
বাংলাদেশি ইউটিউবার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বনি আমিন তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখেছিলেন- কোন এক সরকারি সফরে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অষ্ট্রেলিয়া যান। তিনি সম্ভবত তখন স্পিকার ছিলেন; বনি আমিন এর দায়িত্ব পড়ে অষ্ট্রেলিয়াতে তাকে আপ্যায়ন করার। যথাসময়ে আবদুল হামিদ কাজ শেষ করে বিকালে বনি আমিনের সাথে দেখা করেন। রাতের ডিনার করে তারা একটি ড্রিংকস বারে বসেন। বারের মধ্যে কিছুটা বিরক্ত বোধ করে হামিদ সাহেব হাসি মুখে বনি আমিনের কাছে আরো একটু বেশি কিছু চাওয়ার কথা বলেন। পরবর্তী সেখান থেকে বনি আমিন তাকে অন্য একটি বারে নিয়ে যায় যেখানে মেয়েরা নগ্ন হয়ে এলকোহল সার্ভ করে। অনেক পাবলিক আছে যারা এইসব বিশ্বাস করতে চায় না, হজম করতে সমস্যা হয়!!!
বাংলাদেশের অধিকাংশ নেতা-সচিবদের স্বভাব চরিত্র এমন। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলি; কোরিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পার্ক মিলন। আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই, এইতো শেষ দেশে আশার আগে ভাইয়ের বাসায় সকাল-সকাল ইলিশ মাছ ভেজে ভাত খাওয়াছে।
ভাইয়ের কাছে শোনা; বাংলাদেশ অর্থনীতি বড় হওয়ার সাথে সাথে কোরিয়ার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সরকারী চ্যানেল যাওয়া আসা বাড়তে শুরু করে। তো মিলন ভাইরা ৯০ সাল থেকে কোরিয়াবাসী তাই কোরিয়া ভাষা জটিলতা বিভিন্ন কাজে ব্যবসায়ী, সরকারি আমলা নেতাকর্মীরা তাঁদের সাথে যোগাযোগ করে। সরকারী ট্রেনিং সচিব এমনকি হাই প্রোফাইল অনেক নেতারা ও নাকি দুষ্টু দুষ্টু আবদার করে বসে।
প্রথমে আমার ধারনা ছিল বাংলাদেশের বড় দলগুলো মনে হয় দেশ থেকে ফান্ড পাঠায় বিভিন্ন দেশের অংগ-সংগঠন গুলাতে। না হলে খায়া-দায়া কার এমন আজাইরা টাইম বিদেশের মাটিতে বসে রাজনৈতিক সভা-অনুষ্ঠান করে। পরে ভাই থেকে শুনলাম এমন কিছুই না! সব প্রোগ্রাম, নেতাদের এয়ারপোর্টে থেকে গাড়িতে করে রিসিভ করা সভা-সমাবেশ সব করতে হয় নিজ খরচে। এখানে সব গিভ এন্ড টেক রিলেশন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



