কয়েক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এক নদীর পাশের পার্কের রাস্তা ধরে ভোরে দৌড়াচ্ছিলাম। ভোর বলতে সুবেহ সাদিকের সময়ে। হঠাৎ পেছন থেকে ঠকঠক এক অস্বাভাবিক শব্দে পেছনে ফিরে তাকালাম। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম এক তরুন, যার একটি পা কাঠের, দৌড়াচ্ছে এবং আমি তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমাকে অতিক্রম করে চলে গেলো। সেদিন আমি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে জানলাম মানুষের জন্য কোন কিছুই অসম্ভব নয়।
মাশরাফি- সাত সাতটিবার চিকিৎসকের কাঁচির নীচে যাকে শুতে হয়েছে, এখনো যাকে সকালে হাঁটু ভাঁজ করতে পরিশ্রম করতে হয়, এখনো যে নিজে সিরিন্জ্ঞ দিয়ে নিজের হাঁটুতে জমে থাকা পানি বের করে, সে এখনো লড়াই ছেড়ে দেয়নি। হাসপাতালে শুয়ে থাকা ছোট্ট ছেলেটির মুখ তাকে যুদ্ধক্ষেত্রে বিচলিত করতে পারে নি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দল পরিচালনা করেছে, তবুও বোলিং এ কোন ছাড় দেয়নি।
এই দূর্ধর্ষ যোদ্ধা যদি অসাধারন একটা জয়কে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উৎসর্গ না করে তাহলে কে করবে?
সৌম্য আর শক্তির এক অসাধারন প্রতীক আমাদের মাশরাফি।