
আমেরিকার সামরিক বাজেট $৯৬২ বিলিয়ন ডলার। ইনফ্লেশন, বাৎসরিক সামরিক বাজেট বৃদ্ধি হাতে নিলে আগামী দুই-এক বছরের মধ্যেই তা ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর কথা। ১ ট্রিলিয়ন ডলারের হিসাব টা একটু বুঝা দরকার! সংখ্যাটা বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় আড়াই গুন বড়; তুরস্ক, সৌদি আরব, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডের মত দেশের জিডিপি ও ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছারায়নি।
আমেরিকার উত্থান আকস্মিক কোন ঘটনা নয়; দেশটির ইতিহাস পর্যবেক্ষণ তা দেখা যায়। আমেরিকান ফাউন্ডিং ফাদার, পলেসি মেকাররা সৃষ্টিলগ্ন থেকে ভবিষ্যতে সুপার পাওয়ার হওয়ার লক্ষ্যে দেশটি তৈরি করেন। উদাহরণ স্বরুপ বলাই যায়, ভবিষ্যতে বানিজ্য ও নৌ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে বড় দুইটি মহাসাগরের নিয়ন্ত্রণ; ইষ্ট কোষ্টের আটলান্টিক থেকে ওয়েস্ট কোষ্টের প্যাসিফিক পর্যন্ত আমেরিকার রাজ্যেগুলো বিস্তার এবং আলাস্কা পাচ্চেজ এর মধ্যে অন্যতম। প্রশান্ত মহাসাগরে হাওয়ায়ে, আমেরিকান সামোয়া, গুয়ামে দেশটির ঘোষিত অঙ্গরাজ্যে এবং সামরিক ঘাঁটি আছে।
আজকের আমেরিকা শুধু সামরিক আর অর্থনীতি দিয়ে বিশ্ব শাসন করছে না; হলিউড, মিউজিক, মিডিয়া, টেকনোলজি, ফুড এন্ড লাইফস্টাইল দিয়ে জেনারেশন টু জেনারেশনকে আকৃষ্ট করছে। আমেরিকানরা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কনজ্যুমার। ওবামা তার একটি বিখ্যাত উক্তিতে বলেছিলেন "If every person in China or India or other developing nations were to consume like the average American, the planet could not sustain"। আমেরিকা আজকের অবস্থান আসতে হয়েছে নিজস্ব মেধা, শ্রম, পলেসি দিয়ে; পুর্বের সাম্রাজ্যবাদী সুপার পাওয়ারের মত দেশটিকে কলোনি থেকে শোষন করতে হয়নি। বৃটিশ দ্বীপ থেকে আগত ঔপনিবেশিক, যারা ১৩ টি কলোনিতে বিভক্ত হয়ে বসবাস করতো; জাতিসত্তা, ভাষা, সংস্কৃতি সম্পন্ন বিশ্ব থেকে ধার করা থেকে আজকের বিশ্বে সুপার পাওয়ার এক অষ্টম বিষ্ময়! দেশটি সামরিক, অর্থনীতি সহ অন্যান্য পেরামিটারে পূর্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো থেকে এত এগিয়ে যে, এমন সুপার পাওয়ার না পূর্বে কেউ ছিল, না ভবিষ্যতে কেউ আসবে!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




