যেভাবে গ্রেফতার হলেন রানা।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওর্য়াডের একটি বাসা থেকে সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রানাকে ঢাকা নিয়ে আসা হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে একটি মাইক্রোবাসে করে বেনাপোল পৌঁছান রানা। সেখানে তিনি বেনাপোল পৌর এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এদিকে এর আগে শনিবার র্যাবের গোয়েন্দা দল তথ্য-প্রযুক্তি কৌশল ব্যবহার করে রাজধানীর মিরপুরে তার অবস্থান চিহ্নিত করে। সেখানে র্যাব অভিযান চালালে রানা সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় তার অবস্থান নির্ণয় করে র্যাব। সেখানেও অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ব্যর্থ হয় র্যাব।
তারপর দীর্ঘ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায় র্যাব। রোববার ভোররাতে যমুনা সেতু হয়ে ইশ্বরদী, কুষ্টিয়া, যশোর হয়ে বেনাপোলের দিকে রওনা হন রানা। এ সময় র্যাব আবারো তার অবস্থান নিশ্চিত হয়। সেখানে র্যাব তাকে বেনাপোলের পৌরসভার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর র্যাবের গোয়েন্দা দলটি কড়া নিরাপত্তায় তাকে যশোর বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে র্যাবের হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় দায়ের হওয়া ২ মামলায় এ পর্যন্ত রানা ছাড়াও তার স্ত্রীসহ ৪ জন আত্মীয়, ৩ জন গার্মেন্টস মালিক ও ৪ জন প্রকৌশলীসহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ৯টার দিকে ৮তলা ওই ভবন ধসে যায়। ভবনটির ৩য় থেকে ৮ম তলায় ৫টি গার্মেন্টস কারখানায় ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, আগের দিন ভবনে ফাটল হয় ও পিলার ধসে পড়ে। তা সত্বেও বুধবার সকালে তাদের জোর করে কারখানায় ঢোকানো ও কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
এ ধসের ঘটনায় রোববার দুপুর সোয়া ৩টা পর্যন্ত ৩৭৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৮ জনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য লাশগুলো হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজার ৪৭৯ জনকে।