চলছে কোরবানির গরুর বাজার, হঠাত লক্ষ্য করা হল একটা গরু পশ্রাব করল আর অই পশ্রাবগুলো গড়িয়ে গড়িয়ে খাল পর্যন্ত যেতে পারছে কিনা দেখছে একটি ছেলে,খাল পর্যন্ত যেতে পারলে যে কাজ শেষ।খাল থেকে নদীতে আর নদী থেকে সমুদ্রে। এটা যে এক বিশাল অর্জন এসব ভাবতে থাকে ছেলেটা।ইদানিং সে ছোটকাট সবকিছুকে টেনেটুনে বড় কিছুতে নিয়ে গিয়ে ভাবে।ভাবার যে কথা, তার পাচঁ বছরের ভালোবাসা যে বড় কিছু হওয়া নিয়ে ভেঙ্গে গেল!!
কোন এক গ্রামের বড় নেতার পিছনে ঘুড়ে ঘুড়ে বিয়ে,মেজবান,বার্থডে পার্টি খেয়ে দিন কাটে ছেলেটার,কিন্তু মেয়েটার চাওয়া ছেলেটার পিছনে ঘুরুক গোটা কয়েক কর্মচারি।ছেলেটার বেশিরভাগ সময় কাটে মাথার উপর ফ্যানের চুইছটা অন করে পার্টি অফিসে বসে বসে গল্প করে, আর মেয়েটার চাওয়া কোন এক এসি অন করা অফিসে বসে বসে ছেলেটা বড় বড় প্রজেক্টে সাইন করা।এসব নিয়ে প্রায়শ ঝগড়া বাদে মেয়েটার সাথে ছেলেটার।
মেয়েটা আর কিছুদিন গেলেই LAWYER হয়ে বের হবে। ছেলেটা এখনো সেই টেবিল ব্যবসায় মানে ছোটখাট টি-উশনি নিয়েই পরে আছে।ইদানিং ঝগড়ার পরিমানটা বেড়ে গেছে।মেয়েটা চাই যেকোন উপায়ে ছেলেটা বড় কিছু করুক। কিন্তু ছেলেটা যে জানে তার বড় কিছু করা মানে অই গরুর পশ্রাবের মত গড়িয়ে গড়িয়ে খালের উদ্দেশ্যে যাওয়া আর যেতে যেতে মাঝপথে বালির মধ্যেয় বিলিন হয়ে যাওয়া। তবু সে মেয়েটাকে বুঝায় সে বড় কিছু করবে।
ইতিমধ্যে ছেলেটা আর মেয়েটার ব্রেকাআপ হয়ে গেল।একটাই কারন বা অজুহাত মেয়েটা তার বাবা বা ভাইয়ের কাছে ছেলেটার পরিচয় দেওয়ার মত কিছুই নেই!!
ছেলেটাকে ইদানিং একটা প্রশ্ন তাড়িয়ে বেড়ায়, তাদের যখন সোনালী সময় কাটছিল তখন মেয়েটা আর কিছুইনা শুধু ছেলেটা সবসময় যাতে তার সাথে থাকে এটাই চাইত,এমনকি বেশিরভাগ সময়ে যাখন তারা ডেটিং করত তাদের গাড়ি ভাড়া, খাবার বিল, হোটেল বিল এমনকি কনডম কিনার টাকাটাও মেয়েটা দিয়ে দিত। তাহলে আজ সেই মেয়েটার কেন এত চাওয়া সেই একটি প্রশ্ন ছেলেটাকে এখন খুড়িয়ে খুড়িয়ে খাই।
দুই মাস তের দিন মেয়েটার কোন মেসেজ বা কল নেই।ছেলেটা যে তার কাছে কিছুই না ছেলেটার এখনো মানতে কষ্ট হয়।
কেটে গেল বেশ কিছুদিন। হঠাত একদিন গ্রামের সেই নেতার সুবাধে ছেলেটার প্রাথমিক বিদ্যলয়ের চাকরি হল,মহাখুশি সে, মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব সবাই কে ফোন করে তুল কালাম।কারণ সে যে এখন বড় চাকরি করে সরকারি চাকরি,বাংলাদেশে এখন সরকারি চাকরির খুব ডিমান্ট।সে সিদ্ধান্ত নিল এই খবর সে মেঘলা (মেয়েটার নাম) কে জানাবে, যেই ভাবনা সেই কাজ, মোবাইলটা খুজছে কল দেওয়ার জন্য।হঠাত মায়ের ডাকে স্বপ্নটা ভেঙে গেল। এতক্ষন যা হয়েছিল ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে। বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে ড্রয়ারটা খুলে গতকালের খবরের কাগজটা খুজে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিউজটা যেই দেখল,
আবেদনের শেষ তারিখটা এক্সপাইরড।
সেই সাথে কাব্য (সেই ছেলেটা) বুঝতে পারল মেঘলাকে পাওয়াও Expired!!!!!