somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রাম্প — দা বিজনেস ম্যান (শূণ্য থেকে শিখরে ওঠার জলন্ত উদাহরন)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমেরিকান বন্ধুর চোখে ট্রাম্প (এক
জীবনে এত কিছু!!!!!!!!)
২০১৪ সালে র্যাবে থাকতে ওনার সাথে
পরিচয়। একটি ট্রেনিং কোর্সের
প্রশিক্ষক হিসেবে ইউএস থেকে
বাংলাদেশে এসেছিলেন। ঐ কোর্সের
কো-অর্ডিনেটর হিসেবে থাকায় আমার
সাথেই ওনার সখ্যতা একটু বেশি
হয়েছিল। এত মিশুক মানুষ বিদেশে তো
দূরে থাক, দেশেও কম দেখেছি, তাও
আবার প্রফেশনাল আমেরিকান। যাই
হোক, সম্পর্কের ধারাবাহিকতা ফেসবুক
এর মাধ্যমে দীর্ঘায়িত হয়। রেজাল্টের
দিন রাতে জিজ্ঞেস করলাম, "তো
ট্রাম্প তো জিতেই গেল? তোমার
মতামত কী? মন খারাপ?"
জবাবে বলল, "নাহ, আমিতো খুশি,আমি
তো ট্রাম্পের পক্ষেই ছিলাম"।
কিছুটা বিস্মিত হলাম, কেননা এর আগে
যতবারই রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে,
মধ্যপ্রাচ্য সহ দুনিয়াব্যাপী বিভিন্ন
ইস্যুতে আমেরিকার ভূমিকার ঢালাও
সমালোচনা করতেন উনি। তবুও বলতেন,
বুশের চেয়ে ওবামা/ক্লিনটন অনেক
ভালো। তো উনি হয়ে গেলেন ট্রাম্পের
সমর্থক! বলেই ফেললাম, "বন্ধু, আমি
ভেবেছিলাম, তুমি আর যাই হোক,
ট্রাম্পকে বা ট্রাম্পের আগ্রাসী
নীতিকে সমর্থন করবে না, একটু অবাকই
হলাম, তুমি তো এর আগে নিজেকে অন্য
ভাবধারার পক্ষপাতী বলেছিলে বলে
মনে পড়ছে!"
জবাবে উনি যা বললেন তা যদি একটু
গুছিয়ে বলি তাহলে----
" শোন, আমরা আমেরিকানরা বরাবরই
একটু নতুনত্বে বিশ্বাসী, একটু ক্রেজিই
বলতে পার, হিলারির মধ্যে আর যাই
থাকুক নতুনত্ব ছিল না! সেই ৯২/৯৩
থেকেই হিলারিকে সবাই চেনে,
প্রথমে বিল ক্লিনটনের বউ হিসেবে
একরূপে, তারপর মনিকা কেলেঙ্কারির
সময় তার ভূমিকা নিয়ে আরেকভাবে,
তারপর পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে, এবার
আবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেব,
আসলে সত্যি বলতে কোন আগ্রহই ছিল
হিলারির প্রতি! অথচ চিন্তা কর,
যেবার ওবামা হল সেবার তাকে নিয়ে
কতো গবেষণা!! তুমি নিজে বলত,
ওবামার সময় তাকে কয়বার গুগলে সার্চ
করেছ আর হিলারিকে এইবার কয়বার
করেছ? তবে হ্যাঁ, সার্চ এবারও হয়েছে,
তবে তা শুধুই ট্রাম্পকে নিয়ে। ওর নানা
টাইপের উদ্ভট কাহিনি নিয়ে!"
বললাম, "তাহলে তো স্বীকার করলে,
উদ্ভট! তারপরও? শুধুমাত্র নতুনত্বের
দোহাই দিয়ে উদ্ভটকেও গ্রহণ করা যায়?
তবে ব্রাদার, আমি কিন্তু ট্রাম্পকে
একটু হলেও স্টাডি করেছি, এত ঝানু এক
ব্যবসায়ী আর যাই হোক, উদ্ভট হতে
পারে না! আমার মনে হয়, সেন্টার অফ
অ্যাট্রাকসন হতে এইসব করেছে!!ভিতরে
ভিতরে সব ঠিক!"
বলল, "এইতো পয়েন্টে এসেছো।
আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী
প্রেসিডেন্ট, বিলিয়নেয়ার বলে কথা!
কয়েক পুরুষ ধরে ধনী, শরীরে আবার
জার্মান রক্ত, ট্রাম্প অর্গানাইজেশন
নিয়ে জানো, গুগলে শুধু এইটা সার্চ
করলেই তো মাথা খারাপ হয়ে যায়! এক
লোকের এত কিছু!!হোটেল ব্যবসা,
রিয়েল স্টেট বিজনেস, রিসোর্ট,
বিনোদন কেন্দ্র, ক্যাসিনো, মিডিয়া
ব্যবসা, বিশ্বের ধনীদের খেলা গলফ
কোর্সের মালিকানা, ফুড-বেভারেজ,
লেদার, হোম প্রোডাক্টস, জুয়েলারি
ব্যবসা আরও কতো কী! তুমি নেটে দেখে
নিও, বললে রাত শেষ হয়ে যাবে!আর এই
ব্যবসা কী শুধুই আমেরিকায়?ইউরোপ,
এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য কোথায় নাই তার
ব্যবসা!"
বললাম, "হুম,আমিও কমবেশি সার্চ
করেছি নেটে, ফুটবল খেলায় ক্লাব,
ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি, নিজের লেখা
প্রায় গোটা ২০ বই, তার মধ্যে আবার
একটি বই ১৯৮৭ সালে প্রায় ১৩ সপ্তাহ
বেস্ট সেলার ছিল, মিস ইউএস
প্রতিযোগিতার আয়োজক
প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাও তো তার
ছিল, ওয়ার্ল্ড রেসলিংএ খ্যাতনামা
'WWE' তেও ইনভেস্ট আছে তার, মিডিয়া
জগতেও তো আছে, একসময় খুব পপুলার
মুভি 'হোম এলন-২' এও তো অভিনয়
করেছে, ওর নিজের বাসা আর ব্যবহৃত
প্লেন দুটোই নাকি আমেরিকার
প্রেসিডেন্টের ব্যবহার করা বিখ্যাত
বাসভবন আর প্লেন দুটোর চেয়েই
বিলাসবহুল, বিয়েও তো করেছে
৩টা-৩টাই আবার মডেল, জীবনে
মামলা-মোকাদ্দমাও কম ফেস করেনি,
সংখ্যাটা নাকি প্রায় ৩৫০০, 'ফোরবেস'
ঘোষিত ধনাঢ্য ব্যাক্তির তালিকায়ও
নাকি আছে ৩২৪ নম্বরে সারা দুনিয়ার
মধ্যে !!, ভাইরে ভাই এক মানুষের
জীবনে আর কতো কিছু ঘটে, এখন হল
প্রেসিডেন্ট !!!!"
বলল, " বুঝো তাহলে! পাগলামিটা তো
আসলে তার লেবাস, ভিতরে ভিতরে
দেখবে সব কিছুই ঠিক! আর পলিসি
নিয়ে ভেবে লাভ নেই, প্রেসিডেন্ট
একলা তো আর যা খুশি চাইলেই করতে
পারে না! যেমন ছিল কম বেশি তেমনি
যাবে, মাঝে মধ্যে একটু বিনোদন হবে
এই যা! তাও ভালো, হিলারি আসলে
তো তাও হত না, জানো তো ট্রাম্প
কিন্তু একসময় ডেমোক্রেটিক
পার্টিতেই ছিল, এখন আবার
রিপাবলিকানদের সাথে! কাজেই
ব্যবসার মতন মনে হয় রাজনীতিতেও
পটুই হবে!"
বললাম," ভালো হলেই ভালো!
পলিটিক্স বলে কথা! দুএকটি ডিসিশনই
পুরো পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে দিতে
যথেষ্ট, অল দি বেস্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!" (সংগৃহিত)
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×