প্রিয় মেঘলা,
কেমন আছ জানতে ইচ্ছে না করলেও সৌজন্যতার জন্য জিজ্ঞেস করছি, কেমন আছ?
শুনেছি তোমাদের নাকি ব্রেকআপ হয়েছে কিছুদিন হয়ে গেল। এ কথাটা শুনার পর আর মেঘের ভিতর অগ্নি দহনটা দেখার পর তোমাকে কিছু না লিখা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না।
এতদিনের সম্পর্ক কিভাবে খুব সহজে ভেঙ্গে যায় আমার মাথায় আসেনা!!
এই যে দুজনে মিলে সমুদ্রের বিশলতা, পাহাড়ের উচ্চতা উপভোগ, একি ছাদের নিচে একি বেডে দুজনের এক সঙ্গে আবকাশ যাপন সবি মিথ্যে ছিল? নাকি ক্ষনিকের সুখের জন্য কিছুক্ষণ টাইম পাশ ছিল প্রশ্ন রইল।
একটিবার ও বলবনা ফিরে আস,যতদিন ভালোবাসা তোমায় বাধ্য করবেনা ফিরে আসতে তুমি এসোনা।আর যদি কখনো না করে বুঝে নিও তোমাদের দুজনের ওসব কিছু ভালোবাসা ছিলনা ছিল অন্য কিছু!!
মাঝেমাঝে শুনি ও তোমাকে বারবার ফিরে আসার জন্যে তোমার সাথে পাগলামি করে। কিন্তু তুমি সাড়া দাওনা।
তবে আমি জানি কয়েক মাস বা বছর পর তুমি যদি ওর জীবনে ফিরে আসতে চাও সে নিরদ্বিধায় তোমাকে বুকে টেনে নিবে।
কেন জান?
কারণ ছেলেরা যে ক্ষুদার্ত,আর তোমরা হলে খাদ্য!!
তোমার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে তাইলে সে কি আমাকে ভোগ করার জন্যই ভালোবাসে।
তার উত্তরটা হবে এমনঃ-
ভোগটা একধরনের ভালোবাসা।কেননা যদি এমন না হত ভালোবাসার জন্য একটা মন কেন বিপরীত লিঙ্গের মনের খুজ করবে? সেতো তার বেস্ট ফ্রেন্ডকেই ভালোবাসতে পারে। ভালোবাসলেও তা প্রেমিক প্রেমিকার যে ভালোবাসাটা হয় সেটা হয়না।তা হয় বন্ধুর ভালোবাসা। কারন
ক্ষুধার্ত + ক্ষুধার্ত = ডাবল ক্ষুধার্ত আর
ক্ষুধার্ত + খাদ্য = তৃপ্তি ।
মানুষ সবসময় তৃপ্তি থাকতেই ভালোবাসে। সুতারং আমার কাছে আপাতত শারিরিক চাহিদাটাও ভালোবাসার অংশ বলেই মনে হচ্ছে।
পরিশেষে,যদি কখনো নিজেকে একা অনুভব কর,কাউকে মিস করছ মনে কর, রঙ্গীন জীবনটা রঙহীন মনে কর তাইলে ফিরে এসো তার জীবনে। আমার বিশ্বাস সে তোমাকে বুকে টেনে নিবে।
ইতি
মেঘের বন্ধু।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮