somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন জি আর ই দিতে যাচ্ছেন যারা তাদের জন্য

৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ২২ জুলাই জি আর ই'র পর্ব শেষ করলাম।

কিন্তু জি আর ই'র প্রস্তুতির জন্যে দীর্ঘদিন পড়াশোনা এবং প্রচুর ঘাটাঘাটি করতে হয়েছে । কিছুদিন পর হয়তো ভুলে যাবো, কিন্তু এই অভিজ্ঞতা গুলো হয়তো অনেকের কাজে লাগতে পারে, তাই যতোটা পারি এতোদিনের লব্ধ জ্ঞান সবার সাথে শেয়ার করার প্রয়াস নিচ্ছি ।

আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম পুরনো পদ্ধতিতে, সো নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে খুব ভালো হয়তো লিখতে পারবো না, কিন্তু গুরুত্বপুর্ন কিছু তথ্য দিতে পারবো আশা রাখি ।

প্রয়োজনীয় বইসমুহঃ
১. ব্যারন'স নিউ জি আর ই ( কোন বিকল্প নাই)
২. ওয়ার্ডস্মার্ট ফর নিউ জি আরই
৩. নোভা জিআরই ম্যাথ বাইবেল ( এই বই এর ম্যাথ সলভ করে গেলে ভালো স্কোরের নিশ্চয়তা দেয়া যায় )
৪. আরকু'স জি আরই (শুধুমাত্র এসে'র জন্য )

এই কয়টি বইই আপনার জি আর ই'র প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট । তাই মনোযোগ দিয়ে এই বইগুলোই শেষ করেন । বেশি বইয়ের পিছনে অযথা সময় নষ্ট করে লাভ নেই ।

অ্যানালাইটিক্যল রাইটিং: নতুন জি আরই তে শুধুমাত্র এই অংশটাই অপরিবর্তিত আছে । তাই এটা নিয়ে নতুন করে খুব বেশি কিছু বলার নেই । আরকু'র স্যাম্পল গুলো দেখে যাবেন কিন্তু পরীক্ষায় সম্পুর্ণ নিজস্ব চিন্তাভাবনা থেকে লিখতে হবে । কারও সাথে মিলে গেলে সেটা plagiarism হিসেবে গণ্য হবে ।

ভার্বালঃ এ

ই অংশের জন্য প্রায় সবারই প্রশ্ন ওয়ার্ড মুখস্ত করতে হবে কি না? যদিও সরাসরি অ্যান্টনিম অ্যানালজি'র মতো প্রশ্ন থাকবে না তার পরও ভোকাবুলারি মুখস্ত অ্যাভয়েড করার কোন উপায় নেই । কারণ ভোকাবুলারি স্ট্রং করে না গেলে সেন্টেন্স কমপ্লিশন, কম্প্রিহেনশন সব জায়গাতেই অপরিচিত শব্দের বাহার দেখে ভিমড়ি খেতে হবে ।
এজন্যে, ওয়ার্ড শেখার জন্য পড়তে পারেন ওয়ার্ড স্মার্ট ১ এবং ২ । মোটামুটি এটা মুখস্ত করলেই ৯০% ওয়ার্ড কমন পাওয়ার কথা ।

সেন্টেন্স ইকুইভালেন্টঃ নতুন জিআরই'র সবচাইতে সহজ পার্ট বোধ হয় এই টা । একটি ব্ল্যাংকের জন্যে ৬টি থেকে উপযুক্ত ২টি ওয়ার্ড বেছে নিতে হয় । একই ব্ল্যাংকে তো ২ টি সিনোনিমাস শব্দই বসার কথা । তাই আগেই অ্যানসার চয়েস থেকে সিনোনিমাস ওয়ার্ড ২ টি বের করে ফেলুন এরপর প্রশ্ন দেখুন ।
রিডিং কম্প্রিহিনসনঃ এই পার্টটা সকল জিআরই পরীক্ষার্থীর জন্যই অত্যন্ত কঠিন । কিন্তু তাই বলে তো ছেড়ে দেয়ার উপায় নেই ! এজন্যে আসলে প্র্যাকটিস এর কোন বিকল্প নেই । অনলাইনে প্র্যাকটিসের জন্য কিছু সাইট আছে, ওখান থেকেই প্র্যাকটিস শুরু করতে পারেন কারন পরীক্ষায় তো আপনাকে স্ক্রিনেই পড়তে হবে । বড কমপ্রিহিনশন সলভ করার জন্য সবচাইতে উপযুক্ত টেকনিক হচ্ছে একটানে পুরো কম্প্রিহিনসন টা পড়ে ফেলা । জি আর ই পরীক্ষায় সাধারণত সরাসরি কোন প্রশ্ন থাকে না, তাই আপনাকে কম্প্রিহিনসনে ব্যাক করতে হবেনা বেশিরভাগ সময়ই । আপনি যদি মুল থিমটা বুঝে নিতে পারেন তাহলে বেশিরভাগ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া আপনার পক্ষে সম্ভব হবে । এজন্য দ্রুত বুঝে পড়ার অভ্যাস করতে হবে । প্রচুর প্র্যাকটিসের প্রয়োজন । ৫ মিনিটের মথ্যে বড় কম্প্রিহিনসন পড়ে বুঝে ফেলতে হবে । অনেকদিন প্র্যাকটিস করলে এটা খুবই সম্ভব ।

আর মাল্টিপল ব্ল্যাংক সেন্টেন্স কম্প্লিশনের জন্য প্রচুর প্র্যাকটিসের কোন বিকল্প নেই । ড. রাজু তে প্র্যাকটিস টেস্ট দিতে পারেন ( নতুনটার জন্যে এসেছে কিনা জানি না), পুরনো ফরম্যাটেও যদি হয় তারপরও । টেস্টগুলো দিলে আপনার পারফরম্যান্স অনেক বাড়বে, এতে কোন সন্দেহ নাই ।

কোয়ান্টিট্যাটিভঃ

এই পার্টটাও অনেকটা আগের মতোই রয়ে গেছে, শুধু ২৮ টার জায়গায় ২০ টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ৪৫ মিনিটের জায়গায় ৩০ মিনিটে ।
ম্যাথ এর জন্য নোভা'র জিআরই ম্যাথ বাইবেল সলভ করবেন । এটাতে সহজ থেকে শুরু করে অনেক কঠিন কিছু ম্যাথও আছে । এটা সলভ করলে সব লেভেল এর ম্যাথ এর সাথে পরিচিত হবেন । এখনকার পরীক্ষায় অনেক কঠিন কিছু ম্যাথ আসে ।

ম্যাথ পার্টের মধ্যে সবচাইতে কনফিউজিং হচ্ছে কম্পারিজন গুলো । প্রচুর প্র্যাকটিস করুন আর আনসার করার আগে নানা ভাবে মান বসিয়ে চেক করে নিবেন । এছাড়া আর যেটা কঠিন আসে তা হচ্ছে ডাটা ইন্টারপ্রিটেশন । অনেক সময় খায় । এটার বিষয়েও সতর্ক থাকবেন ।

নতুন জিআরই'র সবচাইতে বড় পেইন হচ্ছে ২টা করে সেট অ্যানসার করা । একটা করে সেট অ্যানসার করার পর শক্তি বা মানসিক অবস্থা কোনটাই থাকে না । এসময় ১০ মিনিটের একটা ব্রেক পাবেন । এই ব্রেকটাকে ভালোমতো কাজে লাগাতে হবে । সাথে স্ন্যাকস কিছু নিয়ে নিবেন । চকলেট হলে আরো ভালো হয় ।

এই হচ্ছে নতুন জি আর ই নিয়ে মোটামুটি আলোচনা । যদি কিছু মিস করে থাকি প্লিজ ধরিয়ে দিবেন ।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪০
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×