
৪ জুলাই ২০১৮ সন্ধ্যা ৭ টা পরিবারের সকলেরসহ আমার পছন্দে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। নীজ অফিস কার্যালয়ের সকল বসদের সামনেই তার পরিবারের প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে ২ লাখ টাকা কাবিনমূলে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। সকলেই খুশি মিষ্টি মুখ শেষে যার যার বাড়ী। রাতে ৫ মিনিটের ফোন কল সব কিছুই সাভবিক মনে হয়েছিল। কিন্তু বিপত্তিটা শুরু হল সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি দরজার সমানে লোকজনের ভীড় পরে আছে। ভেবেছি বিয়ে করেছি আশেপাশে সকলকে হয়তো বলা হয়নি তাই তারা এসেছে হয়তো কিন্তু কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারলাম সামথিং ইজ রং। হঠাৎ একজন বলে উঠলো বিয়েই যখন করলি তখন বিবাহীত মেয়েকে কেনো বিয়ে করলি? দুনিয়াতে কি অবিবাহিত মেয়ে ছিল না? কিছুই বুঝতে না পেরে চুপ করে দাড়িয়ে শুধু শুনলাম। হঠাৎ পেছন থেকে কাধে হাত দেয়ায় যেন চেতনা ফিরে পেলাম। তাকিয়ে দেখি “মা” পেছনে দাড়িয়ে আমার বাবা নেই পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান আমি, তিন বোন সবাই আমার বড় এবং বিবাহিত বাড়ীতে শুধু মা আর আমি। বয়স হয়ে গেছে প্রায় ষাটোর্ধো জন্মের চার মাসের মাথায় বাবাকে হারিয়েছি। আমার বাবা, মা; সমস্ত দুনিয়া বলতে আমার মা-ই। দরজার সামনের লোকগুলোর কথাগুলো কেমন জানি খুব অস্বস্তি দিচ্ছিল। তবুও ধীর স্থীর হয়ে শুনতে চাইলাম কি হয়েছে? জানতে পারলাম সকালে সদ্য বিবাহিত শশুরবাড়ীর থেকে আপন চাচী শাশুড়ী লোকজনকে বলে গেছে তার ভাশুরজীর অন্যজায়গায় বিয়ে হয়েছিল। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে রায়বার (মধ্যস্থাকারী) কে ফোন দিলাম।
...............................চলবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



