অনাহারে আর অনাচারে মানুষের সুবিন্যস্ত স্বপ্নগুলো যখন ভারসাম্যহীন হয়ে নুয়ে পড়ে তখনই মানুষ ভুল-শুদ্ধের মানদণ্ডে নিজেদেরকে আর বিচার করে না। বর্তমান সময়ের এক জঘন্যতম অপরাধের নাম হলো মানব পাচার।
তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা ও দুর্বলতার ফলশ্রুতিতে দিন দিন বেড়েই চলেছে এই অপরাধ। বাংলাদেশ যখন বর্তমানে বহি:বিশ্বে বিভিন্ন দিক দিয়ে ইতিবাচকভাবে আলোচিত হচ্ছে তখন এদেশের রাজনৈতিক ও দুর্বল প্রশাসনিক কর্মদক্ষতার সদ্ব্যবহার করে পিশাচদের কর্মকাণ্ডের ফলে সমালোচিতও হচ্ছে। একই ঘটনা বারবার ঘটার পরও সরকার দৃঢ়চিত্তে কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেনা তা অবশ্যেই ভেবে দেখার বিষয়। শুধুমাত্র বিভিন্ন সংস্থার মানবাধিকারমূলক আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আর আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের গাল ভরা বুলির পদতলে ধূলিত হচ্ছে অসহায় মানুষগুলোর স্বপ্নময় জীবন। সরকারের অবশ্যই এটিকে প্রতিহত করতে হবে। তবে এই সমস্যা শুধুমাত্র গোটা কয়েকটি অঞ্চলের জন্যই নয় বরং এটি একটি রাষ্ট্রীয় সমস্যা আবার কিছু ক্ষেত্রে একে বৈশ্বিক সমস্যা বললেও ভুল হবে না। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী সুচিন্তিত পদক্ষেপ গ্রহণ আর গণসচেতনতা। মানুষের জৈবিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে না পারলে কোন পদক্ষেপই কার্যকরী হবে না।
সর্বোপরি, সরকারকে এই বিষয়টির দিকে গভীরভাবে মনোযোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর দেশের মানুষকেও মানব পাচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থান নিতে হবে।