somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটু শান্তি চাই, একটু বাঁচতে চাই! আমাদেরও সাধ জাগে বেচে থাকতে

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দেশ এখন গোল্লায় চলে গেছে। তাই দেশ নিয়ে এখন আপাতত কিছু ভাবতে মন চায় না। ভাবতে গেলে মনে হয় যেনে বুকের মধ্যে একটা করে হাতুড়ির দিয়ে বাড়ি দিচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে ইচ্ছে জাগে, শূণ্যে ভেসে চিৎকার করে বলি। শান্তি চাই, দেশে শান্তি ফিরিয়ে দেও, বাঁচতে চাই, বাঁচতে দেও মানুষদের, শান্তি চাই, শান্তি চাই, বাঁচতে চাই, বাঁচতে চাই। বুকটা বিষণ ভারি হয়ে আছে। কাঁদতে পারছি না। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। এদেশের মানুষের এমন করুণ অবস্থা দেখে।

ঘুম থেকে উঠতে মন চাইছিলো না, ঘুম ঘুম চোখে ভাবতে লাগলাম “যদি সকালের মিষ্টি সূর্য্যটা আর কখনো না উঠতো ।” তাহলে মানুষের এতো অপকর্ম শুনতে হতো না, গুনতে হতো না। রাতের ঘুমটাই যেনো পৃথিবীর সব শান্তি দিয়ে ভারিয়ে দেয় সৃষ্ট্রিকর্তা। তখন আর কাউকে দেখতে হয় না, কারো মুখেল প্রতিচ্ছবিও না। কারণ মানুষের মুখের প্রতিচ্ছবি দেখলেই মনে হয়, এ যেনো হায়নার দল।

প্রথম আলোর অনলাইন পত্রিকা খুলতেই চোখে পড়লো “শিশুটিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মেসে নিয়ে ধর্ষণ” বিস্তারিত পড়লাম না শুধু নির্বাক হলাম। নিউজটি ক্লোজ করে দিলাম।

এদেশের মানুষ বড়ই নিষ্ঠুর, কেউ কারো না, কেউ কারো কথা ভাবে না, কেউ কাউকে সামান্য একটু সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেয় না। যার আছে ভূড়ি ভূড়ি সেই চায় আরো বেশি। অনেক পরিচিত, মানুষও ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকে। কিন্তু সময়ের সাপেক্ষে তার মুখ উন্মুচন হয়। তখন বিশ্বাস করতে বিষণ কষ্ট হয়। তখন মনে হয় যেনো আমি হয়তো কোন ভিনগ্রহে আছে। মানুষ কি করে এতোটা অমানুষ হতে পারে।



মনের অনেকগুলো দুঃখ পুষিয়ে রেখেছি যা কাউকেই বলতে পারি না। বাবা মাকে বললে তাঁরা বিষণ কষ্ট পাবে, ছোট ভাই-বোনকে বললে ওরা কষ্ট পাবে। পাশে থাকা মানুষটিকে বলে কিছুটা ভার মুক্ত হই। তারপরও তাকে সব কিছু বলি না ইচ্ছে করেই। পাশের মানুষটিকে বললেই কষ্টগুলো বেরিয়ে যেতো। কিন্তু আমার কণ্ঠসরই বের হয় না। আমি যেনো নির্বাক হয়ে গেছি। আমার গলা কেউ যেনো চেপে ধরেছে। তাই কষ্টগুলো বের হতে পারছে না। কখন যেনো আমার মানসিক সমস্যা হতে পারে, বুঝতে পারছি না কি করবো।

দেশ, মানুষের আচারন, মানুষের বিবেক, দেখে সব মিলিয়ে আমি নিস্তদ্ধ, মনে হচ্ছে যেনো বাঁকশক্তি হারিয়ে ফেলিছি। আমি এমন একটি দেশে বাস করি, যে দেশ আমাকে আনন্দ, ভালোবাসা, সম্মান, দিতে পারে না, বেচে থাকার আশ্বাস দিতে পারে না, খেটে খাওয়া ব্যবস্থা করে দিতে পারে না, যে দেশ আমায় অধিকার দিতে পারে না, যে দেশ আমায় স্বাধিনতা দিতে পারে না। সে দেশে বাস করতে ভালো লাগে না। এর থেকে ভিনদেশে পরগাছা হয়ে থাকা ভালো। তারা আর কিছু না দিতে পারলেও মুখে খাবারটা তো দিতে পারবে।

আমি এমন একটা দেশে বাস করি, যে দেশ- আমার হাসি, আনন্দ, সুখ, সম্মান, ভালোবাসা, বিশ্বাস, খদ্য, বস্ত্য, শিক্ষা, বাসস্থান, স্বাধীনতা সব কিছু কেড়ে নেয়। এটা শুধু আমার বেলায়ই নয়, সারা বাংলার মানুষের বেলায় হয়। এটা তো আমি চাই না, এমনটা তো আমি দেখতে চাই না, এমনটা তো হওয়ার কথা নয়, তাহলে- কেনো? কেনো? কেনো হচ্ছে এমনটা।

আমি কার দোষ দিবো, আমি কাকে দোষারোপ করবো, বলুন না। আমার হাহাকার, আমার কষ্ট, আমার দুঃখ, আমার মনের যন্ত্রণা এসবের জন্য কাকে দায়ী করবো। আমার ভাগ্য নাকি এদেশর অকর্মা মানুষদের।

আমারা কি বেচে থাকার জন্য পারি না একটু দেশকে ভালোভাবে চালাতে, পারি না আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাস করতে। পারিনা আমরা আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে, পারি না আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে। পারিনা প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার বঞ্চিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে। পারি না? কেনো পারি না?



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×