতা নিয়ে । কেঁপে উঠলাম । তার কন্ঠে কান্নার সুর, কেঁদে ফেললো সে – “ প্লীজ...প্লীজ...প্লীজ ডোন্ট লিভ মি....” । বাকীটুকু শুনতে পেলাম না ভালো করে, কান্নার শব্দে হারিয়ে গেছে । চোখে জল এলো আমার ও । মিথ্যের সুতোয় বোনা কাপড়খানি ভিজে গেল জলে । মনে হলো কোনও এক গল্পের ভেতর থেকে আমি উঠে এলাম । হু হু করে কেঁদে ফেললাম আমিও । বোকার মতো কি ? নাকি এও এক ছলনার জাল, আমাকে দিয়ে বুনিয়ে নিয়ে গেল অন্য এক অশুদ্ধ নারী ? সন্ধ্যের বাতাসের আর খোঁজা হলোনা মেঘের রঙ । পৃথিবীর কোনও এক প্রান্তে নতজানু এক পুরুষের সাথে এইমাত্র ঘটে যাওয়া অভিনয় দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল বাতাস । কান্না হয়ে মেঘ যেন মিশে যেতে চাইলো মাটিতে । তাই কি রাত ভর বৃষ্টি ? অভিনয় এতো সুন্দর হয়, জানে কি সে ?
আমাতে সমর্পিত সেই মানুষটির চোখেই আমি কাল জল ঝড়িয়েছি । এখোন একটু একটু অনুশোচনা হচ্ছে । এভাবে তাকে ফেরানোর কথা না বললেও হতো । আসলে আমার নিজেকেই আমি বুঝে উঠতে পারছিনে ঠিক ঠিক । এক একবার তাকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছি অন্য সবার মতো আবার পরক্ষনেই সে যে কেন এসে সামনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে ! আমার সকল কাজের ফাঁকগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে সে যেন বাতাসটুকুর মতো দুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে আমায় বারেবার । কেন ? জানি ফুল থেকে ফল হয়, ফল থেকে বীজ – সে কি তার শুরু না শেষ ? আমি তো শেষ করতেই চেয়েছিলাম । জানিনা শেষ হলো কিনা !
আজ এই সকালে ফোলা ফোলা চোখের দিকে তাকিয়ে গতকালের ছবিগুলো যেন ধারাপাতের নামতাগুলোর মতো মুখস্ত আউড়ে গেলাম আমি । যাক এবার তাহলে ছুটি । দীর্ঘশ্বাস পড়লো একটা আর ঠিক তখনই বিছানার উপরে রাখা মোবাইলে কাঁপন উঠলো । শোয়েবের ফোন ।
- তোমাকে ল্যান্ড ফোনে পাওয়া গেলনা । মূখ ধুচ্ছিলে হয়তো । তাই মোবাইলে রিং দিতে হলো ।
শুনে যাচ্ছিলাম ওপারের কথা । হা-হু করা ছাড়া বেশী কথা বলতে ইচ্ছে করছিলো না । মাথাটাও ধরেছে এই সাথে । দুদিন পরেই তো আসছে শোয়েব । তখন না হয় শোনা যাবে । বলতে যাচ্ছিলাম, দু’দিন পরেই তো আসছো তখন না হয় শুনবো । বলা হলোনা । ওধার থেকে যা বলা হলো তার সারমর্ম এই যে, শোয়েব কাজে আটকে গেছে তাই তার আসা হবেনা । হাপ ছেড়ে বাঁচতে চাইলাম কি ! আমার যা মনের অবস্থা তাতে একটু সময় দরকার আমার ধাতস্থ হতে । এও এক বিড়ম্বনা হয়ে উঠতে পারে । সময় যেমন সবকিছু সারিয়ে তোলে তেমনি আবার আগোছালোও করে দিতে পারে সব । আমার সময় চাইনে । আমি তাহলে আবার জড়িয়ে পড়তে পারি শেষ হয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ এক খেলায় । মানুষের মন পদ্মপাতায় জলবিন্দুর মতো, টলে যেতে কতোক্ষন ! আমার যে শোয়েবকে চাই । ওর অনুপস্থিতিতে আমার হাতে যে খরচ করার চেয়েও বেশী সময় জমে থাকবে । বললাম, “কি এমোন কাজ যে তুমি আসতে পারবেনা ?”

ফোলা চোখের মনঃপুত ব্যাখ্যা পাওয়া দুরূহ হয়ে গেল । তাহলে কি আমি রাতে কোন স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘুমিয়েছি ! নাহ্‌ মিলছেনা । বিভোর ঘুমে চোখ ফোলেনা । তাহলে রাতে আমি কি স্বপ্নে কেঁদেছি ? কিম্বা দুঃস্বপ্নে ঘুমের ভেতর ছটফট করেছি ? মনে পড়ছেনা । স্বপ্নেরা এতো তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায় কেন ? বাইরে বারান্দায় গিয়ে তোয়ালে মেলে দিতেই আবার চোখ গেল কামিনী গাছটায় । একটা নয় এবার দু’টো চড়ুই গা ঘেষে বসে আছে । হঠাৎ হঠাৎ ঠোটে ঠোটে , পাখায় পাখায় আদরের ঝাপটাঝাপটি । শিরশির করে উঠলো শরীর । লালের ছোপ লাগলো কি গালে ? না লাগেনি । লজ্জায় লাল হয় তারাই যারা নিষিদ্ধ কিছুর সামনাসামনি পড়ে যায় অকস্মাৎ যা তার অপরিচিত । আমি যে নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি প্রবল ভাবে আকর্ষিত এ কথা বলা হয়তো ঠিক নয় । আবার আমি এমোনও নই যেখানে নিষিদ্ধতা কাঁটাতারের বেড়া দেয়া সীমানার ওপারের কেউ যেন ।
আহার, নিদ্রা আর মৈথুন ছাড়া মানুষের জীবনে আর কি কিছুই নেই ! মানুষ যেন এই ত্রিরথের চাকায় পিষ্ট অসহায় এক প্রানীর মতো ধুঁকে ধুঁকে চলে । আহার তার ক্ষুধার সবটাই মেটায় সত্য , নিদ্রা আনে প্রশান্তি । কিন্তু শুধু মৈথুন কি মানুষকে তার দেহের সবটুকু সুখ পুষিয়ে দিতে পারে ! তাহলে লোকে যে বলে “ভালোবাসি ভালোবাসি ....” তাহলে সে ভালোবাসা কি ? এর বাইরের কিছু ? দেহজ ক্ষুধার বাইরে অচিনপুরীর কোনও গোপন চোরকুঠরী ? সে মঞ্জিলে পৌঁছুতে কি মৈথুনই একমাত্র মন্ত্র ? অন্ত্যজ প্রানীদের মৈথুনও কি সমগোত্রীয় ? অন্ত্যজ প্রানীদের কি ভালোবাসা বলে কিছু হয় ? ভালোবাসার শেষ কি শুধু দেহের বাঁকে বাঁকে তরী বেয়ে চলা ! নাকি ঢেউ যেমন আছড়ে পরে কূলে তেমনি সে দেহের বাঁক পেরিয়ে স্থিত হতে চায় হৃদয়ের কোনও বেলাভুমিতে ! এই কি তার মঞ্জিল, তার সমর্পন ! দেহের পথ দিয়েই কি মন এর গভীর অরণ্যে যেতে হয় নাকি ভেসে চলতে চলতে মনকে একসময় দেহের আশ্রয়ে থিতু হতে হয় ! কোনটি আগে, দেহ না মন !
ভৎর্সনা করে সে তো আমাকে লিখেছিলো –
“লভ এবং লভমেকিং এক জিনিষ নয় । লভমেকিং করতে লভ লাগেনা । তুমি “লভ”কে শরীরের সাথে গুলিয়ে ফেলেছো । শরীর লভ এর ল্যজিকাল সিকোয়েন্স হলেও হতে পারে, আদি নয় । ভালোবাসায় শরীরটিই শেষ কথা নয় এটুকু বুঝতে চেষ্টা করো শীলা ।” লিখেছিলো আরো অনেক কিছু ।
আমি বুঝতে চাইনি । আমার তখোন শঙ্খলাগা ঘোর । আমি চেয়েছিলাম আরো বেশী করে নিমগ্ন হতে । যুক্তি তুলে ধরে মুঠোফোনে শুধিয়েছি , “ তোমার কি এ ব্যাপারটি খারাপ লাগছে ? সত্যি করে বলতো, বিবাহিত জীবনে সব মানুষই কি তার আদিম জৈবিক চাহিদার সবটুকু আনন্দ আইনে বৈধ এমোন একজনের সাথে মিটিয়ে নিতে পারে, নাকি তা মেটে ? তোমার নিজের কাছে কি মনে হয়না, কিছু অতৃপ্তি থেকে গেলো কোথাও এতোদিনের জীবনে ? আমরা দু’জনেই পরিনত বয়সের । আমি তো জেনেই আমন্ত্রন জানিয়েছি তোমায় । শরীর থেকেই তো আমরা দু’জনে আরো কাছে আসবো, তাইনা ? হোকনা তা দুরাগত ।”
ওপাশে যে একটা ঝড় বইছে আমি তা বুঝতে পারছি ঠিক । আমি তো তাকে নাচাতেই চাইছি অন্য সবার মতো । সে নেচে গেছে বটে আমার তালে তবে আমার ছন্দহারা পায়ের তাল এর অসংগতিও দেখিয়ে দিতে ছাড়েনি । শুধরে দিতে চেয়েছে । এতো শুদ্ধ আর অনেকটা বোকা, এই রকম মানুষটা নিয়ে আমি কি করি ! তার এই ভালোমানুষিটাই কি আমাকে একটু একটু করে গিলে নিচ্ছে অজগরের মতো ! ইথারে কাঁপন তুলে এক দুর দ্বীপবাসির মতো কায়াহীন আলিঙ্গনে তার আমাতে উপগত হওয়ার গন্ধ আমি তীব্র শীৎকারে জানান দিয়েছি । মরি টেনে নেয়া বাঘিনীর মতো আমি তাকে টেনে নিয়ে গেছি গহীন অরন্যের গভীরে । ওপারের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে আমার ভালো লেগেছে কিনা । পরিতৃপ্তির মৌ মৌ গলায় শুধিয়েছি – “তোমার ?”

কাল রাতে আমার শরীর কি তবে আমার অবচেতনে সেই সুরের ছোঁয়া পেতে উতলা হয়ে ছিলো ! তাই ঘুমের ভেতরেই ছটফট করেছি হয়তো । ভালো ঘুম হয়নি তাই । এতো কাছে টেনে এনেও আমি তার দেখা পাইনি । সে যে আমার অজান্তেই ঠিকানা খুঁজে খুঁজে ফিরে গেছে ।
আমি নিজেই যে তাকে ঠিকানা দিইনি ।

দরজায় শব্দ হতেই দেথি যুঁথী ।
ভাইয়া টেলিফোন করেছিলো, বলেছি তুমি বাথরুমে । কথা হয়েছে ? যুঁথী দরজার কপাট আঁকড়ে ধরে দাড়িয়ে থাকে ।
- হ্যা, মোবাইলে হয়েছে । তোমরা কি জানো তোমার ভাই এবার আসতে পারছেনা কাজের চাপে ?
- জানি, আম্মার সাথে কথা হয়েছে । আম্মাকে ফোঁপাতে দেখেছি । কি জানি কেন । বাদ দাও ভাবী, খেতে আসো । নাস্তা রেডী ।
এবাড়ীতে ছয় চেয়ারওয়ালা ডাইনিং টেবল । একমাথার চেয়ারটা খালিই পরে থাকে সপ্তাহের পাঁচদিন । শোয়েবের জন্যে নির্দিষ্ট । কেউ বসেনা ওটাতে । সামিয়া মাঝেমাঝে জেদ ধরলে বসতে দিতে হয় । ওর জায়গাটা শোয়েবের বাম দিকে যাতে সামিয়াকে খাইয়ে দিতে অসুবিধা না হয় । সপ্তাহান্তে বাপ-বেটির এখানেই একাত্ম হওয়ার ফুরসৎ মেলে । আমার জায়গার কোনও ঠিকঠিকানা নেই । এক জায়গায় বসলেই হয় । বাকীরা যে যার মতো বসে পড়ে । কেবল শ্বাশুড়ী একা একা বসে খান , আমাদের খাওয়ার আগে আগে । উনি বলেন, ডায়াবেটিসের রোগীতো, তোমাদের সাথে বসলে অনেক কিছুই খেতে ইচ্ছে করবে । বেশী খাওয়া ডাক্তারের বারন আছে । তাই আমার আলাদা খাওয়াই ভালো ।
কিন্তু আমি জানি এটা ওনার ঢং । আমাকে আর শোয়েবকে একসাথে দেখতে ওনার ভালো লাগেনা । বেশী শিক্ষিত বউ ঘরে আনতে ওনার আপত্তি ছিলো । সে আপত্তি টেকেনি । তাই তার না-পছন্দের তালিকায় আমিও একজন । আমার ডেক্সটপের সামনে বসাটাও যে তার পছন্দ নয় সে ও আমি জানি । কিছু বলতে চাইলেও বলেন না । জানেন, যে শক্ত হাতে সংসারের তরীখানি বইছে তরতর, তাকে অহেতুক চটিয়ে দেয়া বোকামী । তবুও ওর ফোঁপানোর কথাটি মাথায় গেথে রইলো ।
আজ ক’দিন থেকে নাস্তায় ডিম বাদ । মুরগির ফার্মগুলোতে কি নাকি সংক্রমন ঘটেছে । সংক্রমন কোথায় নেই ! দেশজুড়েই তো ভয়াবহ অনৈতিকতার সংক্রমন । সংক্রমন আমার মনেও কি কম ! ‌আমার শ্বাশুড়ীর মনেও তো সন্দেহের চোরাগুপ্তা সংক্রমন । সেটা যুথী আর পলাশের মাঝে সংক্রমিত হলেও অবাক হবোনা । পোলট্রিগুনো বাদ যাবে কেন !
আলুপটলের ভাজি, রুটি আর একগ্লাস দুধ সামনে নিয়ে সামিয়া তাকিয়ে আছে আমার দিকে । মাম্মী, রোজ রোজ ভাজি খেতে ভালো লাগেনা । একই জিনিষ রোজ রোজ কেন করছে সখি বুয়া ! ওকে বলো না অন্য কিছু করতে ।
সখিনা বানু আমাদের বাসার কাজের মেয়ে । আটোসাটো গড়ন । ময়মনসিংয়ের ওদিকে কোথায় যেন বাড়ী । গারো মেয়েদের একটা ধাঁচ আছে কিন্তু গারো নয় । এখানে আসার আগে মোটামুটি শ্যামলা ছিলো গা”য়ের রঙ । এখোন তা বেশ উজ্জল । সাবান, তেল আর প্রতিদিন স্নানের ফল । শাড়িটিও গা’য়ে সুন্দর করে জড়ানো থাকে সারাক্ষন । মা মরা মেয়ে । তাই আদরে সোহাগে মিলিয়ে আমাদের একজন হয়ে উঠেছে । বাইরের কাউকে সংসারের একজন হয়ে উঠতে গুন লাগে , এ গুনটিও তার বেশ । সামিয়ার খেলার সাথী । সামিয়া ওর পুরো নাম বলতে পারেনা নাকি ইচ্ছে করেই ডাকেনা জানিনে । ডাকে সখি ।
“একই জিনিষ রোজ রোজ কেন করছে সখি বুয়া” খট করে কানে বাজলো কি কথাটি ! রোজ রোজ একই জিনিষ ভালো না লাগার কথাটি ! আমার চেয়ে এ কথাটি কে বেশী বোঝে, জানে ! গত রাতের ঘটনার পরে তো এ কথাটা কানে বাজতেই পারে । শুধু ঐ একজনের সাথে কেন যে বারবার ব্যতিক্রম হয়ে যায় । ছেড়ে যেতে চাইলেও পারিনা । কি যেন এক স্রোতের টানে বার বার ভেসে যাই, কূল হাতছাড়া হয়ে যায় । ভাসতে থাকি অথৈ জলে । আমাকে যে কূলে উঠতে হবে !
সেই কূলে ওঠার ইচ্ছে থেকেই তো একটা গল্প ফেঁদেছি । রক্তবীজে সংক্রমনের গল্প । এ থেকে যে তার শীলার নিস্কৃতি নেই । মরনের ওপারে গেলে সে কোথায় রক্তমাংশের শীলাকে খুঁজে পাবে ! শিলাপটে তার আর লেখা হয়ে উঠবেনা কোনদিন । শীলা নামের কেউ একজন অতীত হয়ে যাবে তার কাছে ।
আর আমিও এরপরে একবারও জানবোনা, আমারই গড়ে তোলা আরশী নগরে যে একদিন বসত করতো আজ সে কোথায় - কেমন করেই বা কাটছে তার দিন !
নটে গাছটি মুড়োনোর মতো আমার গল্পও ফুরোবে তখন ।
(চলবে..... অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন)

পঞ্চম অধ্যায় / (প্রথম অংশ)
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×