অবশেষে সমাপ্তি ঘটল বহুল আলোচিত-সমালোচিত বাংলাদেশ-ভারত সাইবার ওয়ার যা কিনা "অপারেশন ইন্ডিয়াঃ ফেজ - ২" নামে পরিচিত ছিল।
এই যুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল Bangladesh Black HAT Hackers। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আরো কিছু বাংলাদেশী হ্যাকার গ্রুপ H4ck3r5 Un173d (Hackers United), 3xp1r3 Cyber Army, বাংলাদেশ সাইবার আর্মি এবং আমাদের মত সাধারণ কিছু মানুষ। আন্তর্জাতিক কিছু হ্যাকার গোষ্ঠী এ সময়ে বাংলাদেশকে তারা নৈতিক সমর্থন জানায়।
বাংলাদেশ ব্লাক হ্যাট হ্যাকারস তাদের ফেসবুক ফ্যান পেজে নতুন আপডেট এর মাধ্যমে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। নিচে তাদের ব্রিফিং হুবহু তুলে ধরা হল।
সাইবার যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা :
আমরা এতদিন ধরে যে সাইবার যুদ্ধ পরিচালনা করেছি সেটি ছিল সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে। আমরা ভারত সরকারের কাছে আমাদের দাবী সুষ্ঠুভাবে তুলে ধরতে পেরেছি আমাদের নতুন ধরণের প্রতিবাদের মাধ্যমে। ফলশ্রুতিতে ভারত সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধে পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছে। আমরা বলতে পারি, যে উদ্দেশ্যে আমাদের সাইবার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তা অনেকটাই সফল। এখন আমরা ভারত সরকারের কাছ থেকে আরেকটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেখতে চাই, সীমান্তে আর কোন লাশ নয়।কিছুটা হলেও একটা ঘোষণা পাওয়া গেছে, আমাদের উদ্দেশ্য তাই অনেকটাই সফল। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা সাইবার যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। লাখ লাখ মানুষের সমর্থন পেয়ে আমরা সাইবার যোদ্ধারা অভিভূত। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে এভাবে আবারও এক প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। যদি দেশের বৃহত্তম স্বার্থে, দেশের নাগরিকদের স্বার্থে যদি আমাদের আবার কখনো যুদ্ধে নামতে হয় তার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত থাকবো।
ভারতীয়দের সাথে আমাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ যুদ্ধ শেষ হয়েছে এ কথা বলব না । তবে এইবার আমাদের নিজের দেশকে পরিবর্তন করার সময় এসেছে ,ভারতীয় পণ্য বর্জন , ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বন্ধ । নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমরা চালিয়ে যাব ।
বিপ্লব কখনো বৃথা যায় না >>>>> বিকল্প প্রতিবাদের জয় হোক
জয় আমার মাতৃভাষা
জয় আমার মাতৃভূমি
জয় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
যুদ্ধের সারসংক্ষেপঃ
১২ ই ফেব্রুয়ারি ২০১২ মাঝ রাত (আনুমানিক) ভারতের কাছ থেকে এই যুদ্ধের ঘোষণা আসে। প্রতিবাদে বাংলাদেশী হ্যাকাররা প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমন শুরু করে। ভারতের মোট হ্যাক হওয়া সাইট এর সংখ্যা ২৫০০০(+) [ তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশ ব্লাক হ্যাট হ্যাকারস]। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সাইট হল - বিএসএফ, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, কয়েকটি দেশে ইন্ডিয়ার এমব্যাসি, কিছু ম্যাগাজিন, কয়েকটি টিভি চ্যানেল, কিছু পারসোনাল ওয়েবসাইট এমনকি কিছু পর্ণ সাইট। হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও লিক করা হয় ফেসবুক, ইয়াহু, গুগলসহ বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট এর ইউসার নেম ও পাসওয়ার্ড।
ভারতও এই সময়ে বাংলাদেশী কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করে যার মধ্যে ছিল জাতীয় লাইব্রেরী, জাতীয় শিক্ষাবোর্ড এর মত গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট।
যুদ্ধের ফলাফল বিচারে গেলাম না। তবে আপাতত এতটুকুই প্রত্যাশা -
সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:২৭