somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পর্ব ৫়আমারব্লগ.কম ব্লগের নাস্তিক ব্লগার 'যাযাবর'(নিক) এর হাদীস বিকৃতির জবাবে

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উক্তি করেছেন (লিংক) অথবা নিম্নে দেখুনঃ
King Fahim, একটি হাহা হাদাীস শুনবেন কি?

বুখারী: ভলিউম ৪, বই ৫৪, নম্বর ৪২১
মাওলানা আজিজুল হকের অনুবাদ (৬.১৯১৭)
আবুজর গেফারী (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন:
একদা আমি সূর্য অস্ত যাওয়াকালে হযরত রসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের সংগে মসজিদে ছিলাম। হযরত (দঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আবুজর! জান কি, সূর্য্য কোথায় যাইতেছে? আমি আরজ করিলাম, একমাত্র আল্লাহ এবং আল্লার রসুলই তাহা জানেন। হযরত (দঃ) বলিলেন, সূর্য চলিতে চলিতে আরশের নীচে যাইয়া সেজ্‌দা করিবে এবং (সম্মুখপানে চলিয়া উদিত হওয়ার) অনুমতি প্রার্থনা করিবে। তাহাকে অনুমতি দেওয়া হইবে। কিন্তু এমন একটি দিন নিশ্চয় আসিবে যে দিন সে এইরূপ সেজদা কবুল হইবে না (তথা তাহার সেজদার উদ্দেশ্য পূরণ করা হইবে না)।

উত্তরঃ
প্রশ্নটা শুনে চমকে উঠাই স্বাভাবিক।
কিন্তু উক্ত নাস্তিক এখানে বিকৃত অর্থ ও ব্যাখ্যা করেছে।
আমি মূল আরবী থেকে অনুবাদ করার চেষ্টা করছি।
[সহীহ বুখারী, খন্ড-৬, অধ্যায়-৬০, হাদীস নং-৩২৬]
'' হযরত আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (সঃ) সূর্যাস্তের সময় (সন্ধ্যার সময়) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
হে আবু যার ! তুমি কি জান সূর্য কোথায় যাচ্ছে (বা যাবে)? তিনি [আবু যার] বললেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল অধিক ভাল জানেন ।তিনি [রসুল (সঃ)] বললেন, সূর্য যাচ্ছে যতক্ষন না এটি আল্লাহর আরশের নীচে এসে প্রনত হয় বা ধরাশয়ী হয়। [এরপর তিনি কুরআনের এই আয়াতটি উল্লেখ করেন]যেমন আল্লাহ বলেছেন, 'আর সূর্য তাঁর জন্য নির্ধারিত পথে ধাবিত হয়।এটা মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী আল্লাহর সুনির্ধারিত ব্যবস্থা।'[সূরা ইয়াসীন,সূরা নং-৩৬ আয়াত-৩৮] "
[সহীহ বুখারী, খন্ড-৪, অধ্যায়-৫৪, হাদীস নং-৪২১]
'' হযরত আবু যার (রাঃ) বলেন, একদা রাসুল (সঃ) সূর্যাস্তের সময় (সন্ধ্যার সময়) আমাকে বললেন, তুমি কি জান সূর্য কোথায় যাচ্ছে বা যাবে? তিনি [আবু যার] বললেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল অধিক ভাল জানেন ।তিনি [রসুল (সঃ)] বললেন, নিশ্চয়ই সূর্য যাচ্ছে যতক্ষন না এটি আল্লাহর আরশের নীচে এসে প্রনত হয় বা ধরাশয়ী হয়।অতপর সে অনুমতি চায় এবং অনুমতি দেয়া হয়।এমন একদিন সময় আসবে, যেদিন সে প্রনত হবে কিন্তু তা কবুল করা হবেনা এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু তা দেয়া হবে না । তাকে বলা হবে, যে পথে এসেছে সে পথে ফিরে যাও । তারপর সে যে দিকে গমন করছিল ষে দিক থেকে আগমন করবে। [এরপর তিনি কুরআনের এই আয়াতটি উল্লেখ করেন] যেমন আল্লাহ বলেছেন, 'আর সূর্য তাঁর জন্য নির্ধারিত পথে ধাবিত হয়।এটা মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী আল্লাহর সুনির্ধারিত ব্যবস্থা।'[সূরা ইয়াসীন,সূরা নং-৩৬ আয়াত-৩৮]
[ এখানে,
قل النبى لابى ذر (কলান নাবিয়ু লিআবি যর)-নবী(সঃ) আবু যর (রাঃ)কে বললেন
حين غربت الشمس (হীনা গরাবাতিস শামস)- সূর্যাস্তের সময়ে তথা সন্ধ্যার সময়ে
ا تدرى (আ তাদরি)-তুমি কি জান
اين تذهب (আয়না তাযহাবু)-ষে কোথায় যাচ্ছে বা যাবে ]
এই হাদিস দুটিতে “রাত্রিবেলা, সারা রাত ধরে, ইবাদত-বন্দেগী, ভোরবেলা”- এইসব শব্দের কোন উল্লেখ নেই।
হাদিসের ব্যাখ্যাঃ
আমরা জানি, সূর্য সৌরজগতকে সঙ্গে নিয়ে spiral পথে ছায়াপথের মধ্য দিয়ে গমন করছে।
এর পথের নাম “The Milky Way” ।
এই পথে সূর্য প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২৩০ কিমি বেগে ধাবিত হচ্ছে এবং একটি পূর্ণ চক্র সম্পাদন করতে প্রায় ২৩ কোটি বছর প্রয়োজন ।
এভাবে সূর্য Hercules (Constellation)-এর অভ্যন্তরের একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
সুতরাং অত্র হাদিসে এটারই ইঙ্গিত করা হয়েছে।

আর এই প্রশ্ন উনিই প্রথম করেন নি ৬০এর দশক থেকে এটা বিকৃত করা হচ্ছে মদীনা ইউনিভার্সিটি এগুলো জমা রেখে ১০ বছর আগেই আর আমার কাছে সংগৃহীত আছে ১ বছর ধরে এসব বিকৃত কুরআন হাদীসের জবাব আর এই পরজীবী আউটডেটেট তোতাপাখি #'যাযাবর' এখন ওগুলো শুধু কপিপেষ্ট করছে আর পারবেই বা কি কপিপেষ্ট ছাড়া নিজে তো কুরআন হাদীস বাংলায় অনুবাদ কখনও পড়েই নাই।

যদি আরও বিস্তারিত জানতে চানঃ (ক্লিক)

তাই ভাইয়েরা আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ নাস্তিক হোন বা আস্তিক মুসলিম কি হিন্দু প্লিজঃ

আপনাদের সুবিদার্থেঃ
১ঃঅ্যান্ড্রয়েডের পেইড কুরআন অ্যাপস ফ্রীতে পেতে (এখানে ক্লিক করুন) এবং ২ঃঅ্যাপস বাংলা সকল হাদীস ফ্রীতে পেতে (এখানে ক্লিক করুন) অথবা ভাইয়েরা বাজার থেকে কিনে বাংলা কুরআন পড়ুন আর ওযু জরুরী নয় কুরআন কিন্তু আপনি ওযু করলে, না করব না যেভাবেই হোক পড়েন তাহলে নাস্তিক দের কাছে ধরা খাবেন না উল্টো অ্যানসার দিতে পারবেন।

এই হাদিস নিয়ে প্রচুর অপপ্রচার করছে অতি পুরাতন পরজীবী খালাত ভাই খ্যাত নাস্তিকগণ। তারা হাদিসটাতো বুঝেইনা বরং বোঝার চেষ্টাটাও করেনা। কেবল প্রশ্ন করেই চলে, প্রশ্ন করাটাতেই তারা পৈশাচিক আনন্দ খুজে পায়।
এই হাদিস নিয়ে তারা বলার চেষ্টা করে এখানে নাকি বলা হয়েছে সুর্যাস্তের সময় সুর্য আড়শের নিচে সেজদা দেয়, সারারাত সেখানে ইবাদত বন্দেগী করে। ভোরে উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেওয়া হয়।তারা যে স্পষ্ট ভ্রান্তিবশত এ মন্তব্য করে তা বোঝা যায় হাদিসের বর্ণনাকারীকে আবু যর না বলে আবু দার বলে উচ্চারন করার মাধ্যমে।বিভিন্ন ইংলিশ ব্লগ থেকে কপি পেস্ট এবং অনুবাদ করার মাধ্যমে তাদের এই অবস্থা। কোনদিনও তারা হাদিসটা খুলে দেখেছে কিনা তাও সন্দেহ আছে আমার।

যাইহোক তাদের এইসব অপপ্রচারের উত্তর দেয়া এবং সমুচিত জবাব দেয়া আমাদের কর্তব্য। তাদের এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের অনেকভাই অনেকভাবেই তাদের দিয়েছেন, এমনকি আমিও প্রায় চার-পাচজনকে দিয়েছি। কিন্ত তারপরও তারা একই প্রশ্ন উত্থাপন করতে থাকে। আমাদের ভাইয়েরা যাতে এই প্রশ্নের উত্তরটা দিতে গিয়ে কোনরুপ দিধাদ্বন্দে না ভোগে সে জন্যই আমার আজকের এই ছোট্টপ্রয়াশ।

পর্ব ১পর্ব ২ এবং পর্ব ৩
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×