somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কপিপেস্ট, আর্সেনিকের ওষুধের নামে প্রতারণা হচ্ছে

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Click This Link
আজ খবরে প্রকাশ
"পৃথিবীর কোথাও আর্সেনিকোসিস রোগের ওষুধ নেই, আবিষ্কৃতও হয়নি। কিন্তু রাজধানীর মিটফোর্ডের পাইকারি ওষুধের বাজারে আর্সেনিক দূষণের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘এটা প্রতারণা।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রের সিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিসার্চ বাংলাদেশ’ প্রকল্পের পরিচালক মাহফুজার রহমান এক দশকের বেশি আর্সেনিক নিয়ে গবেষণা করছেন। বাংলাদেশে আর্সেনিকোসিস রোগের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে জেনে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আর্সেনিকোসিস রোগ নিরাময় করছে এমন ওষুধের নাম শুনিনি। আদর্শ চিকিৎসা হচ্ছে আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করা।’
‘আর্সেনক্স’ নামের একটি ইনজেকশনের দুটি ভায়াল প্রথম আলো সংগ্রহ করেছে। শিরায় দেওয়া এই ওষুধ ভারতের ইন্তাজ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরি। একটি ভায়ালের দাম ৭৫০ টাকা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসকেরা ব্যবস্থাপত্রে এসব ওষুধের নাম লিখছেন। একাধিক দোকানে এসব ওষুধ বিক্রিও হচ্ছে। তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, তারা এই ধরনের কোনো ওষুধ তৈরি বা বিক্রির অনুমতি দেয়নি।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আর্সেনিকোসিস চিকিৎসার কোনো ওষুধ নেই। বাজারে এ ধরনের কোনো ওষুধ থাকার কথা না। নিশ্চিয়ই কেউ প্রতারণা করছে।’ তিনি বলেন, ‘এই ওষুধ কারও কাছে পাওয়া গেলে অধিদপ্তর আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক শনাক্ত করে। ২০১০ সালে প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট বলেছিল, বাংলাদেশের সাড়ে তিন থেকে সাড়ে সাত কোটি মানুষ আর্সেনিকদূষণের শিকার। সরকার ১৯৯৬ সালে ২৩ জন আর্সেনিকোসিস রোগী শনাক্ত করে। রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ৩৮৯ রোগী চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০১০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬ হাজার ৭৫৮।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় আর্সেনিকদূষণের শিকার মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। কর্মসূচির উপব্যবস্থাপক এ কে এম জাফর উল্যাহ বলেন, ‘রোগীদের ভিটামিন দেওয়া হয়। কিন্তু ওষুধ বা ইনজেকশনের ব্যবহার নেই। অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহারের অনুমতিও নেই।’"

"পৃথিবীর কোথাও আর্সেনিকোসিস রোগের ওষুধ নেই, আবিষ্কৃতও হয়নি।"
আর্সেনিকোসিসের কিছু ওষুধ অনেকদিন আগে থেকেই আবিষ্কৃত হয়ে আছে। রেফারেন্সের জন্য দেখতে পারেন Goodman and Gilman's Pharmacology Books " The Pharmacological Basis of Therapeutics" chapter- Heavy Metal poisoning: arsenic.

আর্সেনিকোসিস ট্রিটমেন্টের জন্য Pharmacological উপায় হলো-
১। চিলেটিং এজেন্ট ড্রাগ হিসাবে দেয়া- এরা মুলত আরসেনিকের সাথে কো-অরডিনেট কোভ্যালেন্ট বন্ড তৈরি করে পানিতে দ্রবণীয় আরসেনিক ফরম তৈরি করে যা সহজেই প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যেতে পারে।
কতগুলো চিলেটিং এজেন্ট হলো
-১) dimercaprol, এটা আবিষ্কৃত হয় ১৯৫০ সালে।
২) DMSA (meso–2,3-dimercaptosuccinc acid, Succimer, Chemet)- সলুবল এনালগ অব dimercaprol
-৩) DMPS (sodium 2,3 – dimercapto-1-propane sulfonic acid, Dimaval)- সলুবল এনালগ অব dimercaprol
-৪) D-Penicillamine- এটা আবিষ্কৃত হয় ১৯৫০ সালে, সিন্গেল অথবা dimercaprol এর সাথে একত্রে ব্যবহার করা হয়।
-৫) Retinoids বা Vitamin A- More than 50 years ago, Hall (1946) and colleagues described a beneficial effect of oral
supplementation with Vitamin A (retinol) in the treatment of cutaneous arsenicosis.

এর সাথে সাপোরটিভ এবং সিম্পটমেটিক ট্রিটমেন্ট দিতে হবে।


ভারতীয় Arsenox হলো sterile injectable solution of arsenic trioxide, যা ইনটাস বায়োফারমাসিউটিক্যালস তৈরি করে। এটা একটা আর্সেনিক যৌগ যা কিছু ক্যান্সার (acute promyelocytic leukemia ) ট্রিটমেন্টের জন্য ব্যবহার করা হয়।
আর্সেনিক ট্রিটমেন্টের জন্য এর দুরতম সর্ম্পক নেই।

এটা কিভাবে আর্সেনিক ট্রিটমেন্টের জন্য বিক্রি হ্য় তা ঔষধ প্রশাসনের অবশ্যই দেখা উচিত, আর এর আমদানীকেও প্রতিরোধ করা দরকার।


সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×