চোখে নোনা জল নেই,
মুখচাপা কান্না নেই,
কবি মনে যাতনা নেই,
সাহিত্যে ধূসর পাতায় বিষাদের উপাখ্যানও নেই;
তাই বলে কি পুরুষ মনে কোনও কষ্ট নেই?
ওরা কি সত্যিই পাথর?
যার দেহ ছুঁয়ে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো শুধুই ঝড়ে পড়ে যায়!
না! ভুল ভাবছেন আপনি।
ওরা পাথর নয়।
ওরা ত ধূসর মরুভূমির রুক্ষ তপ্ত বালুকণা,
প্রখর রোদ্রে ভাঁজে ভাঁজে পড়ে থাকে ওরা।
শিল্পীর তুলিতে আঁকা সে বালুকণার ছবি কতোই না নয়নশোভন!
তবু প্রয়োজন ছাড়া কোন মুসাফির ভুলেও যায়না ও পথ মাড়িয়ে।
যদি পুড়ে যায় পা!
যদি উঠে সাইমুম ঝড়!
কোন মুসাফির যে হারাতে চায় না দিশা।
কখনো যদি মেঘেরা আসে মরুর আকাশে,
ঝড়ে পড়ে বৃষ্টিজল হয়ে।
বালুকণারা তখন ভিজায় গাত্র
মনের খুশি মিটিয়ে।
সে ভিজা শরীরের উপর আসে অনেক মুসাফির,
সহজে বিশাল মরুর পথ পাড়ি দিবে বলে।
মুসাফির আসে, মুসাফির যায়।
বালুকণার গা জুড়ে পড়ে রয় শুধু পদচিহ্ন।
মরু খুব লজ্জিত হয় তখন,
যদি কেউ দেখে ফেলে!
একসময় ঝড় শেষ হয়,
মেঘের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে সূর্য।
মুছে যায় ভেজা বালুতে লেগে থাকা সব পদচিহ্ন।
ওরা পুড়তে থাকে,
পুড়তে পুড়তে হয়ে উঠে রুক্ষ শুষ্ক।
বালুকণারা আবার ফিরে যায় স্বরূপে।
ধুসর মরুভূমির মাঝে-
সাজিয়ে নিজেদেরকে,
পড়ে রয় স্তরে স্তরে।।
আপনিই বলুন-
পুরুষের কি কোন কষ্ট হয়?