যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই স্বদেশী শকুনদের ফাঁসী নিশ্চিত। এখন প্রশ্ন হল__ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর তাদের মৃতদেহ কোথায় সমাহিত করা হবে? বাংলাদেশে নাকি তাদের পেয়ারা পাকিস্তানে? ঘৃণায়-ক্ষোভে অনেক মুক্তিযুদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ-মনাই হয়ত বলতে পারেন, তাদের এই ঘৃণিত মরদেহ পাকিস্তানেই পাঠিয়ে দেয়া উচিৎ, তাদের মৃতদেহ শকুন দিয়ে খাওয়ানোই উত্তম ইত্যাদি। কিন্তু আমি বলবো, না। খুব সূক্ষ্ম বিবেচনায় এই তীব্র ও তুমুল ঘৃণা কিন্তু ক্ষণিকের; যা এক প্রজন্মেই বিগত হবে। আমাদের উচিৎ স্বদেশ-স্বজাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের একটা কালসার প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেয়া; যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন বর্বর-বেঈমানি করার স্পর্ধা দেখাতে না পারে। এজন্য আমি সুশীল-অশ্লীল সকল সমাজের কাছেই একটি প্রস্তাবনা রাখছি__ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী কার্যকর হওয়ার পর তাদের মৃতদেহ ঢাকাস্থ কোন বিশেষ স্থানে সমাহিত করা হোক; এবং সেখানে নির্মাণ করা হোক একটি ঘৃণা-স্তম্ভ! প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে ঐ স্তম্ভে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ঘৃণা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হোক। এই ঘৃণা প্রদর্শন হতে পারে ঘৃণা-স্তম্ভে জুতা-অর্পণ কিংবা থুঃথুঃ নিক্ষেপের মাধ্যমে; আর দিনটি হতে পারে ১৪ই ডিসেম্বার, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস। কারণ, আমার বিবেচনায় রাজাকার-আলবদর-আলশামসরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সর্বনাশ করেছিল ঐ দিনে। বিচার সঠিকভাবে হলে যুদ্ধাপরাধীদের অস্তিত্ব বাংলার বাস্তু-ভিটে থেকে বিলুপ্ত হবে অচিরেই; কিন্তু গুআজম-পুংজামি-গুজাহিদের মত কুৎসিত চরিত্রগুলো বাংলার মানুষ অন্তরে লালন করুক প্রজন্মান্তরে প্রবল ঘৃণায়...
যারা আমার প্রস্তাবনার অনুকূলে আছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে বিষদভাবে ভাবুন, লিখুন; চিন্তাটি গণমানুষের কাছে ছড়িয়ে দিন। আর যারা প্রতিকূলে আছেন, তাদেরকে ভদ্রতা বজায় রেখে বাহাসে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।