
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আকদ সম্পন্নের পর গ্রামীন রীতি অনুযায়ী পয়নামা নিয়ে প্রথম শশুরবাড়ী গমন সাথে চারজন মেহমান। রাত্রে মেহমানদারী শেষে ফূলসজ্জার রাত দোতালায় আমাদের স্থান দেয়া হল। হালকা শীত পরতে শুরু করেছে। রাতে উপহার হিসেবে পাঁচ হাজার পাঁচ টাকা স্ত্রীর হাতে দিলাম বললাম কিছু কিনতে পারিনি তোমার জন্য। দোতালার জানালয় কাপর দেয়া বাতাস ঢুকে যাচ্ছে, কুয়াশা আর নিশির এর পানি পরছে মশারির উপর। নিচে তো অনেক যায়গা ছিল সেখানে তিনটে বারান্দা সবগুলোতেই তাদের মেহমান
সেখানে আমাদের কেন এরকম একটা জায়গায় দেয়া হল বিষয়টি ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। সকালে ঘুম থেকে উঠে আবিস্কার করলাম বিছানায় বিড়াল ইদুর মরা রেখে গেছে। প্রচন্ড রকম ঘেন্না করছিল। বমি চলে আশার উপক্রম। স্ত্রীর অনুরোধ কিছু বলো না আমি পরিস্কার করছি। সকালের নাস্তা শেষে ফুপাতো সমুন্দির স্ত্রীকে সম্মান করতে হবে হাজার টাকার নোট পকেট থেকে বের করে দিয়ে দিলাম। মনে হল যেন কোনো ছালাদিয়া হোটেলে নাস্তা কিনলাম ফাইব স্টার হোটেলের টাকা দিয়ে। সেমাই, কাটা পিঠা, চা, নাস্তা শেষ।
একটু বাইরে যাব বলে খুচরো টাকা দরকার স্ত্রীকে বললাম তোমাকে তো কাল রাতে খুচরো টাকা দিলাম সেগুলো আমাকে দাও আর আর হাজার টাকার নোটগুলো তুমি নাও। উত্তর আসলো সে টাকা দুলাভাইকে দিয়েছি সে বাজার করতে গেছে। কিছু না বলে বের হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে কিছুকক্ষন মোবাইল চালিয়ে বাড়ীর ভেতর ঢুকলাম। দুপুরের খাবার আয়োজন খাবার খেতে বসলাম শশুরবাড়ীর মেহমানদের সাথে। সিলিং ফ্যান ছিড়ে পরল খাটের উপর খেতে দেয়া সকল খাবার আসেনি পোলাও আর প্লেট আসছে। বাম হাতে অনেক ব্যাথা পেলাম কান্না করতে পারলাম না নতুন জামাই বলে। পরের দিন বাড়ীতে চলে আসলাম প্রায় সময় শশুরবাড়ী যাইতাম। নতুন বছর শুরু ২০১৯ সাল স্ত্রীর ফোন প্রতিদিন আমাকে কবে নিয়ে তোমাদের বাড়ীতে তুলে নিবা? বললাম দু এক মাসের মধ্যে নিয়ে যাবো।
তার বাড়ীর লোকজন আসলো কতজন মেহমান যাবে সে বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি আমার দিকের লোক হিসেবে করে ১০০ জন লোকের কথা বললাম তারি ৫০ এ রাজি হল তাদের বাড়ীতে অনুষ্ঠানে ৪০০ লোকের আয়োজন। তার এলাকাবাসি সকলকে খাওয়াতে হবে মেয়ে এই শেষ বিয়ে তাই। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল ৫৫ জন মেহমান নিয়ে তাদের বাড়ীতে গেলাম। আগের দিন আমার বাড়ীতে কিছু ফার্নিচার পাঠিয়ে দেয়া হল পথে বাজারে আমি দেখতে পারলাম যে, ২ টি ভ্যানে করে একটি খাট, শোকেস, আলনা এবং পরটেক্স বোর্ড এর ড্রেসিং টেবিল। যে গুলো আমার বাড়ীতে যাচ্ছে তার চাইতে অনেক উন্নতমানের ফার্নিচার আমার বাসায় আছে বিষয়টি একটু খারাপ লাগলো আমি তো কিছু চাইনি তাহলে কেন দিয়েছে? আর দিছেই যখন তাহলে পারটেক্স বোর্ড এর ডেসিং টেবিল? তাদের ফোন করা হলে তারা কোন ভাল মন্দ কিছুই বলল না। আমি নিজে আরও একটি স্টীলের আলমিরা কিনে তাদের গাড়ীতে ভরে দিলাম। ……চলবে
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



