১- সেকালে বাংলার আপামর জনতা দ্বীন মজুর, শ্রমিকের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামীকরণ ও পৈতৃক সম্পত্তিতে রুপান্তরিত করেছে। শেখ পরিবার ও আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা জেলে বসে ও আগরতলা থেকে হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারিগর।
একালে- ২৪ ছাত্র জনতার ও তরুণদের আন্দোলন ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ছাত্র, প্রবাসী শ্রমিকের আত্মত্যাগের অর্জিত বিপ্লব গিলে খাওয়াদের নাম কথিত সমন্বয়ক। আত্মগোপনে ও জেলে বসে এই আন্দোলনের ইমাম হচ্ছে নাহিদ ইসলাম আর মাহফুজ হচ্ছে মাস্টার মাইন্ড।
২- সেকাল ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় কিংস পার্টি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে। জিয়াউর রহমানের ব্যাক্তিত, মেধা, সততা দিয়ে তিনি দলকে বড় করেন যোগ্য ব্যক্তিত্বদের দলে টানেন।
একালে ইন্টেরিমের ছত্র-ছাড়ায়; ঢাকা ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রিক কিছু পোলাপান দিয়ে কিংস পার্টি এনসিপি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা সভা-সমাবেশ শেষে অবস্থান করে সরকারি সার্কিট হাউজগুলোতে; নিরাপত্তা জান-মালের হুমকি থাকলে উঠে পড়ে আর্মির বিভিআরে।
৩- সেকাল দেশ স্বাধীনের পর আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গুর অবস্থার সুযোগে মুজিব বাহিনী ভিন্নমত দমন-পিরন, হত্যা লুণ্ঠন করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। হাজারী, কাদের সিদ্দিকী, ওসমান পরিবার এর উদাহরণ।
আর একালে হাসিনার তীর্থভুমি দিল্লি সফরের পর আইন শৃঙ্খলা অবনতিতে কথিত সমন্বয়ক, বিএনপি,জামাত কর্মীরা সচিবালয়ে ট্রান্সফার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, হত্যা, লুটপাট, দখলবাজি, নিয়ে ব্যস্ত।
৪-সেকাল: ৯৬ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ধ্বংশ করে বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আমলাদের অসহযোগিতা আর রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনে পরবর্তীতে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।
একাল: বিএনপির দেখানো পথে ২০১৪ তে এসে আওয়ামী সফল হয়। বিএনপির ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করে দীর্ঘদিন ক্ষমতা ভোগ করে।
৫-সেকাল: নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ছাত্রলীগের সভাপতি শীর্ষস্থানীয় নেতা কর্মীরা জাঁকজমকপূর্ণ জীবন, চলফেরা, গাড়ী, ফ্লাট আলিশানি জীবন ভোগ করে। অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, উপহার পাওয়া, পরিবারিক উওরাধিকার, ৭১ এর স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক বলে পাশ কাটিয়ে যায়।
একাল: ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মানবতার জীবন যাপন করা কথিত সমন্বয়কদের ২৪ এর পর বাড়িয়ে উঠান থেকে পুর্ব পুরুষের গুপ্তধন উদ্ধার করা হয়। অর্থের উৎস জানতে চাইলে সেই চিরায়িত উওর উপহার, পারিবারিক উওরাধিকার এর জুলাই চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া।
স্বাধীনতার পর ইহাই বাংলাদেশর রাজনৈতিক চিত্র। চক্রাকারে মাধ্যমে ঘুরে ফিরে এভাবে পরিচালিত হচ্ছে দেশ; বিপ্লব-অভ্যুত্থান হাজারো শহীদের রক্ত বিক্রি করে খাচ্ছে ক্ষমতাশালীরা।নিকট ভবিষ্যতে বিএনপির যদি ক্ষমতায় আসে আর জামাত যদি আশানুরূপ আসন না পায়; কে জানে হয়তো মুক্তিযুদ্ধের শক্তি আর রাজাকারের মধ্যে আরেকটি রাজনৈতিক ঐক্য দেখতে পারে দেশবাসী।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





