বান্ধবীর কাছ থেকে ধার নিয়ে বইটা পড়া।
বই পড়ে বা সিনেমা দেখে কাঁদা আমার কাছে খুব সিলি মনে হয় অথচ বইটা যখন পড়েছিলাম চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়া বন্ধ করতে পারি নি।
হুয়ায়ূন আহমেদ মারা যাবার পরে তার মা ছেলের কাছে চিঠি লিখতেন কষ্ট কমাতে ওই চিঠিগুলার সংকলন এই বই ।উনি তার বড় ছেলেকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন আদরের ছেলে হারানোয় উনি বেশ আঘাত পেয়েছিলেন।আসলে সব বাবামারই প্রথম বাচ্চার প্রতি একটা আলাদা ভালবাসা থাকে।
উনি খুব কষ্ট পেয়েছিলেন যে উনি এই বয়সেও বেশ সুস্থ আছেন আর তার বড় ছেলে যে দুনিয়াভর মানুষকে আনন্দ দিয়েছে এত কঠিন রোগে আক্রান্ত।ছেলে তার আগে মারা গেছে এটা তিনি মেনেই নিতে পারেননি।কোন মাই আসলে পারে না। আমার সবচেয়ে কষ্ট লেগেছে উনি লিখেছিলেন আল্লাহ নাকি সবার ভাগ্য হারের মত গলায় ঝুলিয়ে দেয় আমার হারটা আসলেই অনেক ভারী আর বইতে পারছি না।
হুমায়ূন আহমেদের কবরটা বিশাল বড় ছিল ,এটা নিয়েও উনার আক্ষেপ ছিল ছেলের কবরটা হাত দিয়ে ধরতে পারেন না।খুব দুঃখ নিয়ে লিখেছিলেন সেতো আমার মত সাধারন মানুষের সন্তান না সে এখন বিশাল মানুষ তার কবরও বিশাল।
আয়েশা ফায়েজ আসলেই সারা জীবন অনেক অনেক সংগ্রাম করে ছেলে মেয়েদের আজকের অবস্থানে এনেছেন শেষ বয়সে ছেলে হারানোর কষ্টটা আসলেই তার জন্য অনেক বেশি ছিল।আল্লাহ যেন তার মরণের পরে তাকে জান্নাত নসিব করে সেই দোয়াই করি