আজ আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস -২০১৫।
দুর্নীতি আমাদের দেশের সকল প্রকার উন্নয়নকে করছে ক্ষতিগ্রস্ত আর সুশাসনের মৌলিক গতিধারাকে করছে মন্থর। প্রশাসনিক দুর্বলতা আর রাজনৈতিক চরম উদাসিনতা আমাদের দেশে মাকড়সার জালের মতো বিস্তৃত করে তুলেছে দুর্নীতিকে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা আর জবাবদীহিতার অভাবে মানুষ দিনের পর দিন শিকার হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তির। অপরদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন (সংশোধিত), ২০১৩’ পাস করে তাতে প্রহসনমূলকভাবে ৩২(২) ও ৩২-ক ধারা সংযোজন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের বাঁকা মেরুদণ্ড যেন প্রায় ভেঙেই দেওয়া হয়েছে। অথচ তা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, বৈষম্যমূলক, আত্মঘাতী ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন। বিভিন্ন তথ্যে উঠে আসা দুর্নীতির বাস্তব চিত্রকে সংশ্লিষ্টরা অগ্রাহ্য করে এবং সেই সাথে আইনের মেরুদণ্ডকে বাঁকা করে দিয়ে ভোগের রাজ্য তৈরি করে চলেছে সর্বত্র। সামগ্রিকভাবে, মুখে বুলি না ছুড়ে সরকারি কঠোর নীতিমালা ও আইনের অনুশাসনে দুর্নীতিগ্রস্তদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
দুর্নীতির শিকার হওয়ার অন্যতম কারণ হলো তথ্য না জানা। তাই সকলকে তথ্য অধিকারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ সম্পর্কে নিজে জানুন এবং অন্যকেও জানতে সহায়তা করুন। চলুন সবাই মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সজাগ হই। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে আগামি প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলি ক্ষুধা-দারিদ্র্য-দুর্নীতিমুক্ত জাগ্রত সোনার বাংলাদেশ।।।