somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি নারী ও কয়েকজন আনাড়ী (আমার স্বপ্নে পাওয়া প্রথম কবিতা যা নোবেল প্রাইজ পাওয়ার জন্য মনোনীত হওয়ার জন্য মনোনীয় হওয়ার অপেক্ষায়)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নোটিশঃ “এই লেখাটি শুধুমাত্র জ্ঞানীদের জন্য। আপনার যদি মনে হয় আপনারর জ্ঞানের লেভেল কোন নোবেল প্রাইজ প্রত্যাশী প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে কয়েক ডিগ্রি কম তবে এই স্ট্যাটাস থেকে কমপক্ষে ১০০ লিটার দুরত্বে অবস্থান করুন। অবশ্য কেউ এই স্ট্যাটাসে লাইক দিলে তার জ্ঞানের লেভেল পর্যাপ্ত বলেই বিবেচিত হবে (বেনিফিট অফ ডাউট অনুযায়ী)। ”

অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটে গেছে ঘন্টা দেড়েক আগে। লাঞ্চ করে বসে বসে স্টার প্লাসের "তেরা জুতা মেরা স্যান্ডেল" নাটকটি দেখছিলাম, ইয়ে সরি মানে স্টার প্লাস তো আমি দেখিনা, সম্ভবত এন টিভিতে টক শো দেখছিলাম এই শিরোনামের “আপনি কি রাজনীতিবিদ অথবা প্রতিবন্ধী?” (গেছিলামরে ধরা পইরা)।

তো হঠাৎ করে ঝিমুনি ধরে যায়। ঝিমুনি থেকে হালকা চোখ লেগে যায় যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয় "ন্যাপ" (আমার ইংলিশ জ্ঞান মাঝারি ধরনের, তাই দুই একটা ইংলিশ শব্দ যা জানি সেগুলো পাবলিক প্লেসে চান্স পেলে জাহির করার সুযোগ হাতছাড়া করার অভ্যাস আমার নেই)।

ঠিক এমন সময়েই সেই বিশেষ ঘটনার অবতারনা। আমি ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎই খেয়াল করলাম যে, আমি ঘুমিয়ে আছি। খেয়াল করার কিছুক্ষন পর আমি একটি "কবিতা" স্বপ্ন দেখলাম। কবিতাও যে স্বপ্ন দেখা যায় এটি আমার জানা ছিল না তবে স্বপ্নটি দেখার পর জানা হয়ে যায়। আমি আরো অবাক হয়ে খেয়াল করি যে কবিতাটি বেশ উচ্চ মার্গের এবং রুচিশীল তথা হাজীর বিরিয়ান মার্কা। এই কবিতা রবীন্দ্রনাথের আমলে যদি রিলিজ করতে পারতাম তাহলে হয়তো রবীন্দ্রনাথের আর নোবেল প্রাইজটি পাওয়া হতো না। সে যাই হোক, আমিই বোধহয় পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি যে স্বপ্নে তাবিজ-মাদুলি-মাজার এসব না পেয়ে একটি ঝাকানাকা কবিতার সানিধ্য পেলাম। কবিতাটির ভাব-গাম্ভীর্যে আমি অভিভূত। নিচে হুবুহু স্বপ্নের ভাষায় তা উপস্থাপনের চেষ্টা করলাম।


কবিতার নামঃ একটি নারী ও কয়েকজন আনাড়ী (স্বপ্নের মাধ্যমে পাওয়া পাইরেটেড ভার্সন)



হেটে যায় কিছু মনুষ্য নারী,
পাশে হেটে আমি ফিরি বাড়ি,
উপরে আকাশ, নিচে মাটি,
আমি সারাদিন গাধার মত খাটি।

সে আমার সম্পদ নয়,
সে আমার সম্পত্তিও নয়,
এখানেই নয় শেষ,
সে আমার জলজ্যান্ত ব্যাংক ব্যালেন্স।

বাশবাগানের মাথার উপর চাদটা আজ গায়েব,
মুখ সামলে কথা বলবেন জনাব চৌধুরি সাহেব।

মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, আর হেসেছে কে,
এত কথা জানার তুই বেটা কে?

আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা গরুর হাটে যাই,
গরু-গাধায় আজকাল আর পার্থক্য তো নাই।

নোবেল প্রাইজ আর পদ্মা সেতু একই সূত্রে গাথা,
হু তোমারে কইছে ! গেছে তোমার মাথা।

শেয়ার বাজার বি এন পি, আওয়ামী লীগের নয়তো কোন ইস্যু,
আবুলে মালের দোষ নেই রে, ওতো একটা শিশু।

শেয়ার বাজার হারিয়ে গেছে, ফিরবে কি কভু আর,
মাই নেম ইজ অনন্ত জুলিল, আই ডোন্ট বদার।

সে আমার স্বপ্নরানী, নামটি বনলতা,
আর কতবার বলবি তুই এসব ফালতু কথা।
আমারে দুদন্ড শান্তি দিয়েছিল বনলতা সেন,
এবার তবে বন্ধ কর তোর আজাইরা প্যানপ্যান।

নোটিশ ২ ঃ এই লেখাটি শুধুই ফানের জন্য। এখানে বিখ্যাতদের কিছু লাইন নিয়ে ফান করার চেষ্টা করেছি তবে সেটা শুধুই ফান। ব্যক্তিগতভাবে এরা সবাই আমার চোখে লেজেন্ড, এদের মত করে দু-লাইন লেখার যোগ্যতাও আমার নেই।

আর এ ধরনের লেখা অনেকের কাছে পাগলামি মনে হয় সেটা আমি জানি। কারণ একের জনের সেন্স অফ হিউমার একেক রকম। কারো ভালো না লাগলে আমি দুঃখিত।

আর সবাইকে ঈদ মোবারক।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৮
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×