somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাতু মালয়েশিয়া - ৯

২২ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব-
Click This Link

গেনটিং নিয়ে আরেক প্রস্থ

একের পর এক পাহাড় পার হয়ে পৌঁছুলাম মনজিলে মকসুদে ! কেবল উঠতেই থাকে কেবল কার ! অবশেষে নেমে হাঁফ ছাড়লাম।

কেবল কারের পেট থেকে বের হয়ে খুশ মেজাজে !

এরপর গাইড আমাদের নিয়ে হোটেলের ভেতর দিয়ে পার হতে হতে এর বৃত্তান্ত জানালেন। বাহাসা মালায়ুতে এর নাম তানাহ তিঙ্গি গেনটিং। সেলাঙ্গর আর পাহাং রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত এই দুর্দান্ত ট্যুরিস্ট রিসোর্টটি। মূল অংশ অবশ্য পাহাং-এ পড়েছে। বর্তমান মালয়ী প্রধানমন্ত্রী নজীব তুন রাজাক এক সময় পাহাংয়ের মুখ্যমন্ত্রী ( বাহাসা মালায়ুতে মেনতিরি বেসার) ছিলেন।

গেনটিংয়ের দজ্ঞযজ্ঞ পরিচালনা করে গেনটিং মালয়েশিয়া বেরহাড। আগে নাম ছিলো রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড বেরহাড। ১৯৬৪ সালে ক্যামেরন হাইল্যাণ্ডে বেড়াতে গিয়ে প্রয়াত তান সেরি লিম গোহ টং-এর মাথায় আসে এরকম একটা রিসোর্ট তৈরীর কথা। ভাবনা মোতাবেক কাজে নেমে পড়লেন। ২৭ এপ্রিল ১৯৬৫ মরহুম তান সেরি হাজী মোহাম্মদ নোয়াহ বিন ওমরকে সাথে নিয়ে তান সেরি লিম গড়ে তোলেন গেনিটিং হাইল্যাণ্ড বেরহাড। এজন্য পাহাং সরকার থেকে ১২ হাজার একর এবং সেলাঙ্গর থেকে ২৮০০ একর (সব মিলে প্রায় ৬০ বর্গ কিলোমিটার ) জমি লিজ নেন তারা। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এগিয়ে চলে কাজ। ৩১ মার্চ ১৯৬৯ মালয়েশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী টুংকু আবদুল রহমান পুত্রা প্রথম হোটেলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। সে হোটেলের নাম প্রথমে ছিলো হাইল্যাণ্ডস হোটেল। ১৯৭১ সালে হোটেলটির নির্মান শেষ হয়। এখন নাম থিমপার্ক হোটেল। এখন সেখানে আছে আরো ৫টি হোটেল- ম্যাক্সিমস হোটেল, ফার্স্ট ওয়াল্ড হোটেল, গেনটিং হোটেল,হাইল্যাণ্ডস হোটেল ও রিসোর্ট হোটেল। এই ছয়টি হোটেলে আছে ১০ হাজারের মতো কক্ষ। একটিতেই আছে সাড়ে ৬ হাজার রুম। গাইড জানালেন রুম সংখ্যায় এটিই বিশ্বের বৃহত্তম হোটেল।

ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড হোটেল

হোটেলের সাথে আছে চোখ ধাঁধানো ইনডোর আর আউটডোর থিম পার্ক। আমরা ইনডোরটায় ঘুরেছি, কিছু রাইডে চড়েছি। বাইরে একবারও পা ফেলতে পারিনি তুমুল বৃষ্টির জন্য।

ভেতর থেকে দেখা বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা বাইরের থিমপার্ক

শিশুদের জন্য এক স্বপ্নের ভূবন

এইসব ঘোরাঘুরির সাথে আছে অনেকগুলো রেস্তোরাঁ, থ্রিডি মুভি দেখার সুযোগ, প্যাভিলিয়ন হল, কনভেনশন সেন্টার। আর আছে বিশাল ক্যাসিনো !

চারপাশে লোকে লোকারণ্য ! মেঘ বৃষ্টির কারণে বেশ ঠাণ্ডা। ভাবলাম নিশ্চয়ই সেন্ট্রালি এয়ার কণ্ডিশনড। শেষ পর্যন্ত বুঝলাম আসলেই এয়ার কণ্ডিশনড। তবে সেটা আক্ষরিক অর্থেই ন্যাচারাল ! এক জায়গায় বড়োসড়ো জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সেখান দিয়ে অবাধে হু হু করে ঢুকছে মেঘলা বাতাস। সেই মেঘের শীতলতা দিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হচ্ছে।

ঢুকছে মেঘলা বাতাস !

এভাবে ঘুরে ঘুরে দেখলাম। দুপুরে খেলাম এক ভারতীয় রেস্তোরাঁয়। এক সময় সময় ফুরালো। উঠে বসলাম বাস পারসিয়ারানে। বেরিয়ে পড়লাম ঝুম বৃষ্টিতে। ভিজতে ভিজতে ফিরে চললাম কুয়ালা লামপরের পথে। মনটা ভিজে রইলো ভালো লাগা আর গেনটিংকে ছেড়ে আসার বেদনায়।

(চলবে)




সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৫১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×