খামার বাড়িতে ছোট্ট একটা সবজি বাগান আছে। আছে একটা ফলের বাগানও। খানিকটা দূরে একটা বনজ গাছের বাগান, সেখানে দীর্ঘ মেয়াদি বেশ কিছু গাছ লাগানো। পশু পালনের ফসল চলে যায় শহরের বাজারে। খানিকটা সরু চাল খাবার অভ্যাস থাকলেও সমস্যা নেই মোটে। তা শহরের বাজারেই পাওয়া যায়। চাল কেনার পরও অনেক টাকা বাঁচে। সবজি, মাছ, দুধ, ডিম তাতো বাড়িতেই আছে। চাইলে মাংশ কেনা যায় খানিকটা, আর তেল-নুন ইত্যাদি। তারপরও বেঁচে যায় অনেক টাকা। সে টাকায় খামার বাড়িতে আসে সৌর বিদ্যুত, একটা জেনারেটর বসানো ডিপ টিউবয়েল। নিজের নিতান্ত প্রয়োজনের যোগান নিজের কাছেই।
হাতে বেশ সময় থাকে। ইচ্ছে হলে সবুজ ছবি আঁকা যায় চোখের সামনে। ইচ্ছে হলে মোটর বাইকে বেড়িয়ে পড়া যায় ঘুরতে, আড্ডায়, নাহয় আধা ঘন্টা শহরপানে। ইচ্ছেমত ছবিও তোলা যায় ঘুরতে বেড়িয়ে পথে পথে বুনো ফুলের। স্বপ্ন চোখে জড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠা যায়, শহুরে মানুষদের মত অফিস যাবার তাড়া থাকেনা বলে। মনটা উদাস হলে, অথবা রঙ্গিন, কবিতা লেখা যায় একটা, অনায়াসে।
স্বপ্নটা আরও পাঁচ বছর পরের। এমন একটা সময় আমি। স্বপ্নটা ইদানীং দেখছি খুব। একদিন ঠিক আবার ঘরে ফিরে যাবোই এ স্বপ্ন তো বহুদিনেরই। নাহয় খানিকটা আগেই হতে পারে সেটা। বছরখানেকের মধ্য খামারের কাজ শুরু করার জন্য কিছু রশদ যোগার হয়ে যাবার কথা। শহরে জীবনে আজীবনে জীবন বাঁচানোর যোগানের পেছনে না ছুটে সামনের বছরই ফিরে যাওয়া যায়।
যাই, শেকড়েই ফিরে যাই...
_____________________________________________
ছবি: আমার দাদা বাড়ির সামনের সবুজ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০৬