১ »» সৌদি আরবের মেয়েরা বোরকা না পরে ঘর থেকে বাহির হতে পারে না হউক সে বি ধর্মি। এরা এটা চিন্তা ও করতে পারে না যে বোরকা ছাড়া ঘরের বাহির হওয়া। এখানে ইহুদি খ্রিস্টান সবাই সমান ভাবে পর্দাশিল।
»» বাংলাদেশের মেয়েরা বোরকা না পরেই ঘর থেকে বাহির হয়। এরা বোরকা পরে বাহির হলে ও ইতসস্তা বোধ করে। কিছু কিছু কলেজে বোরকা পরে যাওয়া নিষেধ, অথচ মুসলিম দেশ। ঢাকা শহরে বোরকা পরা মা বোনদের অনেকেই খারাফ চোখে দেখে, কারন এই শহরে খারাফদের একটা বড় অংশই বোরকা ব্যাবহার করে।
২ »» সৌদি আরবে কোটি টাকা সাথে নিয়ে একলা একলা রাত বিরাতে যে খানে খুশী যেতে পারেন। ১০০% শিউর আপনাকে কেউ কিছুই জিজ্ঞাস করিবেনা। (তবে ইদানিং কিছু কালো সৌদি মানে ছ্যাঁচড়া চোর এর উপদ্রব দেখা যায়।)
»» বাংলাদেশে দিনেদুপুরে লাখ টাকা নিয়ে ও ব্যাংকে যেতে ভয় পাবেন। কারন যে কোন সময় ডাকাতি/ হাইজ্যাকের শিকার হওয়ার সম্ভবনা ১০০%। ( তবে ইদানিং গুম হওয়ার সম্ভবনা ও আছে।)
৩ »» পাঁচ-ওয়াক্ত নামাজের সময় এ খানে সব দোকান পাট বদ্ধ থাকে, এটা এখানকার আইন। ফলে বে-নামজিরা ও বাধ্যহয়ে নামাজে যায়।
»» বাংলাদেশে পাঁচ ওয়াক্ত নামজের সময় নয়, জুম্মার নামাজের সময় ও দোকান পাট চালু রাখা হয়। ফলে অনেকে নামাজের জন্য বাহির হয়ে ও দোকান পাটে বসে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ পায়।
৪ »» সৌদি আরবে নামজের সময় বিভিন্ন মসজিদের সামনে বসে মাল সামান বিক্রি করে যে সব হকারেরা আযানের পর তারা তাদের দোকান গুলো খোলা রেখেই নামাজে চলে যায়। এইসব দোকানে অনেক মূল্যবান মাল সামান ও থাকে। নামাজ শেষে এসে এই সব দোকানীরা যে ভাবে
রেখে গিয়াছিল ঐ ভাবেই দোকানগুলা নিরাপদ ভাবে ফেরত পায়।
»» বাংলাদেশে ফুটপাতের দোকানদারেরা পাহারা দিয়ে ও মাল সামান নিরাপদে রাখতে পারে না। আর মসজিদ গুলাতে নামাজের সময় জুতার কথা মাথায় রেখে নামাজ পড়তে হয়, আমার জুতা ঠিক মত আছে তো? কিছু চোর মসজিদে যায় শুধু ভাল ভাল জুতা চুরি করার জন্য, নামাজের
জন্য নয়।
৫ »» সৌদি আরব আপনি কোটি কোটি রিয়ালের মালিক হয়ে ও একা একা যে কোন গাছের নীচে, রাস্তার পাশে অথবা মরুভুমিতে নিচ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন, অনেক সৌদিরা শীতের সীজন টা মরুভূমিতেই কাটায়, যে খানে বিদ্যুৎ, পানি, ও গ্যাসের কোন ব্যাবস্থা থাকে না। এই সব
এলাকার আশে পাশে দু একশ কিঃ মিঃ এরিয়াতে জন বসতি দেখা যায় না। তার পরেও এখানে ডাকাতি, গুম, হত্যা ,অপহরণ, ধর্শন এ সমস্ত বিপদের সম্ভবন নাই ১০০%।
»» বাংলাদেশে হাজার টাকার মালিক হয়েও যে কোন সময় যে কোন জায়গায় খুন হতে পারেন। কোথাও আপনি নিরাপদ নন, এমন কি নিজ ঘরের বেড রুমেও খুন হতে পারেন।
৬ »» লোডশেডিং শব্দটা সৌদি আরবের ১০০ বছরের নিউজ পেপার খুজে ও পাওয়া যাবে না।
»» বাংলাদেশের প্রায় প্রতি দিনের পেপারে বড় বড় করে এই লোডশেডিং লিখাটা পাবেন।
৭ »» বাংলাদেশে খুনি ফাঁসির আসামি কেও মাফ করে দেওয়া হয়।
»» সৌদি আরবে বাংলাদেশী খুনিদের ও শিরচ্ছেধ করা হয়। দুই দিন আগে রাজধানী রিয়াদে এক বাংলাদেশীকে খুনের দায়ে এক সৌদি নাগরিকের
৮ »» সৌদি মেয়েদের বিয়ে করতে হলে, এ দেশের নাগরিক হতে হয়। এ দেশের মেয়েরা বহিরাগতদের বিয়ে করা নিষেধ। তবে এদেশের পুরুষেরা পারবে বিয়ে করতে বিশ্বের যে কোন দেশে।
»» আমার জানামতে বাংলাদেশে এ ধরনের কোন আইন নাই। বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা পারবে বিশ্বের যে কোন দেশের নাগরিককে বিয়ে করতে, এবং পৃথিবীর যে কোন দেশের নাগরিক পারবে বাংলাদেশে বিয়ে করতে।
৯ »» বাংলাদেশে মাওলানা মৌলবীদের কে দিয়ে দোয়া দুরুদ পড়িয়ে বকশিশ দেওয়া হয়। নিজের বাবা, মা, বা গত হওয়া আত্মীয় স্বজনদের কবরে মাওলানাদের কে দিয়ে জিয়ারত পড়ানো হয়, এবং প্রায় সকল বাংলাদেশী মুসলমানদের ধ্যান ধারনা এমন যে আমাদের দোয়া দুরুদগুলা,
আমাদের পরিবর্তে এই মাওলা সাহেবেরা পড়ে দিলেই চলবে।
»» সৌদিরা নিজেদের দু-আ দুরুদ নিজেরাই পড়েন। এখানে মৌলবি মাওলানাদেরকে দিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে দু-আ দুরুদ পড়ানো হয় না এবং দু-আ দুরুদের পরিবর্তে টাকা পয়সা লেনদেন হয় না।
১০ »» সৌদি আরবে প্রতি বছরের ঈদুল আযহা উপলক্ষে *বিরাট গরু ছাগলের হাট* এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না। সবসময়ের মত সাধারণ পশু বাজার থেকে উট, দুম্বা ক্রয় করে কোরবানি দেওয়া হয়। কোরবানি হওয়া পশুর রক্ত ও বজ্য পদার্থ্য সাধারণ জনগণ দেখতেও পায় না।
»» বাংলাদেশে ঈদুল আযহার অর্ধ মাস আগে থেকে মাইকিং করে কান জ্বালা পালা করা হয় জনগণের। বিভিন্ন রাস্তার উপর বড় করে গেইট করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় বিরাট গরু ছাগলের হাট। অনেক ক্ষেত্রে হাট বিরাট হলেও শেষ পর্জন্ত কোরবানির পশু ই মিলে না। কোরবানির পরে কম পক্ষে আধা মাস পর্জন্ত থাকে দুর্গন্ধ।
আপডেটঃ এই পোষ্ট টি প্রকাশ করার পর দেখলাম কেন জানি ব্লগার বন্ধুরা আমার উপর নাখোশ। সত্যি বলায় যদি আমার প্রতি আপনাদের এমন ধারণা হয়, তা হলে আমি কি আপনাদের ভাল ভাল মন্তব্য পাওয়ার জন্য মিথ্যা রচনা করে পোস্ট লিখব না কি।? যারা সৌদি আরবে আছেন তাদের সাথে আলচনা করে দেখতে পারেন আমার এই পোস্টে কোন বানোয়াট উদাহরণ দিয়েছি কি না। আর যদি সত্য বলে অপমানিত হতে হয় হলাম সমস্যা নাই। আমি আর কারো মন্তব্য ই ডিলেট করিবো না।
যার যা মন চায় বলে যেতে পারেন।
দেশের প্রতি গভীর মমতা ও শ্রদ্ধাবোধ আপনাদের ছেয়ে আমার বেশী বৈকি কম নয়।
****************************************************************
কষ্ট করে পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সবাই ভাল থাকেন এই কামনায়, আল্লাহ্ হাফিজ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১২ রাত ৩:৩৫