তারা জেগে উঠছে, উঠছে খুব ধীর লয়ে
চাপড় দিলে, আরও বেশী মাথাচাড়া দিয়ে
শত-সহস্র অভিমানে ভর করে-
যারা লুকিয়ে ছিল অন্ধকার গহীনে;
জমাট বাঁধা ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে-
তারা জেগে উঠছে- অ্যালিয়েনরূপী
মাকড়সার মতো লিকলিকিয়ে হাত-পা
বিকশিত করে। তারা জেগে উঠছে।
বৃষ্টিস্নাত নিশীথের ভেজা প্রবাহে-
ঝড়ের তান্ডবলীলা প্রত্যক্ষ করে
আর কতো পীড়া পাবে নির্ঘুম নেত্রযুগল?
পাপ তো অবশ্যই, এ আর কি এমন-
তারাই তো আসবে, যাদের দমিয়ে রেখেছিলে অনন্তকাল।
উপচে পড়বে এখনই- প্রবাহমান লাভার মতো;
মুহুর্মুহু পাপের ঐ গুদামঘর।
লজ্জা না কি হীনমন্যতা- কুঁড়ে খায় প্রতিনিয়তই
উন্নত শির আজ ধূলোয় ভূপাপিত
বক্ষে আগলে রাখা অণুপ্রেরণা আর নীতি বিবর্জিত-
নিষ্পাপ আমায়- মনে হয় বড় বেশী অচেনা।
লালচে ধরার অস্থির ঘূর্ণায়ন- আর অস্থির আগ্রাসন
খাঁমচে ধরে প্রতিটি রক্তকণিকাকে,
জীবনাবসানের প্রত্যাশায় থাকি- মুক্ত হতে চাই
সুপ্ত পাপের এই অসহনীয় বোঝা থেকে।
আয়নার ঐ অচেনা মুখচ্ছবি- কি জঘন্য-
কি বিভৎস- যাতে স্পষ্ট পাপের আগ্নেয়গিরি;
জ্বালিয়ে দিয়ে বস্তাবন্দী আমায় মুক্ত করো।
আবার চাই ঐ নিকোটিনের স্বাদ-
নিঃস্বঙ্গ পড়ে থাকা ছাইদানি আবার ভরে উঠুক;
ঢেউয়ের মাতম বয়ে যাক হৃদয়ে-
বিজ্ঞ কচ্ছপ হয়ে উঠুক আরো অস্থির।
আরফার রাজী
০২.১১.২০১০
কবিতাটি টেলিকমিউনিকাশান প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মাসিক অনলাইন ম্যাগাজিন সিএস নিউজলেটার এ ফেব্রুয়ারি'২০১১ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।