মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মত রাজাকার মন্ত্রণালয় হওয়াটা এখন সময়ের দাবি ! যাদের অন্যতম কাজ হবে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার মত রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন করা। সেই তালিকা মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের যেমন বাড়তি সুবিধা দেয়া হয় তেমনি রাজাকার সন্তানদের বাড়তি বিড়ম্বনা দেয়া হবে !
তাতে অন্তত আর যাই হোক দেশে দুইদিন পর পর এর বাপ রাজাকার ওর বাপ রাজাকার এই রব উঠবে না।
এবং প্রত্যেকের বিয়ের সময় এই রাজাকার মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক করা হোক। তাতে অজ্ঞতাবশত রাজাকারের মেয়েকে বিয়ে করে ইজ্জত হারাবার ঝুকি থাকবেনা।
অতঃপর সময়ের পালাবদলে আমরা এক দলকে বলবো পাকিস্তানে যা, আরেকদলকে বলবো ইন্ডিয়ায় যা ! যেহেতু বাংলাদেশ, কাদের সিদ্দিকীর মত কিছু লোক থাকবে যাদের উভয় তালিকায় নাম থাকবে। তাদেরকে চাইলে আমরা কাশ্মিরে রেফার করতে পারি !
মনে রাখতে হবে একাত্তুরে সাত কোটি মানুষের বাংলাদেশে আশি লক্ষ ভুয়া সহ দুই লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার তালিকার পাশে রাজাকারের তালিকাটা নেহাত ছোট হবে না। কিংবা বলা যায় না বড়ও হয়ে যেতে পারে।
পাশাপাশি আরেকটা মন্ত্রণালয় না হলেই নয় ! তার নাম হতে পারে প্রথমা মন্ত্রণালয়। যাদের কাজ হবে বাংলাদেশে যা কিছু কেউ প্রথম করেছে তার তালিকা করা। যেমন- বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, প্রথম স্বাধীনতার ঘোষক, প্রথম এভারেস্ট জয়ী, প্রথম ফেসবুক ব্যবহারকারী, প্রথম আস্তিক-প্রথম নাস্তিক ইত্যাদি।
কেননা বলা যায় না দিন-কাল যেই খারাপ হইছে হয়তো নিকট ভবিষ্যতে কেউ একজন সেমিনার করে বলে বসবে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী হবার সময় লিংগ পরীক্ষা করে নিশ্চিৎ করা হয় নাই সেহেতু খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধান মন্ত্রী নন।
এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে 'রাজাকার' এবং 'প্রথমা' মন্ত্রনালয় গঠনে সরকার আশু যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবে এই প্রত্যাশা করছি।