somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবারো শিবির-ছাত্রদলের উস্কানি

২৩ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মতা ছাড়ার পর বিএনপি ও জামাত মড়িয়া হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা হামলা চালাচ্ছে প্রতিপ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শিবির-ছাত্রদল হামলা চালিয়েছে জাতীয় পার্টির সমাবেশে। অথচ তারাই জাতীয় পার্টিকে জোটে নেয়ার জন্য মড়িয়া। তাহলে এরশাদ জোট না যাওয়ায় এই হামলা?
অবরোধের তৃতীয় দিনে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির সমাবেশে হামলা চালিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। তারা ভাংচুর করেছে সভামঞ্চ। হামলায় আহত হয়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদসহ 20-25 জন নেতাকর্মী। বুধবার বেলা সোয়া 1টায় পুলিশের সামনেই সশস্ত্র অবস্থ্থায় ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডাররা এ হামলা চালায়।
হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর থেকে বিকেল 4টা পর্যন্ত বিজয়নগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জাতীয় পার্টি কর্মর্ীদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টির কর্মীরা টায়ার ও পুরনো আসবাবপত্রে আগুন জ্বেলে বিজয়নগরের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ভাংচুর করে পুলিশের রিকুইজিশন করা একটি বাস। ছাত্রদল-ছাত্রশিবির লাঠিসোটা নিয়ে জাতীয় পার্টির কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিােভ-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কাজী জাফর আহমদ। প্রত্যদর্শীদের মতে, বুধবার বেলা সোয়া 1টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে থেকে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, নাজিমউদ্দিন আলম ও নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর নেতৃত্বে ছাত্রদল-শিবিরের একটি মিছিল বিজয়নগর দিয়ে মুক্তাঙ্গনে যাচ্ছিল। এ সময় বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসের কাছে হাসক প্রোডাকশনের সামনে ট্রাকে মঞ্চ বানিয়ে পুর্বনির্ধারিত কর্মসুচিতে জাতীয় পার্টির নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন। কাজী জাফর আহমদের বক্তব্য চলাকালে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মিছিলটি ওই মঞ্চের কাছে পেঁৗছে। জাতীয় পার্টির কর্মীরা অভিযোগ করেন, সাবেক এমপি নাসিরউদ্দিন পিন্টু নির্দেশ দেন জাতীয় পার্টির কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। আর তখনই ছাত্রদল ও শিবির কর্মীরা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিপে শুরু করে। জাতীয় পার্টির কর্মীরাও ইটপাটকেল নিপে করে প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ছাত্রদল-শিবির কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মঞ্চে অবস্থ্থানরত সিনিয়র নেতাদেরও তারা রেহাই দেয়নি। তাদের হামলায় কাজী জাফর আহমদসহ 20-25 জন আহত হন।
হামলার সময় মঞ্চে ছিলেন কাজী জাফর আহমদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন রাজু প্রমুখ। এক শিবিরকর্মী কাজী জাফরের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি ট্রাক থেকে রাস্তায় পড়ে যান। পরে জাতীয় পার্টির কর্মীরা কাজী জাফর আহমদকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেন। এ সময় রুহুল অমিন হাওলাদারও আহত হন। এছাড়াও আহত হন জাতীয় পার্টির নেতা আবদুল কাদের ভূঁইয়া, তরুণ বসু, বিপ্লব ফারুক আলম, সাবের হোসেন, সুলতান শেখ, আমির উদ্দিন আহমেদ, গাজী এমএ সালাম, আবদুস সাত্তার প্রমুখ। গুরুতর আহত জাতীয় পার্টির 56 নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন (30), কর্মী বেলাল (42), ছাত্রদলের আবদুল কাদের জুয়েলকে (25) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্রদল ও শিবিরকর্মীরা জাতীয় পার্টির সমাবেশে ব্যবহার করা 6 টি মাইক নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়। ছাত্রদল ও শিবিরকর্মীদের ইটের আঘাতে আল হাবিব কমিউনিটি সেন্টার ও ডলফিন স্টুডিওর জানালার কাচ ভেঙে যায়। কাজী জাফর আহমদ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উপস্থি্থত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপুর্ণভাবে সমাবেশ করে যাচ্ছিলাম। এ সমাবেশে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডাররা অতর্কিতে হামলা চালায়। আমাদের নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে মাইক ছিনিয়ে নেয়। ট্রাকটিও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। তিনি ঘোষণা দেন, এ ঘটনার

প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিােভ ও সমাবেশ করা হবে। এরপর বেলা সোয়া 2টার দিকে বিজয়নগর এলাকা দিয়ে বিএনপির একটি মিছিল মুক্তাঙ্গনের দিকে যায়। জাতীয় পার্টির মঞ্চের কাছে যাওয়ার পর জাতীয় পার্টির কর্মীরা বিএনপির অল্পসংখ্যক নেতাকর্মীকে ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে নয়াপল্টনের গলির ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে জাতীয় পার্টির বিুব্ধ কর্মীরা পুলিশের রিকুইজিশন করা বাস (ঢাকা জ 14-0028) ভাংচুর করে।
বিজয়নগরে সংঘর্ষ চলার সময় পল্টন থেকে কয়েক শ' পুলিশ ধীরগতিতে এগিয়ে যায় ঘটনাস্থলের দিকে। পুলিশ যাওয়ার আগেই ছাত্রদল-শিবিরকর্মীরা মিছিল নিয়ে মুক্তাঙ্গনের দিকে যেতে থাকে। এ সময় অনেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। বুধবার সকাল থেকেই মুক্তাঙ্গনের পল্টন ও জিরো পয়েন্টের দিকে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ কাউকেই যেতে দেয়নি। এমনকি সাংবাদিকদের প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়। ছাত্রদল ও শিবিরকর্মীরা যখন বিজয়নগর এলাকায় পেঁৗছে তখনই পল্টনের দিকের ব্যারিকেড খুলে দেয় পুলিশ। বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির মঞ্চে হামলা চালিয়ে ছাত্রদল ও শিবিরকর্মীরা মিছিল নিয়ে মুক্তাঙ্গনে প্রবেশ করে। তখন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে ব্যঙ্গত্মক শ্লোগান দেয়। এ সময় পুরো পল্টন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×