মাল খায়া আইছি। মাথাটা আউলা হয়া আছে। যেই দিকে তাকাই খালি হতাশা আর হতাশা । আমরা চুদির পুত বাংগালিরা কবে সচেতন হব ? খালেদা নগ্ন ভাবে ফাকিস্তানের নেতা গো ঐটা চাটে। হাসিনা চাটে দাদাবাবু গোটা। এলা আপনে বিনপি করেন আওয়ামি লীগ করেন, আপনের এইটা মাণতেই হবে। কিছু কথা কই শুনেন ! কথাগুলা তিতা হইলে ও হাছা । মাল পেডে বেশি পড়ছে। গাইল বেশি পাড়লে মাপ কইরা দিয়েন।
বাংলাদেশের ইতিহাশ মানেই লুন্ঠনের ইতিহাস। আর্য , হুন, আরবি, মোঘল, বর্গি, আফগান, ইংরেজ , ফাকিস্তানিরা আমাগোর পট মারছে । ইতিহাস বলে আমরা ছিলাম একটা প্রাচুর্যে ভরা দেশ। কিন্তু হাজার বছরের পট মারা আমাদের পরিনিত করেছে খয়রাতি দেশ এ। আমরা ঝুড়িবিহিন দেশ হলেও কোন সমস্যা ছিল না। আমরা আবার ও এই খালি ঝুড়ী ভরতে পারতাম। সমস্যা করছে, কিছু জারজ রাজনিতিবিদ আর বাপ-মা হীন সম্পদশালিরা। এই শুওরের বাচ্চারা এখন বৈদেশিক ঋনের নামে আর সাহায্যের নামে আমার মায়ের পরনের কাপড় টা ও খুলে নিতে চায়।
আমাদের এক আপষহিন নেত্রি এখন তার বাড়ি রক্ষার জন্য আন্দোলোনের হুমকি দিচ্ছেন। এবার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাস্তার জন্য জমি আধিগ্রহনের নামে অকারনে অপ্রয়োজনীয় ভাবে জায়গা অধিগ্রহন করা হোল , তখন কোথায় ছিল আমাদের এই দুই জারজ নেত্রি। আমি নিজের চোখে দেখেছি কিভাবে অতিরিক্ত যায়গা অধিগ্রহন করে নাম মাত্র মুল্যে ডেভলাপারদের এই দেয়া হয়েছে। অথচ কথা ছিল রাস্তা বাদে আর এক ফূট জায়গা ও নেয়া হবে। এই দুই জারজের ফাকিস্তান আর ভারতের পা চাটাচাটীড় ফসল হিসাবে এখন পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থা। হাসিনা যা তা খালেদা র তো নৈতিকতা বলে কিছুই নাই। উনি নাকি জনগনের জন্য জানপ্রান দিয়া ফালান । কি দরকার বাপু তোমার ক্যাচাল করার, আমরার শান্তি চাইলে দিয়া দেও ঐ বালের ক্যান্টনমেন্টের বাড়ী। শালার যার একটা বাড়ীর লোভ সাম্লানোর ক্ষমতা নাই , তারে এই আমরাই আবার ভোট দেই। জানি , তারপর ও দিবেন। তারে না দিলেও হাসিনারেই দিবেন । এই হাসিনারে রক্ষার লাইগা ভারত প্রয়োজনে সেনা পাঠানোর ঘোষনা দিল কয়দিন আগে, এই কুত্তার বাচ্চারে কি আমরা ভোট দিচি , ভারতের এই হুংকার শুনার লাইগা ! শূওরের বাচ্চারা ! এই বাংলায় ঢূইকা দেখ একবার ! ধোন্ টা কাইটা ছালটা হাতে দিয়া আবার দিল্লিতে পাঠায়া দিমু। হাসিনা বুবু কইলাম, জননেত্রি ! উনি প্রনব বাবুর হুংকার শুইনা খুব খুশি হইছিল, তাই প্রতিবাদ করার কথা একবার ও মনে ও করেন নাই ! যা ! বাল ! বুবু ভুইলা যাইয়েন না , আপনেরে ক্ষমতায় আনছি আমরা , তিরিং বিরিং করলে গোয়ায় লাথি ও আমরাই সবার আগে দিমু, ভারত কেন আমেরিকা আব্বা ও কেউরে তখন রক্ষা করতে পারতে পারব না ! অতঃএব সাধু সাবধান !
ইতিহাস বলে আমরা বাংলার মানুষ খুবি শান্তিপ্রিয়। বাংলার মানুষ কখন ও আগ্রাসি ভুমিকা পালন করেনি। বরং আমাদের শান্তিপ্রিয়তার সুযোগ নিয়েছে অনেকে। আমরা শুধু আগ্রাসনের শিকার । দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং বিদেশী প্রভুরা ততদিনে বুঝে গেছে লুন্ঠনের আর বাকী নেই কিছু- তারা আমাদেরকে স্বাধীনতা উপহার দিয়ে চলে গেছে; আমরা হয়ে উঠেছি বীরের জাতি ! যে জাতি কখনো অন্য দেশ আক্রমন করে শত্রুর রক্তে নিজের হাত রাঙ্গায়নি সে জাতি আবার বীরের জাতি ? নিজের জীবন বাঁচাতে মরিয়া মানুষ অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে, কিন্তু তাকে কি বীরত্ব বলা যায় ?
কাপড় বেইচা, জনশক্তি বিদেশ এ পাঠায়া, বিদেশি খয়রাতি টেকায় এই তলা বিহিন ঝুড়ি মেরামতের চেস্টা চলছে আজ ৩৮ বছর ধরেই। কিন্তু তা কি যথেস্ট ? দেশ সেনা বাহিনি দিয়ে দখল করার যুগ শেষ হয়েছে অনেক আগেই । চলছে নয়া ফ্যাশনে দেশ দখল । দখল করছে আমাদের সংস্কৃতি , আকাশ। আকাশ সংস্কৃতি নিন্ত্রন করছে আমাদের অভ্যাস, ভালোলাগা-মন্দলাগা। আমাদের এই নতুন স্বভাব আর নতুন চাহিদা পুরন করতে বাজার ও প্রস্তুত। আমরা এখুন নয়া হালতের উপনিবেশ। নতুন ধরনের দাস। আগের দাসরা মাঝে মইধ্যেই পোল্টি দিত। আমরা এখন তাও পারি না । আমরা তাই চাই যা আমাদের আব্বারা চান।
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার আমরা কখন ও ভারত , চীন কিংবা আমেরিকার আকাশ কিংবা বাজার কোনোটাই নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। আপনারা জানেন ইতিমধ্যেই আমরা এই তিনটা দেশের ই টার্গেট এ আছি। মাটির উপরের সোনা খেয়ে গেছে আমাদের আগের আব্বারা । মাটির তলের সোনায় হিস্যা বসিয়েছে নয়া ঔপনেবেশিক কর্পোরেট আব্বারা, আর আমরা ঐ খানে সুট-টাই লাগায়া ১০-৫টা অফিস করতে পারলেই নিজেরে ধন্য মনে করি। যতসব কুত্তার বাচ্চার দল । ঘনবসতির দরুন সবচেয়ে দারুন বাজার পেয়ে যাচ্ছে আকাশ ও বাজার দখলকারীরা। বাতাসেও হাত বাড়িয়েছে কয়েকটি দেশের ডাকাতেরা। এই দেশের বাতাস বেচে হাজার হাজার ডলার বিনা বাধায় নিজেদের দেশ এ নিয়ে যাচ্ছে । আমরা ক্রিকেট দলে স্পন্সর খুজে পেয়েই তাদের খুব খুশি। আমাদের গৌরব মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ও তাদের গর্বের সীমা নেই। বিশেষ দিন গুলোতে তারা যা করে ! দেখে শুধু একটা কথা মনে পড়ে- " মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশী " আর ও একটা কথা ও মনে পড়ে- " মায়ের চেয়ে বেশি দরদ যার তারে বলে ডাইনী।"
এদেশের ভূগোলও এদেশের কম শত্রু নয় । শিলিগুড়ি করিডোর ছাড়া ভারত তার সপ্তকন্যার বাড়িতে পুজা-পার্বনে বেড়াতে যেতে পারেনা-যেটা নাকি চীনের বেশ কাছাকাছি এবং স্পর্শকাতরও বটে । এজন্য বাংলাদেশের উপর দিয়ে চাই সোজা পথের ট্রানজিট । হয়তো একটা বড়সর নদী কেটে যোগাযোগের রাস্তাটা আরও সহজ করে নেয়ার আব্দারও ভারত করবে অদূর ভবিষ্যতে । চীন যদি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহারই না করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ চীনের কিসের বন্ধু ? যেভাবেই হোক চট্টগ্রাম বন্দর চীনের ব্যবহার করা চাই । তাহলে যে তাদের অনেক সময় আর অর্থ বেঁচে যায় । আর বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা ? এদেশের ভূগোলে কি তার কোন স্বার্থ নাই । দু-পাশে দু-দুটো বর্তমান আর হবু পরাশক্তি । এমন একটা অবস্থান কি সহজে ছাড়া যায় । বাংলাদেশের ভূখন্ডে তাই আমেরিকার স্বার্থ সবচেয়ে বেশী ।
আমরা কি হাজার বছরের গোলামীর ইতিহাস ধরে রাখব ? নাকি আবার ফিরে যাব গংগারীড নামের সেই দেশ এ। যে রাজ্যের বিক্রম , শক্তির কথা শুনে মহাবীর আলেক্সান্ডার এ দিকে না এসেই ফিরে গিয়েছিলেন ! মায়ানমারের দেশ ও কত সহজে আমাদের গায়ে আচড় কাটার কথা চিন্তা করে !!!
আগামিতে আমরা হয়ে উঠি একটি আগ্রাসি দেশ। ন্যায় বিচার করার ক্ষমতা শুধু শক্তিমানের থাকে। দুর্বলের থাকে শুধু ন্যায় বিচার চাইবার জন্য আহাজারি। বাংলাদেশ ইতিহাসের বৃত্ত থেকে বের হয়ে হয়ে উঠুক একটী শক্তিশালি আগ্রাসি দেশ ।