somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধীদের সমাধিস্থলে একটি ঘৃণা-স্তম্ভ নির্মাণ প্রস্তাবনা-১

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই স্বদেশী শকুনদের ফাঁসী নিশ্চিত। এখন প্রশ্ন হল__ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর তাদের মৃতদেহ কোথায় সমাহিত করা হবে? বাংলাদেশে নাকি তাদের পেয়ারা পাকিস্তানে? ঘৃণায়-ক্ষোভে অনেক মুক্তিযুদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ-মনাই হয়ত বলতে পারেন, তাদের এই ঘৃণিত মরদেহ পাকিস্তানেই পাঠিয়ে দেয়া উচিৎ, তাদের মৃতদেহ শকুন দিয়ে খাওয়ানোই উত্তম ইত্যাদি। কিন্তু আমি বলবো, না। খুব সূক্ষ্ম বিবেচনায় এই তীব্র ও তুমুল ঘৃণা কিন্তু ক্ষণিকের; যা এক প্রজন্মেই বিগত হবে। আমাদের উচিৎ স্বদেশ-স্বজাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের একটা কালসার প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেয়া; যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন বর্বর-বেঈমানি করার স্পর্ধা দেখাতে না পারে। এজন্য আমি সুশীল-অশ্লীল সকল সমাজের কাছেই একটি প্রস্তাবনা রাখছি__ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী কার্যকর হওয়ার পর তাদের মৃতদেহ ঢাকাস্থ কোন বিশেষ স্থানে সমাহিত করা হোক; এবং সেখানে নির্মাণ করা হোক একটি ঘৃণা-স্তম্ভ! প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে ঐ স্তম্ভে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ঘৃণা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হোক। এই ঘৃণা প্রদর্শন হতে পারে ঘৃণা-স্তম্ভে জুতা-অর্পণ কিংবা থুঃথুঃ নিক্ষেপের মাধ্যমে; আর দিনটি হতে পারে ১৪ই ডিসেম্বার, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস। কারণ, আমার বিবেচনায় রাজাকার-আলবদর-আলশামসরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সর্বনাশ করেছিল ঐ দিনে। বিচার সঠিকভাবে হলে যুদ্ধাপরাধীদের অস্তিত্ব বাংলার বাস্তু-ভিটে থেকে বিলুপ্ত হবে অচিরেই; কিন্তু গুআজম-পুংজামি-গুজাহিদের মত কুৎসিত চরিত্রগুলো বাংলার মানুষ অন্তরে লালন করুক প্রজন্মান্তরে প্রবল ঘৃণায়...

যারা আমার প্রস্তাবনার অনুকূলে আছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে বিষদভাবে ভাবুন, লিখুন; চিন্তাটি গণমানুষের কাছে ছড়িয়ে দিন। আর যারা প্রতিকূলে আছেন, তাদেরকে ভদ্রতা বজায় রেখে বাহাসে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×