somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে কেন!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বেশিরভাগ মানুষই বাতাস থেকে অক্সিজেন খুব সহজেই ফুসফুসে টেনে নিতে পারেন, কিন্তু সিওপিডি/ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস/ এ্যাজমা রোগীদের জন্য এটা খুব কঠিন একটা কাজ; শুধু কঠিন না, মাঝে মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস নেবার এই সাধারণ কাজটাও এধরণের একজন রোগীর কাছে একেবারে অসাধ্য সাধন করার মতো হয়ে দাঁড়ায়! এজন্য কিছু ঔষধ আছে, জীবন রক্ষাকারী স্টেরয়েড আছে, কিন্তু এগুলো ব্যবহারের বিরূপ প্রভাবও আছে।

ইনহেলার আবিষ্কারের পর শ্বাসকষ্টের রোগীদের কষ্ট অনেকটা কমে এল। এটার মাধ্যমে ঔষধ সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে সংকুচিত শ্বাসতন্ত্রকে প্রসারিত করে, ফলে ইনহেলার ব্যবহারের কয়েক মিনিটের মধ্যে শ্বাসকষ্টের উপসম হয়। উপসমকারী ইনহেলারের পর এল স্টেরয়েড ইনহেলার, যেটা শ্বাসকষ্ট হওয়া ঠেকিয়ে দিতে পারে। প্রতিদিন দুবার, বারো ঘন্টা পরপর এই ইনহেলার ব্যবহার করে অনেক সিওপিডি/ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস/ এ্যাজমা রোগী শ্বাসকষ্ট বিহীন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে লাগলেন, এবং রোজাও রাখতে সক্ষম হলেন কারণ ইসলামিক স্কলারদের মতে যে সমস্ত কারণে রোজা ভঙ্গ হয় ইনহেলার বা অক্সিজেন ব্যবহার সেসব কারণের অন্তর্ভুক্ত নয়।

এটাই জানতাম এতদিন পর্যন্ত। কিন্তু গত রমজানে
নতুন নকিবের পোস্ট থেকে রোজা ভাঙার মাসায়েল সম্পর্কে জানলাম, ইনহেলার ও অক্সিজেন ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়!! এই তথ্য আমার কাছে একেবারে নতুন ও অজানা;  তাই আরো জানার জন্য অন্তর্জালে খুঁজলাম। অক্সিজেন ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়- এমন তথ্য কোথাও পাই নি, কিন্তু দেখলাম ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে কি ভাঙ্গবে না এ নিয়ে মতভেদ আছে, না ভাঙ্গার পক্ষে অধিকাংশ মত। দুই ধরনের মতের দুজনের বক্তব্যের লিঙ্ক নিচে দিলাম। রোজা ভাঙ্গবে না বলছেন:

১) view this link

২) view this link

তারা বলছেন, রোজা পালন করতে পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়, ইনহেলারে ব্যবহৃত স্বল্প ঔষধ ও পানি পান কিংবা আহারের বিকল্প হতে পারে না, আবার অক্সিজেন ব্যবহারে ক্ষুধা তৃষ্ণা দূর হয়না তাই এটাও রোজা ভাঙ্গার কারণ হতে পারে না।
 
ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যাবে বলছেন:

৩) view this link

৪) view this link

তারা বলেছেন, ইনহেলারে আছে ঔষধের সাথে পানির ড্রপলেটস, যা মুখের মাধ্যমে গলা আর তারপর পাকস্থলীতে পৌঁছে, সুতরাং রোজা ভেঙে যাবে। শেষের লিঙ্কটির বক্তব্যের শেষে বলা হয়েছে:  "আমাদের মতামত জ্ঞানীদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে, যা পরিষ্কারভাবে বলে, যে কোনও উপাদান গলায় পৌঁছায় তা পেটে পৌঁছানোর অনুরূপ;  এবং প্রতিটি উপাদান যা পাকস্থলীতে পৌঁছেছে ইচ্ছাকৃতভাবে, তা রোজা ভঙ্গ করে।" 

নতুন নকিব অনেক গুলো মাসায়েল উল্লেখ করেছেন, তার থেকে কয়েকটি উদ্ধৃত করছি।

 এক) ইনজেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। (জাওয়াহিরুল ফতোয়া)
 
দুই) ইনহেলার দিয়ে মূলত শ্বাসকষ্ট দূর করার লক্ষ্যে তরল জাতীয় একটি ঔষধ স্প্রে করে মুখের ভিতর দিয়ে গলায় প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। এভাবে মুখের ভিতর ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙে যাবে। (ইমদাদুল ফতোয়া)

ছয়) রোজা অবস্থায় ঔষধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

ষোল) ঢুস মলদ্বারের মাধ্যমে দেহের ভেতর প্রবেশ করে, তাই ঢুস নিলে রোজা ভেঙে যাবে। ঢুস যে জায়গা বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে এ জায়গা বা রাস্তা রোজা ভঙ্গ হবার গ্রহণযোগ্য স্থান। (ফতোয়ায়ে শামী)

সতের) ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হবার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

চৌদ্দ) স্যালাইন নেয়া হয় রগে, আর রগ যেহেতু রোজা ভঙ্গ হবার গ্রহণযোগ্য রাস্তা নয়, তাই স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না, তবে রোজার কষ্ট লাঘবের জন্য স্যালাইন নেয়া মাকরূহ। (ফতোয়া দারুল উলুম)

অর্থাৎ রগের মাধ্যমে গ্লুকোজ নিলেও রোজা ভাঙ্গবে না।

 রোজা ভঙ্গের যে সব মাসায়েল নতুন নকিব উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে থেকে আমি যে ছয়টি উদ্ধৃত করেছি, তা পড়ে জানলাম যে (১) এমন কিছু, যা পানাহারের বিকল্প হতে পারে তা গ্রহণ করলেও রোজা ভাঙ্গবে না, যদি না তা মুখ দিয়ে দেহে ঢোকে। (২) অথচ অতি স্বল্প পরিমাণ পানির ড্রপলেটে রোজা ভেঙে যাবে, যদি তা মুখ দিয়ে যায়। (৩) রাস্তাই মূল কথা; রাস্তা যদি লিডিং টু পাকস্থলী হয়, তবে সে রাস্তায় সামান্যতম ঔষধ, এমনকি অক্সিজেন গেলেও রোজা ভেঙে যাবে। 

 তাহলে দেখা যাচ্ছে,  সুস্থ্ রোজাদার নাক দিয়ে অক্সিজেন নিলে অসুবিধা নেই, কিন্তু অসুস্থ রোজাদার শ্বাসকষ্ট লাঘব করার জন্য  মুখ দিয়ে অক্সিজেন নিলেই রোজা ভেঙে যাবে!

অথচ গ্লুকোজ ইনজেকশন নিয়ে আহারের অভাব পূরণ করা যাবে, স্যালাইন নিয়ে পিপাসা নিবারণ করা যাবে- রোজা ভাঙ্গবে না, কারণ  রাস্তা...

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে কি ভাঙ্গবে না সেটা আলোচনা করার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট দেয়া। আগেই চারটি লিঙ্ক দিয়েছি দুই ধরনের মতের, এবং নতুন নকিবের পোস্টের যেখানে মাসায়েল উল্লেখের মাধ্যমে তিনি তার মত প্রকাশ করেছেন। ২ নম্বর মাসায়েলে তিনি উল্লেখ বলেছেন, ইনহেলারে তরল পদার্থ মুখের ভিতর স্প্রে করা হয় বলে তাতে রোজা ভেঙে যায়। আমি নতুন নকিবের সাথে এই বিষয়ে একমত না; কেন তা নিচে ব্যাখ্যা করছি। অনুরোধ থাকলো নতুন নকিব এবং সব ব্লগারদের প্রতি, আমার ব্যাখ্যা পড়ে দেখতে এবং কোথাও ভুল হলে তা ধরিয়ে দিতে।

১) ইনহেলারে তরল ঔষধ প্রচন্ড চাপে গ্যাসের আকারে বের হয়, যাতে তা সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছাতে পারে। এটা অনেকটা এলপিজির মত, এমনিতে তরল কিন্তু চাপে হয়ে যায় গ্যাস। বলতে পারেন, এর মধ্যে তরল আছে ড্রপলেট আকারে। কিন্তু সেই ড্রপলেট কি এতটাই বেশি যে তা পানি পানের সমতুল্য হতে পারে? এক পাফে যতটুকু গ্যাস বের হয় তার আয়তন ১৫-২০ মিলিলিটার, https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/10145633/ চায়ের চামচে এক চামচ। এটা এতটাই অল্প যে গ্রহণ করলে মুখে কোন ভিজে ভাব অনুভূত হয় না। এটা সহজেই পরীক্ষা করে দেখা যায়; হাতের পাতায় একটা ইনহেলারের পাফ নিয়ে দেখুন, কোন  ভেজা দেখা যায় না।

২) আর মুখে ভিজে ভাব হলেই যদি রোজা ভেঙে যায়, তবে রোজাদাররা যখন কুলি করেন, দিনে  তারা যতবার খুশি কুলি করেন, তখন তাদের মুখের ভেতর এতটাই ভিজে যায় যা ইনহেলারের পাফের চাইতে অনেক বেশি। তাদের থুতুতেও পানির "ড্রপলেট" মিশে যায়। সেই ড্রপলেটের কিছু পাকস্থলীতে পৌঁছায়। এতে যদি তাদের রোজা না ভাঙ্গে, তবে ইনহেলারে কেন ভাঙবে?

হয়ত ইনহেলারে থাকা ঔষধকে আহারের সমতুল্য ধরা হয়। দেখা যাক ইনহেলারের এক পাফে কতটা ঔষধ থাকে। আমি যে দুটা ইনহেলারের ছবি দিয়েছি, তারমধ্যে নীলটার (ভেন্টলিন) ও সাদাটার (সীরডুপলা) এক ডোজে ঔষধের পরিমাণ যথাক্রমে ১০০ মাইক্রোগ্রাম ও ২৫০ মাইক্রোগ্রাম (এটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে)। এক মিলিগ্রামের একহাজার ভাগের একভাগ হচ্ছে এক মাইক্রোগ্রাম, আবার এক গ্রামের একহাজার ভাগের একভাগ হচ্ছে এক মিলিগ্রাম। তাহলে ভেন্টোলিন ও সীরডুপলা ইনহেলারে ওষুধের পরিমাণ যথাক্রমে:

১০০/(১০০০)/(১০০০) গ্রাম= এক গ্রামের দশ হাজার ভাগের একভাগ।

২৫০/(১০০০)/(১০০০) গ্রাম= এক গ্রামের চারহাজার ভাগের একভাগ।

এক চা চামচ পানির ওজন ৪.৯৩ গ্রাম। view this link সহজ করার জন্য ৪.৯৩ কে ধরলাম ৫, তাহলে ভেন্টোলিনের এক ডোজের ওষুধের ওজন এবং সীরডুপলার এক ডোজের ওষুধের ওজন এক চামচ পানির ওজনের যথাক্রমে পঞ্চাশ হাজার ভাগের এক ভাগ ও বিশ হাজার ভাগের একভাগ!! 

এই পরিমাণ ঔষধ খেলে কি পানাহারের সমতুল্য হয় যে রোজা ভেঙে যাবে? যেখানে দাঁতে আটকে থাকা খাবার বুটের দানার চেয়ে কম হলে সেটা খেলেও রোজা ভাঙ্গবে না!!

৩) যারা এই ফতোয়া দিয়েছেন তারা হয়তো জানেন না যে ইনহেলারের ডিজাইন আর ব্যবহার পদ্ধতি এমন ভাবে করা হয়েছে যে এর ঔষধ পুরোটাই শ্বাসনালীতে চলে যায়, খাদ্যনালীতে নয়।  ইনহেলার নেয়ার নিয়ম হচ্ছে- প্রথমে  প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসের বাতাস পুরো বের করে দিয়ে তারপর পাফ নিতে হয়। প্রথমত প্রশ্বাসে বাতাস বের করে দেবার ফলে ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয় এবং ইনহেলারের এ্যাঙ্গেল এমন যে ইনহেলারের প্রেসারাইজড ধোঁয়া সেই ভ্যাকুয়াম বা শূন্যস্থান পূরণ করতে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসে চলে যায়। তাই দেখা যায়, ইনহেলার নিলে শ্বাসকষ্টের রোগী কয়েক মিনিটের মধ্যে সুস্থ বোধ করেন। যদি ধরে নেই খাদ্যনালী হয়ে পাকস্থলীতে ঔষধ গেছে, তাহলে শ্বাসকষ্ট কমল কিসে?

৪) তরল ড্রপলেট ঔষধ ধোঁয়ার আকারে পেটে গেলে যদি রোজা ভেঙে যায়। তাহলে খাবারের ড্রপলেট বাষ্পের সাথে পেটে গেলে রোজা ভাঙ্গবে নাকি অটুট থাকবে? চুলায় টগবগ করে তখন ঝোল বা পায়েস উথলায় তখন চুলার পাশে দাঁড়িয়ে যিনি রান্না করছেন তিনি কেবল সেই খাবারের গন্ধই না, বরং ঝাল বা মিষ্টি স্বাদও অনুভব করেন। রমজান মাসে রান্নাঘরে খাবারের বাষ্পের মধ্যে যিনি রান্না চালিয়ে যান, তাকে কখনোই বলা হয়নি খাবারের বাষ্প ইনহেইল করার ফলে তার রোজা ভেঙে গেছে; ফতোয়াবিদরা একে রোজা ভাঙার কারণ মনে করেন না কেন?

ইনহেলারে রোজা ভাঙ্গবে না বলা দ্বিতীয় লিঙ্কটির শেষ অংশে বলা হয়েছে:

ইমাম ইবনে হাজম বলেছেন: "আমরা কখনও নাক, কান, চোখ দিয়ে খাওয়া বা পান করার কথা শুনিনি।" এটাই সত্য।  যখন আমরা কোনও ব্যক্তিকে নাকে বা চোখে ড্রপ নিতে দেখি, তখন আমাদের কারও কি এমন মনে হয় যে সে পান করছে? এ ছাড়াও, যখন প্রাচীনকালে জ্ঞানীরা বলেছিলেন যে, কোনও জিনিস দেহে প্রবেশ করলেই রোজা ভেঙে যায়, তখন তারা মানব দেহের শারীরবৃত্তীয় বিষয়ে পুরোপুরি সচেতন ছিল না।  তারা ভেবেছিলেন, আমরা নাক, চোখ বা কানের মাধ্যমে যা কিছুই গ্রহণ করি তা শেষপর্যন্ত পেটে পৌঁছায়।  কিন্তু আজ আমাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, এটি ঠিক নয়।  সুতরাং, আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে এই ঔষধগুলির কোনোটিই রোজাকে ভঙ্গ করে না। একজন রোজাদার কান বা চোখের ড্রপ, নাকের বা মুখের ইনহেলার, পেশীতে বা রগে ইনজেকশন, সাপোজিটরি বা এনিমা গ্রহণ করতে পারেন কারণ এগুলো তার রোযাকে নষ্ট করে  না।

যদি আমরা বলি যে এই ধরণের ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে রোজা ভেঙে যায়, তাহলে আমরা কোটি কোটি মানুষকে রোজা রাখা থেকে বিরত রাখতে চাইছি এসব ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে যাদের রোজার কোন ক্ষতি হয় না। এটা একটা গুরুতর বিষয়!!


=================================================================================
যারা কখনো তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগেননি তারা এই পোস্টের কিছুই হয়তো বুঝতে পারবেন না... আমার সবসময় মনে হয়, আল্লাহ এতটাই দয়াময় যে তিনি কোন বান্দার জন্যই ইবাদতে কোন কঠোরতা আরোপ করেননি বরং প্রতিটা ইবাদত পালনের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।

পুনশ্চ:
১৪ নম্বর মন্তব্যে নতুন নকিব যে তথ্য দিয়েছেন এবং তার মূল পোস্টের যার লিঙ্ক আমি দিয়েছি  সাত নম্বর মাসায়েলের কিছু অংশ বোল্ড করে এখানে দিলাম।

১৪ নম্বর মন্তব্য) বাজারে সাধারণতঃ যে সকল ইনহেলার পাওয়া যায় তার Base হচ্ছে এরোসল (Aerosol) অর্থাৎ এরোসলের মাধ্যমেই ওষুধ নাকের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। উদাহরণ হিসেবে সলবিউটামল ইনহেলারের কথাই ধরা যাক। সলবিউটামল ইনহেলার নেয়া হয় এবং প্রথমবার ওষুধ গ্রহণের মাত্রা যদি হয় ৪০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম, তবে সর্ব্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্বে (Peak Plasma Concentration) পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩-৫ ঘন্টা। রক্তে পৌঁছালে যেহেতু ওষুধ মগজে পৌঁছে, সুতরাং রোজা ভেঙ্গে যাবে।

সাত. রোজা অবস্থায় মস্তিষ্ক অপারেশন করে ঔষধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙ্গবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহী)

B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)



 



 
 














সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১
৫৩টি মন্তব্য ৫৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×