অ্যান্ডু্রজ সেলসিয়াস
১৭০১ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর সুইডেনের এক উচ্চশিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেন তিনি। মৌলিক গবেষণার জন্য তিনি খ্যাতি লাভ করেন একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে। তিনি আবিষ্কার করেন 'ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড স্কেল' নামে তাপমাত্রা স্কেল। তার নাম অনুসারে এটিকে 'ডিগ্রি সেলসিয়াস'ও বলা হয়। তার মৃত্যু হয় ১৭৪৪ সালের ২৫ এপ্রিল।
অ্যাডওয়ার্ড জেনার
তার জন্ম ১৭৪৯ সালের ১৭ মে। তার আবিষ্কার ছিল বসন্ত রোগের টিকা। এই টিকা আবিষ্কার করেছিলেন গরুর পুঁজ থেকে। তিনি ১৮০৮ সালে ন্যাশনাল ভ্যাক্সিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাডওয়ার্ড জেনার পেয়েছিলেন সম্মানসূচক এমডি ডিগ্রি। ১৮১০ সালের ২৪ জানুয়ারি নিজ লাইব্রেরিতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকেন এবং পরদিন ২৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
নিকোলাস জ্যাকস
পেন্সিল আবিষ্কারক হিসেবে তিনি পরিচিত, তার জন্ম হয় আনুমানিক ১৬৪৭ সালে। গ্রাফাইটের মাধ্যমে এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। এখন যে বিভিন্ন ধরনের পেন্সিল দেখা যায় এসব পেন্সিলের শিস তৈরি হয়েছে জ্যাকস ঝঁতে'র পদ্ধতি ধরেই। তার মৃত্যু হয় আনুমানিক ১৭০৫ সালে।
গুগলিয়ামো মার্কনি
মার্কনির জন্ম ১৮৭৪ সালের ২৫ এপ্রিল ইতালির বোলোনিয়া শহরে। রেডিও আবিষ্কারক ছিলেন তিনি। ১৮৯৫ সালে তিনি নিজ বাড়িতে বসেই পরীক্ষা চালান। ১৯০১ সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান। তার মৃত্যু ১৯৩৭ সালে।
গ্রেগর জোহান মেন্ডেল
তার জন্ম ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়ার ব্রুন শহরে। তিনি জীববিজ্ঞান জগতে 'জেনিটিকস'-এর জনক নামে পরিচিত। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম সত্ত্বেও কোনো সম্মান বা নূ্যনতম স্বীকৃতি তিনি লাভ করতে পারেননি। তিনি ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
জন লিবিগ
এই আয়না আবিষ্কারকের জন্ম ১৬৬৮ সালে। তিনি আয়না তৈরি করতে গিয়ে এক টুকরো কাঁচের একপাশে গলিত রুপার প্রলেপ লাগান, ওই প্রলেপ শুকালে তার ওপর লাগান লাল রং। এভাবেই তিনি তৈরি করেন আধুনিক আয়না, তার মৃত্যু ঘটে ১৭১৮ সালে।
স্যামুয়েল মোর্স
তার জন্ম ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দের ২৭ এপ্রিল। তার আবিষ্কার ছিল টেলিগ্রাফ। তিনি ১৮১০ খ্রিস্টাব্দে ইয়েল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর চিত্রকরের কাজ বেছে নেন। পরে অবশ্য তারের মাধ্যমে সংকেত প্রেরণের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। একসময় তিনি আবিষ্কার করলেন 'রিলে' পদ্ধতি। এভাবে তিনি আবিষ্কার করেন টেলিগ্রাফ। ১৮৭২ সালের ২ এপ্রিল এই মহান বিজ্ঞানী ও চিত্রকর মৃত্যুবরণ করেন।