somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জামাতে মওদুদীর আব্দুল কাদের মোল্লা ও তাহার ইসলামী চরিত্রের বয়ান

০৯ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আব্দুল কাদের মোল্লা। জমায়াতে মওদুদীর বর্তমান সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। একসময়ে তিনি ছিলেন উজিরে মুনাফিক, দালাল শ্রেষ্ট মোহতারাম গোলাম আযমের প্রাইভেট সেক্রেটারী। সেখান থেকে তার আজকের এই উত্থান। বাংলাদেশের সর্ববৃহত মুনাফিকদের সংগঠন জমায়াতে মওদুদীর শীর্ষ পর্যায়ের নেতা তিনি। এ ভুখন্ডে ইসলামের মহান ভাগ্য বিধাতাদের একজন।
একটা সময় ছিল যখন মিরপুরের কসাই নামে এক নামে চিনত তাকে সবাই। মানুষ হত্যার নানা রকম কায়দা কানুন জানতেন তিনি। জবাই করে, গুলি করে, বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে, পুড়িয়ে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি।পাকিস্তানি বাহিনী ও তার সহযোগীদের হাতে নৃশংসভাবে নিহত মানুষদের অন্যতম বৃহৎ গণকবর মুক্তিযুদ্ধের পরপরেই মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় আবিষ্কৃত হয়। মিরপুর এলাকার স্থানীয়দের মতে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মিরপুর এলাকার শিয়ালবাড়ী এবং রূপনগরে হাজার হাজার বাঙালি হত্যায় কসাই আবদুল কাদের মোল্লা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের অনেকেই নিশ্চিত করেছিলেন যে, সেনাবাহিনী তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করার আগেই জল্লাদ কাদের মোল্লা তার হত্যার তাণ্ডব শুরু করে।

কাদের মোল্লা এক সময় জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদেও ছিল। মিরপুরের সাংবাদিক কলোনির একসময়ের বাসিন্দা বাসিন্দা কাদের মোল্লা নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়েও পরিচিত করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জাতীয় প্রেসক্লাবেরও সদস্য এই নরঘাতক।
৬ মার্চ ১৯৭১। স্বাধীনতার দাবিতে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে অসহযোগ আন্দোলন। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে পাক হায়েনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। অবাঙালীরা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে যে বাঙালী ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। আর এ কাজে প্রতিবেশী ভারত শেখ মুজিবুর রহমানকে ইন্ধন জোগাচ্ছে। এদিন দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো পল্লবীর সিরামিক শিল্প কারখানা এলাকায় স্বাধীনতাকামী বাঙালীদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সমাবেশ। ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করেই সিরামিক শিল্প কারখানা এলাকায় স্বাধীনতাকামী বাঙালীদের সভা। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের জয়বাংলা স্লোগানে সভা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। তখন কাদের মোল্লার নেতৃত্বে একদল পাষণ্ড ওই সভায় হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে ছিল দেশীয় সব অস্ত্র। হামলার মাধ্যমে কাদের মোল্লার বাহিনী নিরস্ত্র স্বাধীনতাকামীদের পাইকারী হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাকবাহিনীর আগে কাদের মোল্লা এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ শুরর আগেই স্বাধীনতাকামী বাঙালীর মনোভাব বুঝেই কাদের মোল্লা মিরপুরের মনিপুর, শেওড়াপাড়া, সেনপাড়া, কাজীপাড়া, চিড়িয়াখানার ঢাল, মাজার রোড, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, লালমাটিয়া, কালাপানি ও পল্লবী এলাকায় বসবাসকারী পাকিস্তানপ্রেমী বাঙালী ও বৃহত্তর মিরপুরে বসবাসকারী বিহারীদের সশস্ত্রবাহিনী গঠন করে। কাদের মোল্লার সশস্ত্রবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস শিয়ালবাড়ি, রূপনগর, বালুঘাটসহ নানা স্থানে ধরে নিয়ে নির্বিচারে গুলি করে অগণিত মানুষ হত্যা করে।


কাদের মোল্লার হাতে সন্তান হারানো এক পিতার বক্তব্য তুমি কোন্ কাদের মোল্লার কথা বলছ? যে কাদের মোল্লা অনেক মায়ের বুক খালি করে এখনও বহাল তবিয়তে আছে। রাজনীতি করছে। রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদারিত্বও পেয়েছিল। তুমি কি সেই কাদের মোল্লার কথা বলছ যার গড়ন ছোটখাটো, কিন্তু কাজকর্ম বীভৎস। পোশাকে আশাকে ধর্মীয় লেবাস ধারণ করলেও কার্যত সে ও তার সহযোগীরা ধর্মের সবচেয়ে বড় শত্রু, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেও আজ সে উপায়ান্তর না পেয়ে, পিঠ বাঁচাতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করে বেড়ায়। আমি তার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি; কিন্তু কিছুই বলব না। অনেক বলেছি কিছুই হয়নি, ওরা মাফ পেয়ে গেছে। রাজধানীর মিরপুরের এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বাবা আফাজউদ্দিন সরকার। সম্প্রতি তাঁর কাছে মুক্তিযুদ্ধের সময় মিরপুরে পাক হায়েনাদের যারা সহযোগিতা করেছিল তাদের অন্যতম জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোলস্না সম্পর্কে জানতে গেলে আবেগজড়িত কণ্ঠে না থেমে এক নিশ্বাসে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথাই বলেন।
স্মৃতিচারণের ফাঁকে ফাঁকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আফাজউদ্দিন আরও বলেন, মহান '৭১-এ কাদের মোলার জুলুমবাজি থেকে মহিলা কবি মেহেরুন্নেসা রা পাননি। তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল কাদের মোল্লার হাতে। প্রাণ দেয়ার আগে হয়ত তাঁকে শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হতে হয়। অথচ স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শহীদ কবি মেহেরুন্নেসার কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি। তিনি আরও বলেন, কাদের মোল্লা ও তার সহযোগীদের অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে এমন অনেককে এখনও খোঁজ করলে পাওয়া যাবে। এককথায় তিনি কাদের মোল্লাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মিরপুরে অগণিত গণহত্যার জন্য 'কসাই' হিসেবে অভিহিত করেন। কসাই কাদের মোল্লা এখন বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নিজেকে এবং নিজেদেরকে 'সাধু' বলে দাবি করছে। মিথ্যা কথা বলতে এদের মুখ এতটুকু আটকায় না, ঠোঁট এতটুকু কাঁপে না। অথচ এরাই নিজেদের শান্তির ধর্ম ইসলামের কাণ্ডারি বলে প্রচার করছে। নিজেদের অপকর্মের বিরুদ্ধে যখনই প্রতিরোধ গড়ে ওঠে, আলোচনা হয়, সরকার বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করে তখনই ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আত্মরক্ষার অভ্যাসগত প্রচেষ্টা চালায়। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে ইসলামের শত্রু হিসেবে তুলে ধরার রীতিসিদ্ধ কৌশল অবলম্বন করে।
মিরপুরের প্রবীণ বাসিন্দা আফাজউদ্দিন সরকারের বয়স নব্বই পেরিয়ে গেছে। ৫ সন্তানের জনক আফাজউদ্দিনের এখন সময় কাটে নাতি-নাতনির সঙ্গে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করে। স্মৃতিচারণের সময় মাঝে মাঝে তাঁর দু'চোখ বেয়ে অশ্রু পড়ে। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভেঙ্গে যখন পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রের জন্ম হয় তখন আফাজউদ্দিন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। দু'টি পৃথক রাষ্ট্রের জন্মের ধারায় অন্য অনেকের সঙ্গে তাকেও মুর্শিদাবাদ ছেড়ে তৎকালীন পাকিস্তানে আবাস গড়তে হয়েছিল। সে সময় তিনি যা হারিয়েছিলেন তা আর কখনই ফিরে পাননি। আর ১৯৭১ সালে তিনি হারান তাঁর প্রিয় সন্তান আলাউদ্দিনকে। আলাউদ্দিন ছিল আওয়ামী লীগের এক তরুণ কর্মী। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে বন্ধুদের সঙ্গে তিনিও প্রশিণ নিতে ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ফলে স্থানীয়ভাবে যারা পাক হায়েনা ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে দেশে থেকেই প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলেন তাঁদের দলেই যোগ দেন আলাউদ্দিন।
'৭১-এর আগস্টে পাক হায়েনারা আলাউদ্দিন ও তাঁর ৭ বন্ধুকে হত্যা করে। মিরপুরের বহুল আলোচিত শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমিতে নিয়ে তাঁদের প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাত ও চোখ বেঁধে গুলি করা হয়।
আফাজউদ্দিনের ভাষায়, এসব হত্যাকাণ্ডের অন্যতম নায়ক ছিল বর্তমানে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা। এই কাদের মোল্লা স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাক আর্মিদের সহযোগিতায় শুধু মিরপুরে নয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকাতেও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার না হওয়ায় এবং তাদের গ্রেফতারে শাসকগোষ্ঠীর অপারগতায় সেই '৭২ সাল থেকেই ক্ষুব্ধ আফাজউদ্দিন মিরপুরে কাদের মোল্লা ও তার সহযোগীদের কর্মকা- সম্পর্কে বিশেষ কিছু না জানালেও কয়েকজনের সন্ধান দেন যাঁরা কাদের মোল্লা সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানান।


জন্মভূমি ফরিদপুরে প্রত্যাখ্যাত ঘাতক কাদের মোল্লা । ফরিদপুরের সদরপুরের পশ্চিম আমিরাবাদের বাসিন্দা কাদের মোল্লা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও বরাবরই সে নিজ এলাকায় প্রত্যাখ্যাত ও ঘৃণ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের পক্ষে সদরপুর এলাকা থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল। জীবনে ওই একবার নির্বাচনে দাঁড়ায়। সেবার মাত্র সাড়ে ৪ হাজার ভোট পেয়ে ভবিষ্যতে আর কখনও নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে তওবা করেছে বলে জানা গেছে। '৯১-এর সংসদ নির্বাচনে মাত্র সাড়ে ৪ হাজার ভোট পাওয়ায় সে সদরপুরের জনগণকে 'উজবুক' বলে গালি দিয়েছিল বলে জানা যায়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, কাদের মোল্লা বরাবরই নিজ এলাকা বিচ্ছিন্ন। তার সব কর্মকাণ্ড ঢাকাকে ঘিরে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা হিসেবে বৃহত্তর মিরপুরে বাঙালী নিধনের কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে (যে আবার টুনটুনি নামে সে সময় মিরপুর এলাকায় বহুল পরিচিত ছিল) হত্যা করে। '৭১-এর মার্চে বঙ্গবন্ধুর 'এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম' ডাকে সাড়া দিয়ে শহীদ পলস্নব স্থানীয় বাঙালী ও অবাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেন। আর এ উদ্যোগই তাঁর দেশমাতৃকার জন্য শহীদ হওয়ার পথ সুগম করে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই শহীদ পল্লব কাদের মোল্লা গোষ্ঠীর টার্গেটে পরিণত হয়। এ অবস্থায় পল্লব তাঁর শুভাকাঙ্কীদের অনুরোধে মিরপুর থেকে নবাবপুর আশ্রয় নেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি পলস্নবের।
কাদের মোল্লার সশস্ত্র ক্যাডাররা তাঁর নবাবপুরের অবস্থান জানতে পারে। '৭১-এর ২৯ মার্চ নবাবপুর থেকে কাদের মোল্লার কাছে তাঁকে মিরপুরের আস্তানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কাদের মোল্লার নির্দেশে সশস্ত্র ক্যাডাররা পল্লবকে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ১ নম্বর সেকশন শাহ আলী মাজার পর্যন্ত হাতে দড়ি বেঁধে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় । একইভাবে মিরপুর-১ নম্বর থেকে ১২ নম্বর সেকশনের ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে গাছের সঙ্গে বেঁধে পল্লবের দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় টানা দু'দিন। এর পর হায়েনারা তার হাতের আঙ্গুলগুলো কেটে ফেলে। এ রকম চলার একপর্যায়ে ৫ এপ্রিল আবদুল কাদের মোল্লা তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আখতারকে পল্লবকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী ঘাতকরা গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা পল্লবের দেহে গুলি করে। পল্লবের শরীর অনেক গুলির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। কথিত আছে, প্রতিটি গুলির জন্য কাদের মোল্লা ঘাতককে আর্থিক মূল্যে পুরস্কারও প্রদান করে। আর শহীদ পল্লবের ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া মৃতদেহ আরও দু'দিন গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কারণ এ ঘটনায় যাতে মুক্তিকামী মানুষ মুক্তিপথের যাত্রায় যেতে নিরুৎসাহিত হয়; কিন্তু এই মৃতদেহ কার্যত শক্তিতে পরিণত হয়। পল্লবের মৃতদেহ দু’দিন ঝুলিয়ে রাখার পর ঘাতকরা লাশ পল্লবীর কালাপনি ঝিলের পাশে আরও ৭ জনের লাশের সঙ্গে মাটি চাপা দেয়।

নৃশংস হত্যার খলচরিত্র কাদের মোল্লার নেতৃত্বে রাজাকাররা মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন এলাকার এক বাসায় মহিলা কবি মেহেরুন্নেসাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় সিরাজ নামে এক জনৈক ব্যক্তির সামনে। যিনি ওই হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করার পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। অতি সমপ্রতি এই প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনই ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজের পরিবার সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
৩৬ যুদ্ধাপরাধীর প্রাথমিক তালিকায় নাম প্রকাশের পর থেকে গোয়েন্দা নজরদারীর মাঝে আছে এই নরঘাতক।এই তালিকার উল্লেখ করে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'বিষয়টি টক অব দ্য কান্ট্রি। তাই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।আবদুল কাদের মোল্লা থাকেন বড় মগবাজারের জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মুখোমুখি 'গ্রিন ভ্যালি' অ্যাপার্টমেন্টে।আগে মতিউর রহমান নিজামী, জামায়াতের বর্তমান আমির এই 'গ্রিন ভ্যালি' অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। জামায়াতের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, দলীয় কার্যালয়ের পাশেই বাসভবন হওয়ায় তিনি খুব একটা বাইরে যাচ্ছেন না। ওই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারির চাপ তাঁরা অনুভব করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৩:১৯
১২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×