somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কুশন
আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়। -জীবনানন্দ দাশ

তোমাদের মুখোশ

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গ্রাম থেকে যে সমস্ত ছেলেরা ঢাকায় আসে তাঁরা বড় ভয়ঙ্কর হয়। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হয় গ্রামের মাদরাসা থেকে আসা ছেলে গুলো। এরা প্রথমে ঢাকায় এসে সব আউলায়ে ফেলে। যা দেখে তাতেই তাদের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। মেয়েদের দিকে ভুবুক্ষের মতো চেয়ে থাকে। রাত্রে তাদের ঘুমের সমস্যা হয়। ফেসবুকে সুন্দরী মেয়েদের বন্ধুদের আহবান জানায়। খাতির জমাতে চেষ্টা করে। কোনো কোনো মেয়ে পটেও যায়। মেয়েদের খুশি করতে কেউ কেউ গল্প কবিতা লিখে। কয়েকটা গল্প কবিতা লিখে নিজেকে বড় লেখক ভাবতে শুরু করে। দিনের পর দিন দামী পারফিউম মেখেও গ্রামের গন্ধ তাঁরা শরীর থেকে মুছতে পারে না। ঢাকা শহরের সমস্ত বদ এবং বদমাশ গুলো গ্রাম থেকেই উঠে এসেছে। গ্রাম থেকে আসা সব মানুষই বদ হয় না। অল্প কিছু বদ। এই অল্প কিছু বদের জন্য সকলের বদনাম হয়। এই বদ গুলো সমাজের সবর্ত্র ছড়িয়ে আছে।

তুমি শালা কোনো দিনই ভালো লেখক হতে পারবে না। তুমি মূলত একটা চোর। অন্যের লেখা চুরী করো। এটা বাংলাদেশ বলেই তুমি অন্যের লেখা চুরী করে পুরস্কার পেয়ে গেছো। আর নিজের জ্ঞান দিয়ে তুমি যে সমস্ত গল্প লিখেছো তা অতি নিম্মমানের হয়েছে। এমনই পোড়া কপাল আমাদের এখন তোমার কাছ থেকে আমাদের জানতে হয়- সাহিত্য কেমন জিনিস? বা সাহিত্য কোনটা। অথচ তুমি অনার্স মাস্টার্স পড়নি। মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছো। যতই গোপন রাখো আমি তা জানি। জানি তোমার সমস্ত অতীত ইতিহাস। একদিন তোমার ইতিহাস সকলের সামনে আনবো। ততদিন পর্যন্ত তুমি লাফালাফি করতে থাকো। তোমার মতো কুইষ্টা এই ঢাকা শহরে আর একটাও নাই। অথচ কি মহৎ সেজেই তুমি থাকো সকলের সামনে। আমি আর চার বছর পর দেশে ফিরবো। তখন তোমাদের শিক্ষা দিবো। তোমাদের অপরাধ গল্প কবিতা দিয়ে আড়াল করতে পারবে না।

সরকারী চাকরীর মজাই অন্য রকম। অফিসের কাম কাজ বাদ দিয়ে তুমি এসি ছেড়ে সাহিত্য করে বেড়াও। শুনলাম চল্লিশ-পঞ্চাশটা বইও লিখে ফেলেছো। হারামজাদা তোমার ভন্ডামী বের করবো। কানটা টেনে ছিড়ে দিবো। খারাপ মানুষ কখনও ভালো সাহিত্যিক হতে পারে না। তুমিও পারবে না। সরকারী চাকরী না করলে তুমি লন্ডন, জাপান আর অস্টেলিয়া যেতে পারতে না। একটা বইও ছাপাতে পারতে না। তোমাকে আমি শাস্তি দিবো- কারন তুমি অফিসে বসে সাহিত্য করো। সরকারী অফিস কি সাহিত্যের জায়গা? সাহিত্য তোমার পাছা দিয়ে ঢুকাবো হারামী। শুয়োর কা নাচ্চা চ্যাটাং চ্যাটাং কথা থামাও। ভালো মানুষ হও। নইলে তোমার খবর আছে। নিজেকে পন্ডিত ভেবো না। অসৎ মানুষ সাহিত্যিক হতে পারে না। তুমি অসৎ এবং ভন্ড। অথচ তুমি চিৎকার করে বলো- আমি ঘুষ খাই না। কিন্তু আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবাই খায়। তুমি সাধু সেজো না। সাধু হও। তুমি ফাঁকিবাজ এবং লোভী। খুব শ্রীঘই তোমাকে ধরবো। তোমার মুখোশ খুলে দিবো। সেই দিন খুব দূরে নয়।

তুমি ফকিন্নির পোলা বড় বেশী ভাব দেখাও। গ্রাম থেকে এসেছো। মাদ্রাসায় পড়েছো। তোমার বাপ আরেকটা বিয়ে করে তোমাদের ছেড়ে চলে গেছে। খেয়ে না খেয়ে বড় হয়েছো। অসৎ ভাবে গ্রামে বিল্ডিং করেছো। ব্যাংকে মোটামোটি ভালো টাকা জমিয়েছো। সবই আমি জানি। সব খবর আমার কাছে আছে। তুমি টাকার জন্য সহজ সরল মানুষদের অনেক ক্ষতি করেছো। নিজের আখের গুছিয়েছো। এখন তুমি সুন্দর একটা মুখোশ পড়ে ঘুরে বেড়াও। নিজের নামের শেষে সাহিত্যক লাগাও, গল্পকার লাগাও। শোনো, খারাপ মানুষ, চালাক মানুষ, বদ মানুষ কোনো দিনও ভালো সাহিত্যিক হতে পারে না। তুমিও পারবে না। তোমার লেখার মধ্যে তোমার কলুষতা ফুটে উঠে। আর মাত্র চার বছর পর তোমার খবর আছে। তোমার সকল বদমাশির শাস্তি তোমাকে পেতে হবে। শুনলাম, তুমি ওয়াশরুমে পত্রিকা নিয়ে না বসলে তোমার পটি হয় না? সকালের নাস্তায় নাকি তোমার চার রকমের জুস লাগে? এত পরিবর্তন করলে কি করে? আমি তো তোমাকে দেখেছি টাকার অভাবে সকালে ছাতু খেতে।

গ্রাম থেকে শহরে আসা অন্যায় না। টাকার অভাবে স্কুলে না পড়ে মাদরাসায় পড়া অন্যায় না। কিন্তু তোমরা শহরে এসে মানুষের ক্ষতি করেছো। মানুষকে পথে বসিয়েছো। ভালো মানুষের কাঁধে ভর করে উপরে উঠে সেই মানুষকে লাথথি দিয়েছো। এখন নিজের নামের শেষে সাহ্যিতিক লাগাও, গল্পকার লাগাও। নিজের অপরাধ বা অতীত ঢেকে রাখার জন্য নামের শেষে যত যা-ই লাগাও না কেন- আমার কাছ থেকে লুকাতে পারবে না। আমি তোমাদের শাস্তি দিবো। কঠিন শাস্তি। তবে তোমরা যদি তোমাদের অপরাধ নিজে থেকেই শিকার করো তাহলে আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিবো। তোমাদের অত্যচারেই আমি আজ দেশ ছাড়া। নিজের বাবা মাকে দেখতে পারি না। অসুস্থ হলে সেবা যত্ন করতে পারি না। আমার মতো অনেক মানুষকে তোমরা ধাক্কা দিয়ে অদৃশ্য অন্ধকারে ফেলে দিয়েছো। কিন্তু আমি সম্পূর্ন নিজের যোগ্যতায় সেই অদৃশ্য অন্ধকার থেকে উঠে এসেছি। এবার তোমাদের কোনো ছাড় নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৩
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×