- এইযে ভালো।
- তুমি এখনো রাতে দেরী করে বাড়ি ফেরো?
- এখন রাতে কোথাও ফিরে যাই না।
- কেন?
- উত্তর দিতে বাধিত নই যে।
- এখনো একরোখাই আছো?
- তর্কে আগ্রহী নই।
- তোমার চোখ এত নির্লিপ্ত কেন? শরীর খারাপ?
- সবার চোখে ছাই ধরা পড়ে না।
- তোমার চোখ দেখেই সব বলে দিতে পারি।
- হয়ত একসময় পারতে।
- বলতে চাও এখন পারিনা?
- সেই সময় ফুরিয়েছে বহুকাল আগেই।
- আমাকে তোমার মনে পড়ে না হোসেন?
- সবসময় নয়, গোলাপ দেখলে মনে পড়ে।
- পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে?
- অতীতের পেছনে আর ছুটি না।
- গোলাপ দেখলে কি ভাবো?
- গোলাপের কাটা ফোটার যন্ত্রনা, সুবাস মনে পড়ে না।
- তবে আজ তুমি এখানে কেন এসেছ?
- কাকতলীয়।
- তুমি জানতে আমি আসব এখানে আজ?
- না।
- তোমার মনে আছে, প্রথম গোলাপ তুমি আমাকে এখানেই দিয়েছিলে?
- সে মানুষ আলাদা।
- মানুষ কি আসলেই ভুলতে পারে সব?
- মানুষই একমাত্র সবার আগে মানুষকে ভুলে যায়।
- অভিমান থেকে বলছ?
- আবেগি ব্যাপার থেকে আমি এখন মুক্ত।
- আমি চলে যাচ্ছি হোসেন।
- ঠিক আছে
- তোমার জন্য একটা গোলাপ এনেছিলাম, তোমাকে দিতে চাই৷ নেবে?
- না।
- আমি চলে যাচ্ছি।
- যে বহু আগেই চলে গিয়েছে তার ফিরে আসবার কোনো কারন নেই।
এই রাস্তার মোড়ে প্রচুর ফুলের দোকান। মধ্য রাত থেকেই ফুলের গাড়িগুলি দূর দুরান্ত থেকে আসতে শুরু করে। ভোরের দিকে ফুলের গন্ধে ম ম করে চারিদিকে। দুটি মানূষ দুটি দিকে চলে যাচ্ছে। একটা গোলাপ ফুল, রাস্তায় পড়ে থাকে। ফুলটি নেবার কেউ নেই। গোলাপ ফুলটি জানে, একজন একটি গোলাপ ফুলের আশায় কত আবেগ নিয়ে একসময় প্রতীক্ষা করেছে,
আজ যার নেবার, সে আবেগহীন।
যে দেবার সে এখন আবেগশূন্য।
গোলাপ ফুলটি দুটি মানুষের চলে যাবার একটি সময়ের কেবল সাক্ষী হয়ে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫০