somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রসঙ্গ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইংরেজী Fundamentalism বাংলা অর্থ হলো মৌলবাদ । বাংলা এর শাব্দিক ব্যাখ্যা হচ্ছে‘ ধর্ম শাস্ত্রে র প্রতি অবৈজ্ঞানিক অন্ধবিশ্বাস।’ মৌলবাদ শব্দটির সাধারন অর্থ হলো মূল জাত । সহজ কথায় মৌলবাদ বা মৌলবাদী তাকেই বলা যায় যে একটি মৌলিক ধারণা বা বিশ্বাসকে সম্পূর্ণভাবে অনুসরন করে। ধর্মকে এখানে মূল শব্দ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ বিশ্বেও সূচনা লগ্ন বা আদিকাল থেকে মূল জাত বিষয়টি ধর্মেও সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আছে। আর সে ধর্ম হলো খ্রিষ্ট ধর্ম। ওয়েবষ্টার অভিদান অনুসারে মৌলবাদ বা মৌলবাদীতা হচ্ছে একটি আন্দোলন । যা আমেরিকার প্রটেষ্ট্যান্ট কতৃর্ক বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে শুরু হয়। এই আন্দোলন ছিলো আধুনিকতার বিরুদ্ধে এবং উদ্দেশ্য ছিলো বিশ্বাস, নৈতিকতা ও ইতিহাস হিসাবে বাইবেলকে সত্য এবং চিরন্তন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত রাখা। এই আন্দোলনে বাইবেলকে স্রষ্টা থেকে আগত ধর্মগ্রন্থ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত রাখতে চেয়েছিল । আর এ আন্দোলন ছিলো বাইবেল বা খ্রীষ্ট ধর্মানুসারী একদল মানুষ যারা কোন যুক্তি বা ব্যাখ্যা দ্বারা পবিত্র ধর্ম গ্রন্থে বাইবেলের বাণীকে বিম্লেষণ করতে চাইতেননা কেননা তারা বাইবেলকে সকল ভুলের উর্ধ্বে স্রষ্টার থেকে সরাসরি প্রাপ্ত বাণী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত রাখতে চেযেছিল।
সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বর্তমান সময়ে সারাবিশ্বে একটি আলোচিত বিষয়। সমাজবিজ্ঞানের ভাষায় সন্ত্রাস হলো একটি পন্থা যার মাধ্যমে কোনো সংগঠিত দল ধ্বংসাÍক কার্যক্রম সংগঠনের মাধ্যমে তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করে। সন্ত্রাস বা জঙ্গীবাদের কোনো বর্ডার বা সীমানা রেখা নেই। উন্নত বা উন্নয়নশীল কোনো দেশই এর ভয়ানক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বিশেষত ২০০১ সালে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর সারাবিশ্বের মানুষের কাছে সন্ত্রাস একটি আলোচিত বিষয়। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৮০ এর দশকের শুরুতে আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মদদপুষ্ট সরকারকে উৎখাত করার জন্য কথিত জিহাদী ধারণায় উদ্বুদ্ধ আফগান নাগরিক ও বিভিন্ন মুসলিম দেশের যোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করে। তারা ঐ সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমেই সে সময়কার অন্যতম পরাশক্তি সোভিয়েত বাহিনীকে আফগানিস্তানের মাটিতে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে এসকল সংগঠন বিশ্বের অন্যান্য দেশে সন্ত্রাসী আক্রমণের মাধ্যমে সশস্ত্র জিহাদের ঘোষণা দেয়। আল-কায়েদা ও আরো কয়েকটি জিহাদী সংগঠন বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী আক্রমণের মাধ্যমে বিশ্বের সচেতন মানুষের বিরাগভাজন হয়। ৯০ এর দশকের শুরুতে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর বিরূপ মনোভাব ও নিপীড়নের ফলশ্র“তিতে বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশে ইসলামী উগ্রবাদী জঙ্গী গ্র“পগুলোর উত্থান ঘটেছে বলে অনেকে ব্যাখ্যা করেন।
ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশে ইসলামপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদগোষ্ঠীর উপস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের আবির্ভাব দেখা যায় ’৯০ এর দশকে। আশি ও নব্বই এর দশকে বাংলাদেশের অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও মাদ্রাসার ছাত্র আফগানিস্তান, কাশ্মীর, ইরাক, লেবানন, ফিলিস্তিন প্রভৃতি দেশে গিয়ে সে সকল দেশের মুসলমানদের পক্ষে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, নিপীড়িত মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী শাসন কায়েমের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ঐ সকল দেশে অবস্থানের সময় তারা বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গী সংগঠন ও নেতৃবৃন্দের সংস্পর্শে আসে। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশী মুজাহিদদের অনেকে দেশে ফিরে আসে এবং এদের মাধ্যমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন তাদের কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটানোর প্রয়াস পায়। এসব সংগঠন জনগণকে ইসলামী জীবন ধারায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েমের তাগিদ দিতে থাকে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সাধারণ মানুষের ধর্ম ও জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞানের অভাব, হতাশা, এসব নানা কারণে জঙ্গী সংগঠনসমূহ দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে এবং ভেতরে ভেতরে শক্তিশালী হতে থাকে। ফলশ্র“তিতে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামক একটি সংগঠন দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩ জেলার প্রায় ৫০০ জায়গায় একযোগে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে।
সিরিজ বোমা হামলার পর সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ তৎপর হয় এবং ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে। ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে জেএমবি’র সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানীকে ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ১ মার্চ ২০০৬ জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানকে সিলেট শহরের শাপলাবাগ এলাকার সুর্যদীঘল নামক একটি বাড়ি থেকে এবং একই বছরের ৬ মার্চ জেএমবি’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইকে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার চেচুয়া বাজারের রামপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। এদের গ্রেপ্তারের ফলে জেএমবি অনেকটা কোণঠাসা ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এসকল সংগঠনের মূল নেতৃত্ব বর্তমানে জীবিত না থাকলেও গোপনে গোপনে এরা সংগঠিত হয়ে এদের তৎপরতা এখানো চালিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গীবাদ দমনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। জঙ্গী হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ পর্যন্ত র‌্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃ´খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের মোট ৭৭৮ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫২ জনই হলো নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্য। এ সময় র‌্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃ´খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা মোট ২০৪টি গ্রেনেড ও বোমা, ৭৫টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, প্রায় তিন হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ, দুই হাজার কেজি বিস্ফোরক, ৬২৪টি গ্রেনেড এর বডি, নয় হাজার ডেটোনেটর ও বিপুল সংখ্যক সাংগঠনিক বই, সিডি ও লিফলেট উদ্ধার করেছে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গাজীপুর ও মিরপুর এলাকা থেকে ২০০৯ সালে জেএমবি’র ঢাকা বিভাগের একজন সামরিক কমান্ডার, একজন বোমা বিশেষজ্ঞ ও আইটি প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ২০১০ সালে র‌্যাব সদস্যরা বেশ কিছু জেএমবি, পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা, হরকাতুল জিহাদ ও হিজবুত তাহরির সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এবছর ফেব্র“য়ারি মাসে সিরাজগঞ্জ জেলার আলোকদিয়া গ্রাম থেকে জেএমবি’র আমীর মাওলানা সাইদুর রহমানের একজন ঘনিষ্ট সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জঙ্গী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের গ্রেপ্তার ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনা থেকে এটা ধারণা করা যায় যে দেশে জঙ্গী সংগঠনের তৎপরতা কমে গেলেও তা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়নি।
তবে সরকার জঙ্গীবাদ দমনে যেভাবে কাজ করছে তাতে অচিরেই জঙ্গীবাদ নির্মূল হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গীবাদ প্রতিকার ও প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটি অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও অনুরূপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। জঙ্গীবাদ বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি মোটিভেশন কার্যক্রমের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তথা মসজিদের ঈমামদের সম্পৃক্ত করে মোটিভেশন কার্যক্রম জোরদারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জঙ্গীবাদের কুফল সম্পর্কে মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারণা জঙ্গীবাদ দমনে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে জঙ্গীবাদ দমনে মিডিয়ার ভূমিকা জোরদারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ সকল কার্যক্রমের ইতিবাচক ফলাফলও দৃশ্যমান হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কোনো ধরনের বোমা বিস্ফোরণ ও জঙ্গী হামলার ঘটনা লক্ষ্য করা যায়নি। সারাদেশে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। সম্প্রতি ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশকে ‘মডারেট মুসলিম কান্ট্রি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ বর্তমানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অক্র ফোর্ডেও অভিধান অনুসারে মৌলবাদ বলতে বুঝায প্রাচীন কোন ধর্ম বা কোন বিশ্বাসকে দৃঢ়তার সাথে ধারন করাকে। তবে আক্ষরিকভাবে মৌলবাদকে যেভাবেই বিশ্লেষন করা হোক না কেনএকটি কথা সবজর্ন স্বীকৃতযে বিশ্বের প্রতিটি ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে একদল মৌলবাদী সকল সময় ছিল এমনকি এখনও আছে। আর এ মৌলবাদীদের অজ্ঞতা বা অন্ধবিশ্বাসকে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ব্যাক্তিরা ব্যবহার করেছে কিংবা এখনো করছে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের পরিধিকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে। একটা সময় মৌলবাদকে পুজিঁবাদরা ব্যবহার করেছে সামান্ত বাদকে নিশ্চিহ্ন করে দিবার হাতিয়ার হিসাবে। আবার দেখা গেছে গনতান্ত্রিক প্রতিষ্টার নামে কোন কোন দেশে মৌলবাদউেসকে দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে এটাও মানুষের অধিকার প্রতিষ্টার সংগ্রাম। মূলত পুঁজিবাদরা পূর্বে যেমন মৌলবাদকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে গনতন্ত্রের নামে বা সমাজতান্ত্রিক নীতিকে পৃথিবী থেকে বিদায় দিতে। আবার এখন অর্থনৈতিক সহায়তার নামে গনতান্ত্রিক রাস্ট্রে সম্পূন পর্দাও আড়ালে থেকে মৌলবাদেও বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা ভাবে। যেখানে বর্তমান বিশ্বে অল্প সংখ্যক দেশ ছাড়াই অধিকাংশ দেশ উদার ধর্ম পন্থী।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদ শব্দটিউচ্চারণরিত হওয়ার সাথে সাথে মানুষের চোখে ভেসে উঠে মুসলান ব্যাক্তি ও ইসলাম ধর্ম। আর যে বিষয়টি অনেক বেশী মুসলমানদেও জন্য লজ্জ্বাকর তা হলো পশ্চিমা বিশ্বে মুসলিম দের জন্য এটা একধরনের গালি। কেননা মৌলবাদ ও মুসলমান শব্দটির সাথের চিত্র হলো একজন সন্ত্রাসী, বোমাহামলকারী বা হত্যাকারী। এক কথায় বলা হয় মৌলবাধী বা জঙ্গি। অথচ জঙ্গী বাদ ও মৌলবাদ দুটি শব্দই ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে তা উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোধ্য গম্য করা যায়। হযরত মোহম্মদ(দঃ) মুসলমানদেও জন্য ধর্মের যে শাশ্বত বাণী রেখে গেছেন তা হলো – বিনা কারনে কোন বিধর্মীকেও হত্যা করা সর্ম্পন রূপে নিষেধ।
সাংবিধানিকভাবে ইসলাম ধম বাংলাদেশের রাস্ট্র ধর্ম হওয়া সত্ত্বেও এদেশের মানুষ একে অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীল। তথাপি কতিপয় ধর্মীয় উগ্রবাদীদের নানা ধরনের কর্মকান্ডের কারনে এদেশে জঙ্গীবাদ বা মৌলবাদ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু এদেশের জনগন কোনদিনই তা সমর্থন করেনি বা কওে না বলে আজ অবধি এসব জঙ্গিবাদের উত্থান সূচনাপাতের আগেই যবনিকা টেনেছে। উদাহরন স্বরূপ হলো বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি। বাংলাদেশের জনগন কোরআনকে বিশ্বাস করে এবং সাথে এটাও জানে যে নিজের জীবন ও অন্যের জীবন দিয়ে বেহেশত যাওয়া কিংবা ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করার কোন অনুমতি কোরআন মানুষকে দেয়নি।
তারপরও নানা কারনে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে সে কারণ গুলো বিশ্লেষন করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন – সন্ত্রাস দমনের জন্য প্রথমে সন্ত্রাসের কারণগুলো ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। সাধারন ভাবে দেখা যায় যে, আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাস এর কারন আর দেশের সন্ত্রাসের কারনগুলো এক নয়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কারনে সন্ত্রাসের ভয়াবহতা বাড়ছে । আমাদের দেশে কেন সন্ত্রাস বাড়ছে তা বিশ্লেষন করা প্রয়োজন । শুধু কি মৌলবাদ এর কারণ নাকি আরো কোন কারণ রয়েছে?বাংলাদেশে সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়ার মূলত তিনটি কারন রয়েছে।
প্রথমত – যখন সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রের কোন মিশন থাকে বা সরকার চালাচ্ছে যে পলিটিকেল পাটি তার কোন একটা সেকটর যদি কোন ধরনের স্পন্সর করে বা এক ধরনের সহ্য করে প্রশয় দেয় তখন সন্ত্রাস বেড়ে যায়। যেমন বিগত সরকারের আমলে বা মিডিয়ায় বাংলা ভাইয়ের ব্যাপারটা বার বার বলা সত্ত্বেও সরকার বাংলা ভাইয়ের ব্যাপারটা গুরুত্ব দেয়নি।
দ্বিতীয়ত – আবার দেখা যায় যে, বড় রড় রাজনৈতিক দল প্রচন্ড একটা polarized রাজনীতির মধ্যে চলে যায় । এ ধরনের প্রচন্ড বিভক্তির ফলে একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে। এতে করে তারা দায় চাপানোর রাজনীতির মধ্যে চলে যায় , আর এর ফলে তৃতীয় পক্ষ যারা সন্ত্রাস করছে তারা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে করে পার পেতে চায়। ঠিক একই ভাবে পলিটিকেল পাটির মধ্যে যখন গনতন্ত্র বা গনতন্ত্রয়ান না থাকে ,তখন দেখা যাচ্ছে , সন্ত্রাসী বা মস্তানগুলো বেশ পেয়ে বসে পার্টিকে।
তৃতীয়ত -ধর্মান্ধতা । দেখা যায় যে, পাকিস্তানে বোমা পড়ছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাস চরম আকার ধারন করেছে । ইসলামিক দেশগুলোতে ইসলামের মধ্যে যে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাধারা আছে , তাদের মধ্যে একটা দ্বন্ধ তৈরী হয়েছে জোরে সোরে । আমরা যদি বাংলাদেশের কথা বলি দেখা যায় মুসলিম দেশ হিসাবে এখানে হানাফি দর্শনের অনুসারী তেমনি ওয়াহাবি দর্শনের অনুসারীও আছে। তবে এখানে যে বিষয়টি লক্ষ্যনীয় তা হলো হানাফি দর্শন বা সূফীদর্শনে যে একটা সহ্য করার ক্ষমতা আছে তা আবার ওয়াহাবী বা অন্য দর্শনে নাই। এতে করে ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে দ্ধন্ধ দেখা যাচ্ছে। যেমন হানাফি দর্শনে বা সূফী দর্শনে মাজার যাওযাটা অ-ইসলামিক না , ইসলামের একটা অংশ হিসাবে ধরা হয়। ফলে আমাদের এখানে সূফীদের মাজার শরীফ আছে। সেখানে মানুষরা যায় ফুল দেয়, নামাজ পরে , কিন্তু ওয়াহাবী যারা তারা এটা আবার মেনে নিতে পারছে না । তারা আবার মনে করে মাজার শরীফে যাওয়া ইসলামিক না।
সুতরাং পৃষ্টপোষকতা, রাজনৈতিক দ্ধন্ধ ও ইসলামিক দ্ধন্ধ এই তিনটি কারণে মোটামুটি বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশের সন্ত্রাসের কারণটা স্পষ্ট হয়ে থাকে। তবে এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে এ তিনটার যে কোন একটি কারণে সন্ত্রাস হলে অন্য কারনগুলো সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে।
মূলত বাংলােেদশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান ও ইসলাম ধর্মী । কিন্তু এখানে কিছু সংখ্যক মুসলমান আল্লাহর আইনকে প্রতিষ্ঠা করার কথা তুলে কেউ কেউ সন্ত্রাস করছে , মানুষ হত্যা করছে, প্রচলিত ধর্ম নিরপেক্ষ যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেই প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা করছে। বাংলাদেশে ইসলামের নামে যে সন্ত্রাস সৃস্টি হচ্ছে তার কারণ আজ অবধি জনগনের কাছে পরিস্কার না হলেও বেশ কিছু ঘটনার পর একটা বিষয় পরিস্কার এই ধর্মের নামে সন্ত্রাসের পিছনে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে অনেকাংশে।
বস্তুত সন্ত্রাসবাদের নামে ইসলাম প্রতিষ্ঠার যারা চেষ্টা করছে, তারা ইসলাম বলতে যে জিনিষটা বুঝে , সেটাকে বলা যায় উগ্রপন্থি বা রিজিট । যে চিন্তা – ভাবনাকে অনেকে ওয়াহাবী বলে। ইসলামে প্রকৃতপক্ষে অনেক ধরনের ব্যাখ্যা আছে । ধর্ম এক হলেও বিভিন্ন ব্যাখ্যা আছে বিভিন্ন মতবাদে। এতে করে ইসলামিক চিন্তা ভাবনাকে নানা ভাবে ব্যাখ্যা করে জনমত সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। ফলে সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়।
সার্বিকভাবে সন্ত্রাস দেশে ও দেশের মানুষের মধ্যে বিস্তার করার সাথে সাথে যুব সমাজ বিশেষ করে ছাত্র সমাজ জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে। সাধারনত বাংলাদেশ যারা মোটামুটি শিক্ষিত বা যাকে বলা হয় খুব creative তারা হচ্ছে ছাত্র। কিন্তু স্কুল- কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা খুব একটা ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় বা পড়াশুনা করতে চায় না , আবার তারা পড়া লেখা শেষ করে কেউ হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার , ডক্টর, আই টি বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি। আবার যে সব ছাত্ররা মধ্যমানের মেধা সম্পন্ন বা মিডিওকাররা চেষ্টা করে ইসলামের বিষয় ব্যাখ্যা দিতে কিংবা তারা ইসলামী বিষয়ক পড়াশুনা করতে চায়। এতে করে ইসলামের ব্যাখ্যা তাদের হাতে চলে যাচ্ছে। যদি মিডিওকাররাই ইসলামের ব্যাখ্যা করে তাহলে তো হবে না । কেননা ইসলামের ব্যাখ্যা করতে হলে তার তো প্রচুর জিনিষ জানা থাকা দরকার এবং প্রচুর পড়ালেখা দরকার। যার জন্য কোরআনের প্রথম বাণীটা ছিল ‘ইকরা’ । অথচ যারা এ ইসলামের আলোচনা করছে তারা দেখা যাচ্ছে খুব সহজ বলে বিষয়টাকে এবং তারা তাদের মতো করে ইসলাম এর ব্যাখ্যা দিচ্ছে। যা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল বলে প্রমাণিত হয় বা অপব্যাখ্যা হয়ে সমাজের ক্ষতির কারণ হয়।
যেমন‘ ফতোয়া’ যে আইন না তা ইসলামে স্পষ্টভাবে বলা আসছে , এটা হচ্ছে একটা ওপিনিয়ন বা মত। একজন একটা ফতোয়া দিচ্ছে আরেকজন আরেকটা ফতোয়া দিতে পারে, আর ফতোয়া তখনই দিতে পারে যখন একজন ব্যক্তি চাচ্ছে । এমনি কিন্তু ফতোয়া দেওয়া যায না , যখন কারোর কাছে থেকে ওপিনিয়ন চাচ্ছেন তখন ফতোয়া দেওয়া হয়, আর ফতোয়া সেই দিতে পার যার ফতোয়া দেওয়ার ব্যাপারে জ্ঞান রয়েছে বলে সবাই মনে করে। এই থেকে বুঝা যায় যে ফতোয়া আইন যারা দিচ্ছে আবার যারা এটাকে সমালোচনা করছে তাদের কেউই জানে না ফতোয়া জিনিষটা আসলে কি? প্রকৃত পক্ষে ইসলামে যে জ্ঞানটা রয়েছে তাকে নানা ধরনের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সংকীর্ণ করে ফেলছে ধর্মান্ধতার মাধ্যমে এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে তারা সন্ত্রাস করছে নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজের মাধ্যমে।
আবার এ সন্ত্রাসের যোগান দাতা বা ইন্ধনদাতা হিসাবে অনেক সময়ই কাজ করে রাজনৈতিক শক্তি । রাজনৈতিকভাবে এ সন্ত্রাস মোকাবেলার জন্য অর্থ, পেশী শক্তি বা অন্য আরেকটি সন্ত্রাসের বা জঙ্গীবাদের সহায়তায় সমাধানের চেষ্টা করা হয় । অর্থ্যা রাজনৈতিক যে শক্তি সে শক্তি এ ধরনের জঙ্গীবাদকে উৎসাহিত করছে , সমর্থন করছে ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে সারা বিশ্বে ।
বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ উত্থান এর কারন গুলোকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় যে এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা । বর্তমানে জঙ্গীবাদ বেড়ে গেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই । কিন্তু জঙ্গীবাদের ধরনের মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। বিশ বছর আগের জঙ্গীবাদ এবং এখনকার জঙ্গীবাদ এর মধ্যে একটা পার্থক্য আছে । জঙ্গীবাদের এক একটা লেয়ার আছে । আমরা যাকে মস্তানী বলি সেটাও এক ধরনের জঙ্গীবাদ । মস্তানী কিন্তু মোটামোটি সব জায়গায় আছে । যেমন ইলেকশন এর সময় মস্তান মস্তানী করছে , কারোর টেন্ডার পাওয়ার সময় সে মস্তানী করছে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে ও মস্তানি করছে।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে অনেকাংশে মাস্তানরা বড় রোল প্লে করে। নেতা বা নেত্রীরা কিছু বিষয়ে মাস্তানদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে । আর তাতে মাস্তানীর কারণে জনগন থেকে বিছিন্ন হয়ে যায় দলের নেতা নেত্রীরা। যেমন ভোটের সময় মস্তানরা এক দরনের সক্রিয় ভূমিকা পালন করে দলের প্রার্থীর পক্ষে। পরবর্তী সময়ে এ মস্তানরাই হয়ে যায় king maker or queen maker এবং definitely ৭/৮ জন মাস্তান যদি মনে করে আমি বানাছি এমপি , পরবর্তীতে এরা রির্টানের জন্য বাধ্য করে এমপি দের আর এমপিরা তাদের কথা শুনতে বাধ্য থাকে। আর এstructure থেকে বের হয়ে আসতে হলে , তার জন্য প্রথম পদক্ষেপ সেটা হল অবশ্যই পার্টিতে কোন দরনের মস্তানীকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। যা ২০০৯ এর ভোটে কোন দলই মস্তানীকে আগের মতো ব্যবহার করেনি।
প্রকৃত পক্ষে আমাদের দেশে সরকারী দল বা বিরোধী দল সহ সকল রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিত ভাবে যদি সত্যিকার অর্থে গনতন্ত্রের চর্চা করে তাহলে যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া হতো হয়ত তা জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রসাবাদের বিরুদ্ধে একটা ভূমিকা পালন করতে পারে। সত্যিকার অর্থে গনতন্ত্রের অনেক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আছে । সংবাদপত্রের স্বাধীনতা. শিক্ষার স্বাধীনতা সহ নানা কাঠামোর মিলিত রূপ হচ্ছে গনতন্ত্র। কিন্তু আমাদের দেশে ভোট এর মাধ্যমে যেটা হচ্ছে সেটা সঠিক গন তন্ত্রের রূপ দিতে পারে না।

আমাদের দেশের এ যে অগনতান্ত্রিক পরিস্থিতি তার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অস্বচ্ছতা । কিন্তু এ পরিস্থিতি শুধু দেশীয় না এটা আর্ন্তজাতিক। আর তা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে গড়ে উঠেছে। এটাকে সঠিক ভাবে মোকাবেলা করার জন্য বা প্রতিহত করার জন্য যে রাজনৈতিক প্রক্রিযার দরকার তার স্বচ্ছতা থাকতে হবে। কিন্তু তা সঠিক ভাবে দেখা যায় না। যে গনতন্ত্র বা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আমরা দেখি বা সমালোচনা করছি তা যেভাবে করা উচিত তা হ্েচ্ছ না।
বন্তুত জঙ্গীবাদের বা সন্ত্রাসবাদের মত এত বড় সমস্যাকে মোকাবেলা করা একা সরকারের পক্ষে সম্ভব না। এজন্য বিরোধী দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সমম্বয় লাগবে কিন্তু বাংলাদেশে এ সমন্বয় নাই। বিগত ১৫/১৬ বছর গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে এই সমন্বয়ের প্রক্রিয়াটা দেখতে পাওয়া যায় নাই।
সুতরাং জঙ্গীবাদ মোকাবেলা ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক র্ব্যথতাগেুলোকে কাটিয়ে আগামীতে পথ চলার চেষ্টা করতে হবে সম্মিলিতভাবে সকল দলগুলোকে রাজনৈতিক সঠিক বিচার ও বিবেচনার মাধ্যমে যা সর্ম্পূনরূপে হবে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×