গাড়ি গুলোর ছুটে চলা/ তখনও বন্ধ হয় নি/ নিয়ন আলোর উপরে/ আমরা দেখলাম /এক মুঠো জ্যোৎস্না নিয়ে/ দাঁড়িয়ে থাকা আব্দুল আজিজকে।
রাত্রির জোনাকি সেজে থাকা সেই আব্দুল আজিজ যে ভালবাসতে জানে এই পথকে।
ক্লান্ত নগর চলে গিয়েছে/ উঁচু উঁচু দালান কৌটার ভিতর /তাদের জীবনযুদ্ধের সংগ্রাম সেখানে ঘুমিয়ে আছে/ আব্দুল আজিজের কোন সংগ্রাম নেই / সে বেঁচে আছে / সবুজ পাতার আষ্ঠে গন্ধে / উদাম গাঁয়ে জ্যোৎস্নার অপেক্ষায় থেকে।
চাঁদটা তখনও সুকান্তের কবিতার ঝলসানো রুটি, সূর্য্যটা তীব্র কারবারের জন্য তখনো অপেক্ষায় আব্দুল আজিজ ঠিক এই সময়ে দাবি করে বসলো এই পথের একমাত্র জোনাকি সে।
তখনি আকাশের কালো মেঘ গুলো কম্পিত আওয়াজ! কিংবা থেমে যাচ্ছিলো সময়.. তার দাবি মেনে নিয়েছে কিনা ঠিক জানা যাচ্ছিলো না..
সে দাবি করতে থাকে আমার পেটের ক্ষুধার ভালবাসা জন্য এই পথ,
আমার ২০ বছরের জেল ভালবাসার জন্য এই পথ,
আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালোবাসার জন্য এই পথ,
কালো রেব কিংবা নীল পুলিশের রসের আলাপের জন্য এই পথ।
আমি নিয়ন আলোয় জ্বলতে পারি
অন্ধকারে উড়তে পারি, আমার বৃদ্ধ আঙুল একাই সংগ্রাম মহাসড়কের ফাঁদে।
জাহাজিরা ছাড়ছে এই বন্দর, ট্রাকগুলো ছুটে যাই উত্তরের দেশে বিলাসিরা উত্তর থেকে ছুটে আসে দক্ষিণে সমুদ্রের হাওয়া বুঝতে...
আব্দুল আজিজ ৫ টাকার জীবন খুঁজে এক ধোঁয়াটে চায়ের কাপে
পৃথিবীর সুর সব নিস্তব্ধতা বরণ করলে বাঁশিতে বেজে উঠে জীবনের তরঙ্গ
আব্দুল আজিজ জ্বলতে থাকে আলো থেকে আলোর ভিতর সে বলতে থাকে
বাঁশির সুরে জোনাকিরা আরাম পাই,
তারারা হাসে।