ঘুড়ি যদি জেনে যায় নাটাইয়ের কেরামতি-
খাঁচা নয়, নীল আসমানেই হবে তার ঘর-বসতি।
এই ভেবে আমরা-
ঘুড়ির পা নূপুর-বন্দি করি
সিঁথিতে উড়াই সিঁদুর নিশান আর
বারোহাত কাঁটাতারে ঘিরে রাখি তার উড়াল মন।
আমরা পরিবার-যন্ত্রে ঘুড়ি বানাই-
পাখিদের ডানা কেটে লুকিয়ে ফেলি বোরকার ঢোঙায় আর
তাদের জরায়্যুতে লিখে রাখি আমাদের অস্তিত্বের জলজ সাক্ষর।
যতই দিন বদলের কথা কই, আসলে সভ্যতার খোলসের আড়ালে-
এখনো আমরা সবাই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি,
ব্যক্তিগত সম্পর্কের দলিলে অধিক মুনাফার শর্তে চুক্তিবদ্ধ হই।
আমরা পাখি ভালোবাসি না
প্রজাপতিও ভালোবাসি না
কৃতদাসী ঘুড়ি-ই আমাদের চোখে সুর-সুন্দরী।
তাই-
সম্পর্কের শেয়ার বাজার থেকে আমরা
সস্তায় কিনিতে চাই মাংস-রক্তের পাথর ঘুড়ি।
ভাবের অবতারণা: ১৪/১০/২০০৯
ভাবের পূর্ণতা: ০১/০২/২০১০
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫