এই দেশে একজন টপ লেভেলের আর্টিস্টকে জাতীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেভাবে দেশে বিদেশে সমাদৃত ও সম্মান করা হয়,
তার ধারের কাছেও ইসলামিক কালচারের কোনো আর্টিস্টকে করা হয়না।
শিক্ষা,সাহিত্য-সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে একই অবস্থা।
অথচ ইসলামিস্ট আর্টিস্টদের জ্ঞান যোগ্যতা তাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশ হয়েও ইসলামাী সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি কোনো আবেগ অথবা উপলব্ধী নেই আমাদের মাঝে ।
যতটুকু আছে তা খুবই সিমীত আকারে। এটি খুবই হতাশাজনক, দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক ও বটে।
আসলে ইসলামি সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে এই দেশে সেইভাবে জাগরণ করার মত কোনো কাজ চোখে পড়েনি, আর যদি কিছু কাজ হয়ে থাকেও তাহলে সেইসব কাজগুলো এক্সপ্লোর হতে পারেনি। এর পেছনে প্রচার-প্রসার না করাটাও অনেকাংশে দায়ি।
সবখানে পশ্চিমা সংস্কৃতির রাজত্ব চলছে, এর সাথে পাল্লা দিয়ে যেভাবে ইসলামি সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ দরকার ছিলো তাতে মুসলমিরা ব্যর্থ।
এইদেশে বর্তমানে যে অল্পকিছু ইসলামি সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ হয় তাও বাধার মুখে পড়ে যায় বিভিন্ন সমালোচনায় সাথে আরো ইত্যাদি কারণ তো আছেই।
বর্তমানে এই জেনারেশনের মাথা মগজে শুধুই পশ্চিমা বিনোদনে ভরপুর। যার প্রভাব বাজেভাবে আমরা উপলব্ধী ও দেখতে পাচ্ছি। এই পশ্চিমা বিনোদনের বিকল্প তৈরি না করা পর্যন্ত ইসলামের অনেক কাজ কঠিন হয়ে দাড়াবে।
প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ইসলামি সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ ছাড়া এই পরিবার- সমাজের পরিবর্তন অনেক দুঃসাধ্য ব্যাপার।
এই দেশ সমাজ ও পরিবারগুলোর মানুষদের মগজে মননে ঢুকার এখন অন্যতম একটি পথ হচ্ছে ইসলামি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ । নতুবা এই জাতির অধঃপতন হতে বেশি সময় লাগবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৩