somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে এসেছিলেন...

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার
 বসি বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি
 ভেবে দেখো মনে-
একদিন শতবর্ষ আগে
চঞ্চল পুলকরাশি কোন্‌ স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্মে আসি লাগে--
নবীন ফাল্গুনদিন সকল বন্ধনহীন
  উন্মত্ত অধীর--
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা
 দক্ষিণসমীর--
সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দিয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে
তোমাদের শতবর্ষ আগে।
সেদিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে,
কবি এক জাগে--
কত কথা পুষ্পপ্রায় বিকশি তুলিতে চায়
  কত অনুরাগে
একদিন শতবর্ষ আগে।

খোলা জানালার পাশে বসে নয়, বরং আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম শতবর্ষ প্রাচীন এক বাড়ির সামনে, কল্পনায় ভেসে গিয়ে মনে ভাবছিলাম, শতবর্ষ আগে এমন এক সুন্দর সকালে কবিগুরু এই বারান্দায়, কিংবা বারান্দার পাশের গাছের ছায়ায় চেয়ার পেতে বসে কবিতা লিখছেন...

একশো দশ বছর আগে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাড়িটিতে থেকেছিলেন। এখানে থেকেই তিনি গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদের প্রুফ দেখেছিলেন, এখানে বসে তিনি ইংরেজ কবি ইয়েটসকে অনেক চিঠি লিখেছিলেন, অনেক কবিতাও লিখেছিলেন। বাড়িটি অবস্থিত আর্বানায়, আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় এট আর্বানা শ্যাম্পেন নামক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, ঠিকানা ৫০৮ হাই স্ট্রিট, আর্বানা। সাদা দোতলা বাড়িটি কাঠ দিয়ে তৈরি, নির্মিত হয়েছিল ১৯০৩ সালে। ১৯১২ সালের অক্টোবরে তিনি এখানে এসেছিলেন, সাথে ছিলেন পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী। আর্বানা ছিল তখন ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে সবুজ এক উদ্যান, সেই শ্যামলিমা হয়তো কবির মনে প্রশান্তি এনে দিয়েছিল, তাই এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে টানা ছয়মাস এখানে থেকে লেখালেখি করেছিলেন। দোতলা এই বাড়িটি তখনও এমনই ছিল, একতলায় তিনটি এবং দোতলায় তিনটি ঘর, একতলায় টানা বারান্দার শেষে কাঠের তিনটা সিঁড়ি, নামলেই ঘাসে ছাওয়া লন, তারপর রাস্তা। আজও এই বাড়িটি, বাড়িতে কবিগুরুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র, এমনকি বাড়ির আশপাশের বাড়িগুলো আর পরিবেশ একই রকম রেখে দেয়া হয়েছে। বাড়ির আশপাশের রাস্তাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এলাকার রাস্তার মতো পিচঢালা না, একশো বছর আগে যেমন ইট বিছানো পথ ছিল এখনও তেমনই আছে, লাইটপোস্টগুলোও সেইসময়কার মতই রাখা আছে। (আমেরিকানরা ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে অবিকল রেখে দেবার কাজটি খুব ভালভাবে করতে পারে। এই ইলিনয়ের স্প্রিঙফিল্ডে ঊনবিংশ শতকে আব্রাহাম লিংকনের বাড়ি ও তার আশপাশ, কাঠের টিউবওয়েল, তার পড়শিদের বাড়ি, রাস্তা, এমনকি সেসময় যে কাঠের ওয়াগন চলত তাও রাস্তায় রাখা আছে।) কিন্তু কবিগুরু তো তখনও নোবেলজয়ী হননি, তাহলে কেন তাঁকে সম্মান জানাতে তার ভাড়া করা বাড়িটি আজও একই রকমভাবে রেখে দেয়া হয়েছে!! এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখি, আর্বানা থেকে চলে যাবার কয়েক মাস পরেই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান, তারও আগে ১৯১২ সালেই তিনি আর্বানায় কয়েকদফা বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে বেশ পরিচিত ছিলেন। সুতরাং তিনি যখন প্রথম অশ্বেতাঙ্গ হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেলেন, তখন তিনি আর্বানায় অতি পরিচিত এক ভারতীয় কবি, তাই সেসময়ই তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে এই বাড়ি, তাঁর দেয়া বক্তৃতার কপি, সেই সময়ে ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় এট আর্বানা শ্যাম্পেনে তার আগমনের খবর, নোবেল পাওয়ার খবর সম্বলিত "দৈনিক ইলিনি" পত্রিকার কপি এই সমস্ত কিছু সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।

অন্তর্জাল থেকে দৈনিক ইলিনির তিনটি খবরের ছবি দিলাম, প্রথমটাতে ১৯১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্রের বাবা এবং ভারতীয় কবি হিসেবে কবিগুরুর আগমনের খবর, দ্বিতীয়টিতে আলোচনা ও বক্তৃতার খবর এবং তৃতীয়টিতে তার নোবেল পুরস্কার পাবার খবর দেয়া হয়েছে।







অবশ্য নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর তিনি আরো দুবার আর্বানা এসেছিলেন, ১৯১৬-১৯১৭ এবং ১৯২০ সালে। কিন্তু সেসময় আমেরিকার নানা প্রান্তের মানুষেরা তার বক্তৃতা শোনার জন্য উদগ্রীব অপেক্ষায় ছিলেন, তাই সারা আমেরিকার নানা অঞ্চলে বক্তৃতা দেবার মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি আর্বানায় এসেছিলেন।

কিন্তু এই বাড়িতে থাকাকালীন তিনি যেসব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যেসব সভায় গিয়েছিলেন তার সবকিছুই নথিবদ্ধ করা আছে আর্বানায়। ১৯১২ সালের দশই নভেম্বর তিনি প্রথম বক্তৃতা দেন, সেটাই ছিল কোন জনসভায় ইংরেজি ভাষায় দেয়া তাঁর প্রথম বক্তৃতা। এই বক্তৃতার বিষয় ছিল উপনিষদের বাণী। তিনি এই বক্তৃতা দিয়েছিলেন ইউনিটারিয়ান চার্চে, পরে যা পরিবর্তিত হয়ে নাম হয় চ্যানিং- মারী ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন এখন কবিগুরুর স্মৃতিময় সবকিছু সংরক্ষণ করে রেখেছে। বক্তৃতা দেবার সময় যে টেবিলে কাগজ রাখতেন (Lecturn), সেই টেবিলটিও ফাউন্ডেশনে সংরক্ষিত আছে। এই ফাউন্ডেশন এখন প্রতিবছর রবীন্দ্রনাথের আর্বানায় আগমন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় টেগোর ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে, যে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রবীন্দ্র প্রেমীরা একত্রিত হন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য এই বাড়িটি এতদিন একজন আমেরিকানের মালিকানায় ছিল। সম্প্রতি কাজল মুখোপাধ্যায় ও মৌসুমী দত্তরায় নামের নিউইয়র্কবাসী দুজন বাঙালি বাড়িটি কিনে নিয়েছেন। তারা ভবিষ্যতে বাড়িটিকে মিউজিয়ামে পরিবর্তিত করতে চান

এই বাড়িতে বসে লেখা চিঠি এবং কবিতাতে তিনি এই বাড়ির ঠিকানা লিখেছেন, যেমন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখা এই চিঠি, এবং এই কবিতা।





সেসময় তো আর আজকের মতো বিশ ঘন্টা প্লেন জার্নি করে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাওয়া যেত না!! কবিগুরু গিয়েছিলেন প্রথমে বোম্বে থেকে জাহাজে চড়ে বিলাতে, সেখান থেকে আবার জাহাজে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্ক, তারপর ট্রেণে করে শিকাগো, তারপর ঘোড়ার গাড়ি করে আর্বানা! দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে সুদূরের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিগুরু কেন এসেছিলেন জানা গেল না। সম্ভবত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরামর্শে তিনি আর্বানায় আসেন। তাঁর স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছিল না, তাই হয়তো রথীন্দ্রনাথ মনে করেছিলেন যে এখানে তাঁর বিশ্রাম হবে। কিন্তু রথীন্দ্রনাথ কেন এই জায়গাটাই নির্বাচন করলেন!! একটি লেখায় পড়েছিলাম, গবেষণার কাজে রথীন্দ্রনাথের দ্বিতীয়বার এখানে আসা প্রয়োজন ছিল, ভগ্ন স্বাস্থ্যের পিতাকে বিশ্রাম আর সঙ্গ দেবার জন্য তিনি তাঁকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন, সাথে ছিলেন স্ত্রী প্রতিমা দেবী, যিনি রান্নার কাজ করতেন। রান্নার কথাটা কিন্তু আমার অনুমান নয়, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখা চিঠিতে কবিগুরু নিজেই একথা লিখেছেন। কী রান্না করতেন জানতে পারলে ভালো হতো!

এর কয়েক বছর আগে, ১৯০৬ সালের এপ্রিলে আঠারো বছর বয়সী রথীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইলিনয় এসেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। কবিগুরু তাঁকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন কৃষি বিজ্ঞান পড়তে। সেসময় উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা বিলাতে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়তেন, কিন্তু রথীন্দ্রনাথ ব্যারিস্টারি না পড়ে কৃষি বিজ্ঞান পড়েছিলেন, কারণ কবিগুরু চেয়েছিলেন রথীন্দ্রনাথ যেন কৃষি বিজ্ঞানে পারদর্শী হয়ে দেশে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শেখাতে পারেন। কবিগুরুর ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল, রথীন্দ্রনাথ ১৯০৯ সালে কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে যান, শিলাইদহ কুঠিবাড়ির কাছেই একখন্ড জমিতে কৃষি গবেষণাগার তৈরি করেন, আমেরিকা থেকে নানা যন্ত্রপাতি আনিয়ে তা নিয়ে গবেষণা চালান। ট্র্যাকটর দিয়ে জমি চাষ করাও শেখান তিনি। যে কৃষকেরা কেবল ধান চাষ করতে জানতেন, রথীন্দ্রনাথ তাদের একই জমিতে আলু আর আখ চাষ করা শেখান। আমেরিকা থেকে উন্নত জাতের ভুট্টা বীজ আনিয়ে ভুট্টা চাষ করা শেখান।৩) আমার মনে হয় রথীন্দ্রনাথের আনা এই ভুট্টা বীজ ছিল এদেশে চাষের জন্য আনা প্রথম ভুট্টা বীজ, তার হাত ধরেই আমাদের দেশে ভুট্টা চাষের সূচনা হয়। সেই ভুট্টা বীজ হয়তো আনা হয়েছিল আর্বানার ভুট্টা ক্ষেত থেকে ...

ভুট্টা ক্ষেতের প্রসঙ্গে মনে পড়লো, আমাদের সামুর ব্লগার রাগিব হাসান এই ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে থাকতেন এবং ব্লগিং করতেন...

আর্বানা- শ্যাম্পেনে এসে কবিগুরুকে নতুন করে জানলাম। আগে তাঁকে জানতাম কেবল একজন কবি হিসেবে, যার মন মেঘের সঙ্গী হয়ে নিঃসীম শূন্যে উড়ে চলে যায়... কিন্তু এখন জানলাম, মাটিময় পৃথিবী আর মাটিমাখা মানুষও তার মনের মধ্যে ছিল। তিনি কেবল কবি নয়, বরং প্রজার কল্যানকামী জমিদার ছিলেন, যিনি ভেবেছিলেন যে মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে, নতুন কোনো ফসল উৎপাদন করে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারলে তাঁর দরিদ্র প্রজাদের জীবনমান উন্নত হবে। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজন ছিল আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানে পারদর্শী কেউ একজন মানুষ যে কৃষকদের মাঝে তার জ্ঞান ছড়িয়ে দেবে, তাদের করবে দিক্ষিত। একমাত্র পুত্র রথীন্দ্রনাথকে তিনি একাজের জন্য দায়িত্ব দিলেন... তা না হলে হয়তো রথীন্দ্রনাথ হতেন ব্যারিস্টার কিংবা বিলাসী জমিদার!

আর্বানায় রবীন্দ্রনাথকে জানতে গিয়ে প্রথমবারের মতো রথীন্দ্রনাথকেও জানার আগ্রহ জন্মায়, কারণ তিনিই কবিগুরুকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন! রথীন্দ্রনাথ সম্পর্কে খুব কমই জানা ছিল, তার ছবিও কখনো আগে দেখিনি। কীর্তিমান পিতা রবির ছায়ায় নিজেকে ঢেকে তিনি জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য আর্বানাতে তাঁর নিজস্ব পরিচয় ছিল, তাই উপরে দেয়া খবরের কাগজের খবরে (প্রথম ছবিতে) রবীন্দ্রনাথের একটা পরিচয় দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র রথীন্দ্রনাথের বাবা হিসাবে! পিতাকে তিনি ডাকতেন "বাবামশাই" বলে, পিতাকে নিয়ে "পিতৃস্মৃতি" নামে বই লিখেছেন, পিতার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পাশে থেকেছেন, বিশ্বভারতীর স্বপ্ন বাস্তবায়নেও পিতাকে সহায়তা করেছেন। রথীন্দ্রনাথ নিজের প্রাপ্য সমস্ত সম্পদ ব্যয় করেছেন বিশ্বভারতীর জন্য, কাজ করে গেছেন বিশ্বভারতীর জন্য, অথচ তিনিই পরে বিতাড়িত হয়েছেন বিশ্বভারতী থেকে, এমনকি রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকীর কোনো অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়নি! এই ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষটির মৃত্যু হয় পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর বছরেই, ১৯৬১ সালে।



রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আমি যেমন আমার মেয়ের সাথে এই সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘুরে ঘুরে দেখেছি, কবিগুরুও নিশ্চয়ই ছেলের সাথে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা জায়গা ঘুরে দেখেছেন, হয়তো মরো প্লট দেখতেও এসেছিলেন। মরো প্লট দেখতে গিয়ে আমার একথা মনে হলো।‌ এই "মরো প্লট" একটুকরো জমি। এই প্লট ১৮৭৬ সালে কৃষি গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা আমেরিকার প্রাচীনতম কৃষি গবেষণা প্লট। বিশ্ববিদ্যালয় যারা দেখতে আসে তারা প্রায় সকলেই এই জমিটি দেখতে আসে। তাই মনে হয় কবিগুরুও এখানে এসেছিলেন!! হয়তো কোন সুন্দর সকালে আমার মতোই ফসলে ছাওয়া মাঠটি মুগ্ধ হয়ে দেখেছিলেন... একশো বছর আগে!! মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে যখন এসব ভাবছিলাম, তখন একটা হালকা বাতাস ফসলের মাঠ পার হয়ে আমার উপর দিয়ে বয়ে গেল, আর যেতে যেতে যেন বলে গেল, "কে বলে গো এই প্রভাতে নেই আমি!!"



তথ্য নেয়া হয়েছে:

১)http://www.sachalayatan.com/tareqanu/52171

২)https://www.parabaas.com/article.php?id=5369

৩)http://www.sachalayatan.com/porimanob/45730

৪)https://www.google.com/amp/s/www.anandabazar.com/amp/world/the-house-in-usa-with-the-memory-rabindranath-tagore-now-bought-by-two-bengalis-dgtlx/cid/1301975

৫)https://archives.library.illinois.edu/slc/rabindranath-tagore/

৬)https://archives.library.illinois.edu/slc/rabindranath-tagore-2/

৭)https://thespace.ink/cover-story/tagore-in-urbana-illinois/

৮)https://www.jiyobangla.com/bn/news/remembering-rathindranath-tagore2

8)https://aces.illinois.edu/research/history/morrow-plots

প্রথম ছবিটি আমার তোলা। জুম করলে বাড়ির নাম্বার, এবং এটা রবীন্দ্রনাথের বাড়ি সেটা লেখা আছে দেখা যায়। কবিতার ছবি বাদে বাকি ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×