
প্যালেস্টাইনে অর্ধ-যুগ ধরে চলা ইসরাইলি নৃশংসতা চলছে! গত কয়েক বছর এই মাত্রা আরো তীব্র হয়ে উঠছে। সম্পন্ন গাঁজা এখন বসবাসের অনুপযোগী। বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাদ্যে, চিকিৎসার, ওষুধের তীব্র সংকট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে- গাজায় অতি শীঘ্রই মহামারী শুরু হবে যাতে মৃত্যু হতে পারে আরো কয়েক লাখ মানুষের বিশেষ করে নারী ও শিশু। বাচ্চারা রুটির মধ্য ঘাস-পাতা রোল করে খাচ্ছে। আর একবিংশ শতাব্দীর জীবন-যাপন, অর্থনীতি, আয়-ব্যায় এত সমস্যায় জর্জরিত নিকট আত্মীয়-স্বজনের কি হইলো দেখার টাইম নাই আর হাজার মাইল দুর প্যালেস্টাইনকি তো দুর কি বাত??? এত নৃশংসতা দেখতে দেখতে, এখন কেন জানি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন আর আগের মত কষ্ট লাগে না।! এক প্রকার মেনেই নিয়েছি এটাই প্যালেস্টাইনিদের ভাগ্যা। সবকিছু এখন এক প্রকার টেন্ড হয়ে গেছে, ফেসবুকে দু লাইন স্টেটাস লিখে মৌন্য প্রতিবাদ, বয়কট ইসরাইলি প্রোডাক্ট মোটামোটি এইসব চলতেছে গত কয়েক যুগ ধরে। সেই ইরাক যুদ্ধ থেকে শুনে আসছি- " বুশ- ব্লেয়ার দুইভাই এক দড়িতে ফাঁসি চাই"।
বিশ্ব অর্থনীতি, শিক্ষা, বিজ্ঞান, টেকনোলজি, চিকিৎসা, সামরিক দিক দিয়ে, বর্তমানে আরব বা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর যে অবস্থা, আরো এক হাজার বছর চেষ্টা করলে ও এরা পশ্চিম বা ইহুদি- খ্রিষ্টানদের যুদ্ধে পরাজিত করা সম্ভব না। আমার স্বল্প জ্ঞান বলে, মুসলমানদের গৌরবের ইতিহাস অর্ধ-পৃথিবী শাসন, কখনো আধুনিক সমরাস্ত্র, উন্নত প্রযুক্তি কিংবা সৈন্য সংখ্যার আধিক্য দিয়ে হয় নী, বরং এর মুল- ভিত্তি ছিল সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস আর বিশেষ কিছু চারিত্রিক গুণাবলী। "ওল্ড টেষ্টামেন্টে" উল্লেখিত ডেভিড এন্ড গোলায়া, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সময় "বদর' যুদ্ধে মাত্র ৩১৩ জনের একদল বিশ্বাসি মানুষ বিশাল এক সৈন্য বাহিনীকে পরাজিত করেছিল। ক্রুসেড, দ্যা ফল অফ কনস্টান্টিনোপল মুসলিম বাহিনী কখনোই প্রযুক্তি সমরাস্ত্রে শ্রেষ্ঠ ছিল না। এখন তথাকথিত ২০০ কোটি মুসলমানদের নেতারা আমদ ফুর্তিতে ব্যস্ত! সৌদি রাজপরিবারের তাঁদের জামা-কাপড় লন্ড্রি করতে ফ্রান্সে পাঠায়। বাংলাদেশের হুজুরেরা হেলিকপ্টার ছাড়া ওয়াজে যায় না, ৮-১০ আইটেম পদ ছাড়া খাবার খায় না, এসির বাতাস ছাড়া নামাজ পড়ায় না। অথচ প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু ভবিষ্যতে বাণী করে গেছেন- আবারো বিশ্বে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, ৩১৩ জনের একদল বিশ্বাসি মানুষ দ্বারা, চিরে ধরা ২০০ কোটি দিয়ে নয়।

নারদিন কেসওয়ারী: পশ্চিমা মিডিয়া গুলোতে বিশেষ করে আমেরিকায় প্যালেস্টাইন সংঘঠিত নৃশংসতার প্রতিবাদ সহ সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরছেন প্যালেস্টাইনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান এই অ্যাক্টিভিস্ট। "টক শো" সোস্যাল মিডিয়া, নিউ ইয়র্কের রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে অনেক পশ্চিমা সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। স্লোগানে স্লোগানে কাঁপিয়েছেন নিউ ইয়র্কের রাজপথ।
" Hey Biden What's u Say,
How many Babies have U killed today"
খুব দুঃখের বিষয় তার সোস্যাল মিডিয়ার দরুন মানুষ খুব বেশি প্রভাবিত হওয়ায় ইনষ্টারগ্রাম তার আইডি ডিলিট করে দেয়।

বাসেম ইউসুফ: মিসরীয় বংশোদ্ভূত একজন আমেরিকান কমেডিয়ান এন্ড এক্টিভিস্ট। হাসি-ঠাট্টা, স্ট্যান্ডআপ কমেডির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন কয়েক যুগ ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসন বর্বরতা। ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, আমেরিকায় বসবাস এবং কাজ করার ঝুঁকি নিয়ে টকশোতে বিশদ বর্ননা করেছেন। বাসেম ইউসুফ তার ক্রিয়েটিভ প্রতিভা দিয়ে দেখিয়েছেন কিভাবে হাঁসি- ঠাট্টার ছলে প্রতিবাদ করা যায়, যুগের পর যুগ সংগঠিত হওয়া বর্বরতার প্রতিচ্ছবি মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




