সম্প্রতি একজন নারী সাংবাদিক অবমাননা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বাইরে রেখে আলোচনা করলে ব্যাপারটা দাঁড়ায় এমন যে, একজন লোক আরেকজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে চরিত্রহীন বলেছেন। এবারে আন্দোলনের বিষয়বস্তু হচ্ছে 'নারী সাংবাদিক অবমাননা'। প্রশ্ন উঠতে পারে এখানে কাকে অবমানন করা হলো। একজন সাংবাদিককে নাকি একজন নারীকে।
নারীবাদের আসল লক্ষ্য হলো নারীকে পুরুষের সমমর্যাদায় তুলে আনা। অর্থাৎ বর্তমান অবস্থার উন্নতি করা। কিন্তু আসলে কী করা হচ্ছে? যেকোনো পেশাজীবীর পদবীর আগে যদি আমি নারী লাগিয়ে দিই তাহলে ত সে নারীই রয়ে গেলো। কই পুরুষ সাংবাদিক বলে কিছুর অস্তিত্ব ত পাওয়া যায় না। আন্দোলনের শিরোনাম যদি এমন হয় তাহলে ত সে নারীই রয়ে গেলো; আর সাংবাদিক হয়ে উঠা হলো না।
একজন নারী সাংবাদিককে অবমাননা করা হয়েছে এইকথা না বলে বলুন, প্রকাশ্যে সাংবাদিক অবমাননা করা হয়েছে। এই কথা বলতে পারার আগে পর্যন্ত উন্নতি হবেনা; না নারীদের, না বর্তমান ফেমিনিস্টদের।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৯